ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জিততেই এসেছে জিম্বাবুয়ে’

খেলাধূলা ডেস্কঃ
বাংলাদেশের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সময়ের বিবেচনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। তবে, মাঠে নামার আগেই হার মেনে নিতে নারাজ তারা। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলাই লক্ষ্য তাঁদের। দলের পেসার কাইল জার্ভিস জানালেন, জয়ের জন্যই মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে।
তিনি অবশ্য বাংলাদেশকে মোটেই হালকাভাবে দেখছেন না। বললেন, ‘তারা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশে তো আরও কঠিন তাদের হারানো। তারা এখানে বিশ্বের সবাইকেই হারিয়েছে। সুতরাং এখানে জেতা আমাদের জন্য কঠিন হবে, কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করব। কেউ হারার প্রত্যাশা করে না। আমরা অবশ্যই জেতার আশা করছি। জেতার ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই আমরা নামব।’
জিম্বাবুয়ের আশার পালে হাওয়া যোগাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। কারণ, বরাবরই বিপিএলে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ ক্রিকেটারদের দেখা যায়। জার্ভিস মনে করছেন, বিপিএলের অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪-৫ জন বিপিএলে এই পরিবেশে প্রতি বছরই খেলে সেটা আমাদের জন্য অবশ্যই খুব ভালো সুযোগ করে দিতে সহায়ক হবে। তাছাড়া সাকিব-তামিমের মতো দুইজন বড় মাপের খেলোয়াড় বাংলাদেশে নেই। সুতরাং আমরা ইতিবাচক কিছুর দিকেই তাকিয়ে আছি।’
জিম্বাবুয়ের আশাবাদের আরেকটা কারণ তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি। জার্ভিস বলেন, ‘তারা দু’জন (সাকিব-তামিম) খুবই ভালো খেলোয়াড়। সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা। তাই সবাই কিছুটা স্বস্তি পাবে। তারা এখানে বিশ্বের সেরা কিছু দলকে এখানে হারিয়েছে। এই পরিবেশের সঙ্গে স্বাগতিকরা খুবই পরিচিত ও স্বচ্ছন্দ। এটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে এখানে জেতা।’
সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটেই হেরে এসেছে জিম্বাবুয়ে। যদিও, সেটা নিয়ে না ভেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে জিম্বাবুয়ে। জার্ভিস বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খুব কঠিন সফর ছিল। তবে আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এসেছি। সেই ইতিবাচক মানসিকতার মধ্যে আছে ম্যাচ জেতা। অনেক বড় প্রেরণার বিষয় হচ্ছে রাজা (সিকান্দার) ফিরেছেন। আমার মনে হয় আমাদের ভালো সুযোগ আছে।’
উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে খেলতে নামার আগে যেকোনো দলেরই বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয় স্পিন আক্রমণ। জিম্বাবুয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে, জার্ভিস জানালেন, দেশ থেকে এই ব্যাপারে ‘হোমওয়ার্ক’ করেই এসেছে তারা, ‘আমরা এখানে আসার আগে অনুশীলন পিচে শীর্ষ পর্যায়ের স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলেছি। সুতরাং বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে এবং পরিকল্পনাও আছে।’
তবে, স্পিন ট্র্যাক বলেই এবার হয়তো সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের অভাব বোধ করতে পারে জিম্বাবুয়ে। জার্ভিস বলেন, ‘ক্রেমার না থাকাটা বড় ক্ষতি। খুব ভালো একজন লেগস্পিনার। তবে আমরা তরুণ এক স্পিনার ব্রেন্ডন মাভুতাকে পেয়েছি। শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজাও স্পিনের জন্য খুব ভালো।’
বোর্ডের সাথে ঝামেলা মিটিয়ে এবারই জিম্বাবুয়ে দলে ফিরেছেন সিকান্দার রাজা। এটাকে জিম্বাবুয়ের জন্য ইতিবাচক মনে করে জার্ভিস বলেন, ‘রাজা নিঃসন্দেহে অনেক বড় খেলোয়াড়। গত ১৮ মাস খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। তাকে ফিরে পাওয়াটা আমাদের উজ্জীবিত করেছে। তিনি অফস্পিন করতে পারেন এবং মিডলঅর্ডারে মূল্যবান ব্যাটিং উপহার দিতে সক্ষম।’
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

