ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘গোপন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা’ গড়ে তুলেছে ইরান!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

সাড়ে তিন হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান কীভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।  

পার্স টুডে জানায়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিদেশে একটি ‘গোপন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা’ গড়ে তুলেছে ইরান। এই ব্যবস্থার সহযোগিতায় ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করতে এবং তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগকে ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হয়েছে। ওই গোপন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জোরে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিকেও এগিয়ে নিতে পেরেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল কিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করে দাবি করে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের বড় বড় কোম্পানিগুলোর পক্ষে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বা আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব হতো না। কিন্তু ইরানি কোম্পানিগুলো দেশের বাইরে ভিন্ন নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে সেখান থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করেছে।

এসব কারণেই ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের দাবির কাছে নতি স্বীকার করেনি। উল্টো ভিয়েনায় পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় দর কষাকষি করতে সক্ষম হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইট ক্যাস্টেলুম ডট এআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১৬টি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।  

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘গোপন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা’ গড়ে তুলেছে ইরান!

আপডেট সময় ০৬:৫৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

সাড়ে তিন হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান কীভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।  

পার্স টুডে জানায়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিদেশে একটি ‘গোপন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা’ গড়ে তুলেছে ইরান। এই ব্যবস্থার সহযোগিতায় ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করতে এবং তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগকে ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হয়েছে। ওই গোপন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জোরে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিকেও এগিয়ে নিতে পেরেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল কিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করে দাবি করে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের বড় বড় কোম্পানিগুলোর পক্ষে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বা আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব হতো না। কিন্তু ইরানি কোম্পানিগুলো দেশের বাইরে ভিন্ন নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে সেখান থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করেছে।

এসব কারণেই ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের দাবির কাছে নতি স্বীকার করেনি। উল্টো ভিয়েনায় পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় দর কষাকষি করতে সক্ষম হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইট ক্যাস্টেলুম ডট এআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১৬টি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।