খেলাধূলা ডেস্ক:
গত এপ্রিলে জিনেদিন জিদান বলেছিলেন এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের থেকে রিয়াল মাদ্রিদের মূল লক্ষ্য থাকবে লা লিগায় ভাল কিছু করা। কিন্তু শনিবার মায়োর্কার কাছে মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের পর আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে মাদ্রিদ সেই লক্ষ্য থেকে হয়ত সড়ে এসেছে।
মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ-এ’র নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে তুরষ্কের ক্লাব গ্যালাতাসারের মুখোমুখি হবে মাদ্রিদ। মায়োর্কার বিপক্ষে যারা ব্যর্থ ছিলেন তাদের বাদ দিয়ে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নিয়েই জিদান মাঠে নামবেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বিশেষ করে প্রথমবারের মত লিগের পরাজয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মাদ্রিদ বস। এই পরাজয়ের সুযোগে বার্সেলোনা মাদ্রিদকে টপকে লা লিগা টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে। যদিও শনিবারের ম্যাচটিতে মাঠে ছিলেন না এডেন হ্যাজার্ড, টনি ক্রুস, লুকা মড্রিচ ও গ্যারেথ বেলের মত তারকারা।
চতুর্থ সন্তানের জন্মের কারনে হ্যাজার্ড ও বাকিরা ইনজুরির কারনে দলের বাইরে রয়েছেন। রাফায়েল ভারানে ও ডানি কারভাহালকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে মূল একাদশের বাইরে আরো ছিলেন ফেডে ভালভার্দে।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে এই ভালভার্দেই মধ্যমাঠে কিছুটা গতি এনেছিলেন। বেলের কাফ ইনজুরি খুব একটা গুরুতর মনে না হলেও তাকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চাননি জিদান। যে কারনে তুরষ্ক সফরেও তিনি দলের সাথে থাকছেন না। এই তালিকায় ইনজুরির কারনে ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মড্রিচও রয়েছেন। দলের এই পরিস্থিতিতে গ্যালাতাসারের বিপক্ষে ম্যাচটি যে মোটেই সহজ হবে না তা অনুমেয়।
জিদান নিজেও অবশ্য বুঝতে পারছেন ইউরোপে আরেকটি ভুল পদক্ষেপ এবার আর কেউ মেনে নিবে না। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে প্রতি তিনদিনে আমাদের নিজেদেরকে প্রমান করতে হচ্ছে। বিষয়টা কঠিন। আমাদের অবশ্যই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের অবশ্যই ম্যাচে আরো জীবন ফিরিয়ে আনতে হবে। এ বছর এই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম দুই ম্যাচে একটি ড্র ও একটি পরাজয় নিয়ে মাত্র এক পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপের তলানিতে রয়েছে মাদ্রিদ। প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেবার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না। যদিও সব সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। গত প্রায় এক দশকে লিগে বার্সেলোনা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাদ্রিদের দাপট অনেকটাই স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। যদিও এবার প্রথম থেকে লা লিগায় নিজেদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে জিদান শিষ্যরা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল কোচ হিসেবে জিদানও নিজেকে প্রমানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো মাদ্রিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এই ফ্রেঞ্চম্যানকে। টানা তিনবার মাদ্রিদকে ইউরোপের সর্বোচ্চ আসরের শিরোপা উপহার দেয়া জিদানের ওপর সেই আত্মবিশ্বাস টিম ম্যানেজমেন্টেরও রয়েছে।