ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যা, মৃত্যু বেড়ে তিন শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ শতাধিক দাঁড়িয়েছে। দেশটির কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে আঘাত হানা এ বন্যায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে কয়েক শ মানুষ। প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভূমিধসের কারণে বহু মানুষ ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যা সর্বত্রই তার ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে। ইতিমধ্যে কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশটিকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। সেখানে পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে জরুরি সেবাও। গত বছরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কারাদণ্ড নিয়ে সংঘটিত আন্দোলন চলাকালীন ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে চরম ব্যাবসায়িক ক্ষতি হয় প্রদেশটিতে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আগেই আরেক দফা আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হলো। 

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, সময় মতো বৃষ্টি ও বন্যার পূর্বাভাস দিতে না পারায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া উচিত ছিল। সপ্তাহ জুড়ে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে এটা হয়েছে। আগামী কয়েক দশকে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। 

বুধবার হেলিকপ্টারে করে প্রদেশটি পরিদর্শন করে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। এ সময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যা করতে হবে, তা করব। আমরা আর দেরি করতে পারি না। 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যা, মৃত্যু বেড়ে তিন শতাধিক

আপডেট সময় ১০:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ শতাধিক দাঁড়িয়েছে। দেশটির কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে আঘাত হানা এ বন্যায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে কয়েক শ মানুষ। প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভূমিধসের কারণে বহু মানুষ ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যা সর্বত্রই তার ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে। ইতিমধ্যে কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশটিকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। সেখানে পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে জরুরি সেবাও। গত বছরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কারাদণ্ড নিয়ে সংঘটিত আন্দোলন চলাকালীন ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে চরম ব্যাবসায়িক ক্ষতি হয় প্রদেশটিতে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আগেই আরেক দফা আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হলো। 

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, সময় মতো বৃষ্টি ও বন্যার পূর্বাভাস দিতে না পারায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া উচিত ছিল। সপ্তাহ জুড়ে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে এটা হয়েছে। আগামী কয়েক দশকে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। 

বুধবার হেলিকপ্টারে করে প্রদেশটি পরিদর্শন করে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। এ সময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যা করতে হবে, তা করব। আমরা আর দেরি করতে পারি না।