ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তায় পানি নেই, উত্তরবঙ্গের ৫ নদী থেকে পানি নিতে বললেন মমতা একটি নদীর অস্তিত্ব মেলেনি

জাতীয় ডেসকঃ
তিস্তায় পানি নেই। তাই সেই পানি নিয়ে চুক্তি হলে সমস্যা হতে পারে। একারণে তিস্তার বদলে তোর্সা, ধানসিঁড়ি, জলঢাকা, রায়ডাক কিংবা মানসিঁড়ি নদীর পানি নিতে পারে বাংলাদেশ। শনিবার রাতে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এই বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মমতা বলেন, তিস্তায় তেমন পানি নেই। শুকনো মৌসুমে কখনও কখনও পানির প্রবাহ ১০০ কিউসেক হয়ে যায়। তাই এটা নিয়ে চুক্তি হলে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে। তোর্সায় সারা বছর পানি থাকে। পানি নেওয়া যেতে পারে ধানসিঁড়ি নদী থেকেও। এ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার সমীক্ষা করুক। প্রয়োজনে আলোচনা হোক। এতে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে। মমতা বলেন, সময় নিয়ে হলেও এই আলোচনায় ফল মিলতে পারে।
মানচিত্র থেকে দেখা যায়, তোর্সার উত্পত্তি চীনের তিব্বতের চুম্বি ভ্যালিতে। সেখানে সেটি মাচু নদী নামে পরিচিত। এরপর ভুটান হয়ে ৩৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার হয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশের উত্তরে। বাংলাদেশে নদীটি জলঢাকার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। জলঢাকা মিশেছে যমুনা নদীতে। তোর্সা তিস্তার প্রবাহ পথ থেকে বেশ কিছুটা উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। আর ধানসিঁড়ি আসামের মূল নদী। এর উত্পত্তি নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে। ৩৫২ কিলোমিটার প্রবাহ পথে আসাম হয়ে সেটি ব্রহ্মপুত্র নদীতে গিয়ে মিশেছে। রায়ডাক হচ্ছে জলঢাকার উপনদী। অত্যন্ত সংকীর্ণ এই নদীটি এসে জলঢাকায় মিশেছে। কিন্তু এগুলোর কোনোটি তিস্তার মতো প্রশস্ত নয়। এবং কোনো নদীতেই বাধ দেওয়া নেই। তাই এসব উন্মুক্ত নদীর পানি নিয়ে চুক্তি হলেও কিভাবে বেশি পানি আসবে তাও পরিষ্কার নয়। আর মমতা মানসিঁড়ি নদীর নাম বললেও সাংবাদিকরা মানচিত্র ঘেটে তার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি।
এদিকে, তোর্সা বা ধানসিঁড়ি নদীর পানি নিয়ে চুক্তি বা বণ্টন হলে তাতে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধা হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

তিস্তায় পানি নেই, উত্তরবঙ্গের ৫ নদী থেকে পানি নিতে বললেন মমতা একটি নদীর অস্তিত্ব মেলেনি

আপডেট সময় ০৪:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭
জাতীয় ডেসকঃ
তিস্তায় পানি নেই। তাই সেই পানি নিয়ে চুক্তি হলে সমস্যা হতে পারে। একারণে তিস্তার বদলে তোর্সা, ধানসিঁড়ি, জলঢাকা, রায়ডাক কিংবা মানসিঁড়ি নদীর পানি নিতে পারে বাংলাদেশ। শনিবার রাতে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এই বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মমতা বলেন, তিস্তায় তেমন পানি নেই। শুকনো মৌসুমে কখনও কখনও পানির প্রবাহ ১০০ কিউসেক হয়ে যায়। তাই এটা নিয়ে চুক্তি হলে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে। তোর্সায় সারা বছর পানি থাকে। পানি নেওয়া যেতে পারে ধানসিঁড়ি নদী থেকেও। এ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার সমীক্ষা করুক। প্রয়োজনে আলোচনা হোক। এতে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে। মমতা বলেন, সময় নিয়ে হলেও এই আলোচনায় ফল মিলতে পারে।
মানচিত্র থেকে দেখা যায়, তোর্সার উত্পত্তি চীনের তিব্বতের চুম্বি ভ্যালিতে। সেখানে সেটি মাচু নদী নামে পরিচিত। এরপর ভুটান হয়ে ৩৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার হয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশের উত্তরে। বাংলাদেশে নদীটি জলঢাকার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। জলঢাকা মিশেছে যমুনা নদীতে। তোর্সা তিস্তার প্রবাহ পথ থেকে বেশ কিছুটা উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। আর ধানসিঁড়ি আসামের মূল নদী। এর উত্পত্তি নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে। ৩৫২ কিলোমিটার প্রবাহ পথে আসাম হয়ে সেটি ব্রহ্মপুত্র নদীতে গিয়ে মিশেছে। রায়ডাক হচ্ছে জলঢাকার উপনদী। অত্যন্ত সংকীর্ণ এই নদীটি এসে জলঢাকায় মিশেছে। কিন্তু এগুলোর কোনোটি তিস্তার মতো প্রশস্ত নয়। এবং কোনো নদীতেই বাধ দেওয়া নেই। তাই এসব উন্মুক্ত নদীর পানি নিয়ে চুক্তি হলেও কিভাবে বেশি পানি আসবে তাও পরিষ্কার নয়। আর মমতা মানসিঁড়ি নদীর নাম বললেও সাংবাদিকরা মানচিত্র ঘেটে তার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি।
এদিকে, তোর্সা বা ধানসিঁড়ি নদীর পানি নিয়ে চুক্তি বা বণ্টন হলে তাতে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধা হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের।