ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনকে মুখের ওপর না করে দিলো নেপাল

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চলমান নেপাল সফরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে চুক্তি করতে চেয়েছিলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে। কিন্তু দুই দেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্প এবং সহকারী ঋণের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হয়েছে চীন। কারণ নেপাল মখের ওপর না করে দিয়েছে চীনকে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনা ঋণের ফাঁদে না জড়াতে নেপালকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রথমসারির অর্থনীতিবিদ। অর্থনীতিবিদদের মতে উন্নয়নের নামে ঋণের পসরা সাজিয়ে বসেছে চীন। বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-সহ এশিয়ার দেশগুলিতে ‘ডেট ট্র্যাপ’ বা ঋণের জাল বিস্তার করেছে তারা।

ইতিমধ্যেই ‘চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেশ কয়েকটি দেশ। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয় দেশটিতে। চীনের মদতে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার। 

কোনো ঋণগ্রহীতাই উপকার পাচ্ছেন না চীনের কাছ থেকে। বরং তাদের বাণিজ্যিক ঘাটতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ বিপুল আকার ধারণ করেছে। এবং এই ঋণের অর্ধেকেরও বেশি চিন থেকে নেওয়া। গত সাত দশকে সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। বিদ্যুতের অভাবে ব্ল্যাক আউট চলছে দেশে। খাবার, ওষুধ অগ্নিমূল্য। এমনকি মিলছে না প্রতিদিনের প্রয়োজনের রান্নার গ্যাস। এই অবস্থায় অনেকেই শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোতে চলে আসছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনকে মুখের ওপর না করে দিলো নেপাল

আপডেট সময় ০২:৪০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চলমান নেপাল সফরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে চুক্তি করতে চেয়েছিলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে। কিন্তু দুই দেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্প এবং সহকারী ঋণের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হয়েছে চীন। কারণ নেপাল মখের ওপর না করে দিয়েছে চীনকে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনা ঋণের ফাঁদে না জড়াতে নেপালকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রথমসারির অর্থনীতিবিদ। অর্থনীতিবিদদের মতে উন্নয়নের নামে ঋণের পসরা সাজিয়ে বসেছে চীন। বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-সহ এশিয়ার দেশগুলিতে ‘ডেট ট্র্যাপ’ বা ঋণের জাল বিস্তার করেছে তারা।

ইতিমধ্যেই ‘চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেশ কয়েকটি দেশ। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয় দেশটিতে। চীনের মদতে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার। 

কোনো ঋণগ্রহীতাই উপকার পাচ্ছেন না চীনের কাছ থেকে। বরং তাদের বাণিজ্যিক ঘাটতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ বিপুল আকার ধারণ করেছে। এবং এই ঋণের অর্ধেকেরও বেশি চিন থেকে নেওয়া। গত সাত দশকে সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। বিদ্যুতের অভাবে ব্ল্যাক আউট চলছে দেশে। খাবার, ওষুধ অগ্নিমূল্য। এমনকি মিলছে না প্রতিদিনের প্রয়োজনের রান্নার গ্যাস। এই অবস্থায় অনেকেই শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোতে চলে আসছেন।