নাজমুল করিম ফারুক, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাসে রাস্তাবিহীন দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি অধিদপ্তরের আওতায় নির্মিত ব্রিজটি। উপজেলার মোহনপুর গ্রাম সংলগ্ন উক্ত ব্রিজের সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় জনগণের চলাচলে কোন কাজে আসছে না বিধায় প্রায় ৪ বছর যাবৎ পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাতাকান্দি-দাউদকান্দি ভায়া মোহনপুর সড়ক থেকে মোহনপুর-কাকিয়াখালী প্রস্তাবিত রাস্তার মাঝে প্রায় ৪ বছর আগে নির্মাণ করা ব্রিজটির দু’পাশের এপ্রোচের মাটি সরে ভেঙ্গে গেছে। সাপোটিং ওয়াল না থাকায় ব্রিজের নীচের বেঁলে মাটি সরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্রিজ সংলগ্ন বাড়ি-ঘরের লোকজন ব্রিজের উপর খড়ের স্তপ ও জ্বালানি সামগ্রী মজুদ করাসহ গবাদিপশুর বিশ্রামাগার হিসেবে এটি ব্যবহার করে আসছে। বাতাকান্দি-দাউদকান্দি ভায়া মোহনপুর সড়ক থেকে মোহনপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৩শ মিটার রাস্তায় ইটের সলিং থাকলেও ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে মোটর সাইকেল চলায় দায়। অপরদিকে উপজেলা সদর কড়িকান্দি বাজার থেকে মজিদপুর হয়ে কাকিয়াখালি ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তায় পাকা সলিং থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে মানুষ চলাচল করতে পারছে কিন্তু কাকিয়াখালী ব্রিজ থেকে মোহনপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১২শ মিটার রাস্তা না থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলে কোন কাজে আসছে না মোহনপুর ব্রিজটি। ফলে এটি পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুধঘাটা, দড়িগাঁও, নন্দিরচর, বাটেরা, মোহনপুর, রায়পুর, কালাইকান্দি, সাতানী ও উজিরাকান্দি লোকজন যাতে কম সময় ও কম খরচে উপজেলা সদরে চলাচল করতে পারে সে বিবেচনায় মোহনপুর গ্রাম থেকে কাকিয়াখালি ব্রিজ পর্যন্ত ১২শ মিটার প্রস্তাবিত রাস্তার মাঝে প্রায় ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
মোহনপুর ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মুকবুল মাহামুদ প্রধান জানান, মজিদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম অঞ্চলের লোকজন রাস্তাটির জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কোন কাজে উপজেলা সদরে যেতে হলে এ অঞ্চলের লোকজনকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে। জনগণের চলাচলে মান উন্নয়নের লক্ষ্যে রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক মিয়া সরকার জানান, রাস্তা না থাকায় ব্রিজটি কোন কাজে আসছে না তা সত্য। তবে আশার বিষয় হলো ইতিমধ্যে রাস্তাটি সিভিসি প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা। আশা করি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, জনগণের মান ও সেবা উন্নয়ানে সংশ্লিষ্ট কোন কাজই থেমে থাকবে না। দুটি সেতুর মধ্যেস্থানে যে ১২শ মিটার রাস্তার প্রয়োজন তা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা হবে।