‘জিততেই এসেছে জিম্বাবুয়ে’

আপডেট সময় ০৪:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
খেলাধূলা ডেস্কঃ
বাংলাদেশের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সময়ের বিবেচনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। তবে, মাঠে নামার আগেই হার মেনে নিতে নারাজ তারা। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলাই লক্ষ্য তাঁদের। দলের পেসার কাইল জার্ভিস জানালেন, জয়ের জন্যই মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে।
তিনি অবশ্য বাংলাদেশকে মোটেই হালকাভাবে দেখছেন না। বললেন, ‘তারা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশে তো আরও কঠিন তাদের হারানো। তারা এখানে বিশ্বের সবাইকেই হারিয়েছে। সুতরাং এখানে জেতা আমাদের জন্য কঠিন হবে, কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করব। কেউ হারার প্রত্যাশা করে না। আমরা অবশ্যই জেতার আশা করছি। জেতার ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই আমরা নামব।’
জিম্বাবুয়ের আশার পালে হাওয়া যোগাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। কারণ, বরাবরই বিপিএলে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ ক্রিকেটারদের দেখা যায়। জার্ভিস মনে করছেন, বিপিএলের অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪-৫ জন বিপিএলে এই পরিবেশে প্রতি বছরই খেলে সেটা আমাদের জন্য অবশ্যই খুব ভালো সুযোগ করে দিতে সহায়ক হবে। তাছাড়া সাকিব-তামিমের মতো দুইজন বড় মাপের খেলোয়াড় বাংলাদেশে নেই। সুতরাং আমরা ইতিবাচক কিছুর দিকেই তাকিয়ে আছি।’
জিম্বাবুয়ের আশাবাদের আরেকটা কারণ তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি। জার্ভিস বলেন, ‘তারা দু’জন (সাকিব-তামিম) খুবই ভালো খেলোয়াড়। সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা। তাই সবাই কিছুটা স্বস্তি পাবে। তারা এখানে বিশ্বের সেরা কিছু দলকে এখানে হারিয়েছে। এই পরিবেশের সঙ্গে স্বাগতিকরা খুবই পরিচিত ও স্বচ্ছন্দ। এটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে এখানে জেতা।’
সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটেই হেরে এসেছে জিম্বাবুয়ে। যদিও, সেটা নিয়ে না ভেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে জিম্বাবুয়ে। জার্ভিস বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খুব কঠিন সফর ছিল। তবে আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এসেছি। সেই ইতিবাচক মানসিকতার মধ্যে আছে ম্যাচ জেতা। অনেক বড় প্রেরণার বিষয় হচ্ছে রাজা (সিকান্দার) ফিরেছেন। আমার মনে হয় আমাদের ভালো সুযোগ আছে।’
উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে খেলতে নামার আগে যেকোনো দলেরই বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয় স্পিন আক্রমণ। জিম্বাবুয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে, জার্ভিস জানালেন, দেশ থেকে এই ব্যাপারে ‘হোমওয়ার্ক’ করেই এসেছে তারা, ‘আমরা এখানে আসার আগে অনুশীলন পিচে শীর্ষ পর্যায়ের স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলেছি। সুতরাং বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে এবং পরিকল্পনাও আছে।’
তবে, স্পিন ট্র্যাক বলেই এবার হয়তো সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের অভাব বোধ করতে পারে জিম্বাবুয়ে। জার্ভিস বলেন, ‘ক্রেমার না থাকাটা বড় ক্ষতি। খুব ভালো একজন লেগস্পিনার। তবে আমরা তরুণ এক স্পিনার ব্রেন্ডন মাভুতাকে পেয়েছি। শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজাও স্পিনের জন্য খুব ভালো।’
বোর্ডের সাথে ঝামেলা মিটিয়ে এবারই জিম্বাবুয়ে দলে ফিরেছেন সিকান্দার রাজা। এটাকে জিম্বাবুয়ের জন্য ইতিবাচক মনে করে জার্ভিস বলেন, ‘রাজা নিঃসন্দেহে অনেক বড় খেলোয়াড়। গত ১৮ মাস খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। তাকে ফিরে পাওয়াটা আমাদের উজ্জীবিত করেছে। তিনি অফস্পিন করতে পারেন এবং মিডলঅর্ডারে মূল্যবান ব্যাটিং উপহার দিতে সক্ষম।’