ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে বৈঠকে বসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

এরদোয়ানের আমন্ত্রণে বেলারুশের গোমেল শহর থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্তি সংলাপ। ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা। বৈঠককে সফল করতে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জার্মানি সংবাদ মাধ্যম ডয়েচভেলে।

ডয়েচভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এদিন বৈঠক শুরুর আগে উভয় পক্ষকেই বেশ শীতল মনে হয়েছে। এমনকি বৈঠকের আগে কোনো ধরনের করমর্দনও করেননি উভয় দেশের প্রতিনিধিরা।

শান্তি আলোচনার শুরুতে এর দীয়ান বলেন, ‘আমি প্রথমেই আপনাদের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তারা উভয়েই আমার প্রিয় বন্ধু।’

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে দুই দেশের সাধারণ মানুষজনতো বটেই, আমরাও উদ্বিগ্ন। তবে আমাদের বিশ্বাস, বর্তমানে যে উত্তেজনা চলছে তা থামাতে উভয়পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে এবং একটি একটি শান্তিচুক্তি এই ট্র্যাজেডির অবসান ঘটাতে পারে। 

এদিকে, আলোচনায় অংশ নেওয়াদের খুব সতর্কতার সঙ্গে থাকতে বলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খাবারে রাশিয়া বিষ মেশাতে পারে এমন আশঙ্কায় নিজেদের প্রতিনিধিদলকে মস্কোর দেওয়া কোনো কিছু খেতেও নিষেধ করেছেন তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। এরপর যুদ্ধ বন্ধে দফায় দফায় চলে আলোচনা। চলতি মাসেই তুরস্কেও বৈঠক করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও তাতে কোনো সমাধান আসেনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তুরস্কে বৈঠকে বসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন

আপডেট সময় ০২:৫০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

এরদোয়ানের আমন্ত্রণে বেলারুশের গোমেল শহর থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্তি সংলাপ। ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা। বৈঠককে সফল করতে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জার্মানি সংবাদ মাধ্যম ডয়েচভেলে।

ডয়েচভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এদিন বৈঠক শুরুর আগে উভয় পক্ষকেই বেশ শীতল মনে হয়েছে। এমনকি বৈঠকের আগে কোনো ধরনের করমর্দনও করেননি উভয় দেশের প্রতিনিধিরা।

শান্তি আলোচনার শুরুতে এর দীয়ান বলেন, ‘আমি প্রথমেই আপনাদের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তারা উভয়েই আমার প্রিয় বন্ধু।’

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে দুই দেশের সাধারণ মানুষজনতো বটেই, আমরাও উদ্বিগ্ন। তবে আমাদের বিশ্বাস, বর্তমানে যে উত্তেজনা চলছে তা থামাতে উভয়পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে এবং একটি একটি শান্তিচুক্তি এই ট্র্যাজেডির অবসান ঘটাতে পারে। 

এদিকে, আলোচনায় অংশ নেওয়াদের খুব সতর্কতার সঙ্গে থাকতে বলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খাবারে রাশিয়া বিষ মেশাতে পারে এমন আশঙ্কায় নিজেদের প্রতিনিধিদলকে মস্কোর দেওয়া কোনো কিছু খেতেও নিষেধ করেছেন তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। এরপর যুদ্ধ বন্ধে দফায় দফায় চলে আলোচনা। চলতি মাসেই তুরস্কেও বৈঠক করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও তাতে কোনো সমাধান আসেনি।