ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চার বছর পর পুরনো নামেই ফিরেছে ইসি

জাতীয় ডেস্কঃ
পুরনো নামে ফিরল নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিগত কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন ২০১৩ সালে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’ নাম পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ রেখেছিল। এনিয়ে তত্কালীন ইসি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। নাম পরিবর্তনের ফলে ইসির প্রকাশিত গেজেট থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট ও প্রশাসনিক কাগজপত্রে নতুন নাম ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন পুরাতন নামে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেন; কিন্তু বাস্তবে ওই ঘোষণা মাঠ পর্যায়ে প্রতিফলন ঘটেনি।
এ নিয়ে ইসির কর্মকর্তারাও নাম বিভ্রাটে পড়ে যায়। একেক জায়গায় একেক ধরনের নাম লিখতেন সংশ্লিষ্টরা। গেজেট বিজ্ঞপ্তিসহ ইসি সচিবালয়ের বিভন্ন চিঠিতে লেখা হয় ‘নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ’ আবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কমিশনারদের পুষ্পমাল্য অর্পণের বিজ্ঞপ্তির চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’। এই বিভ্রাট দূর করতে মাঠ পর্যায়ে গতকাল এক নির্দেশনা জারি করেছে ইসি।
বুধবার ইসির সহকারী সচিব মো. লুত্ফুল কবীর সরকার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধিশাখা, শাখা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের বিভিন্ন চিঠিপত্রে কমিশনের নাম-ঠিকানা এবং ওয়েব এড্রেস লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বাতন্ত্র ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য একই ধরনের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করা সমীচীন।’
নির্দেশনায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধিশাখা, শাখা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের বিভিন্ন চিঠিপত্রে কমিশনের নাম-ঠিকানা এবং ওয়েব এড্রেস (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা এবং ওয়েব এড্রেস-www.ecs.gov.bd) লেখার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, এখন থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন লেখা হবে। আমাদের সব কাগজপত্রে এটাই লিখছি। নাম নিয়ে এখন কোনো ভিন্নমত নেই; নতুন কমিশনও নীতিগতভাবে এটা অনুমোদন করেছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

চার বছর পর পুরনো নামেই ফিরেছে ইসি

আপডেট সময় ০১:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
পুরনো নামে ফিরল নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিগত কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন ২০১৩ সালে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’ নাম পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ রেখেছিল। এনিয়ে তত্কালীন ইসি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। নাম পরিবর্তনের ফলে ইসির প্রকাশিত গেজেট থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট ও প্রশাসনিক কাগজপত্রে নতুন নাম ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন পুরাতন নামে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেন; কিন্তু বাস্তবে ওই ঘোষণা মাঠ পর্যায়ে প্রতিফলন ঘটেনি।
এ নিয়ে ইসির কর্মকর্তারাও নাম বিভ্রাটে পড়ে যায়। একেক জায়গায় একেক ধরনের নাম লিখতেন সংশ্লিষ্টরা। গেজেট বিজ্ঞপ্তিসহ ইসি সচিবালয়ের বিভন্ন চিঠিতে লেখা হয় ‘নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ’ আবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কমিশনারদের পুষ্পমাল্য অর্পণের বিজ্ঞপ্তির চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’। এই বিভ্রাট দূর করতে মাঠ পর্যায়ে গতকাল এক নির্দেশনা জারি করেছে ইসি।
বুধবার ইসির সহকারী সচিব মো. লুত্ফুল কবীর সরকার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধিশাখা, শাখা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের বিভিন্ন চিঠিপত্রে কমিশনের নাম-ঠিকানা এবং ওয়েব এড্রেস লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বাতন্ত্র ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য একই ধরনের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করা সমীচীন।’
নির্দেশনায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধিশাখা, শাখা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের বিভিন্ন চিঠিপত্রে কমিশনের নাম-ঠিকানা এবং ওয়েব এড্রেস (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা এবং ওয়েব এড্রেস-www.ecs.gov.bd) লেখার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, এখন থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন লেখা হবে। আমাদের সব কাগজপত্রে এটাই লিখছি। নাম নিয়ে এখন কোনো ভিন্নমত নেই; নতুন কমিশনও নীতিগতভাবে এটা অনুমোদন করেছে।