দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা, রাতে ছাত্রীদের হোস্টেলে প্রবেশ করে অনৈতিক আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পরও প্রধান শিক্ষক জোরপূর্বক অফিস কক্ষ এবং ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ল্যাবের চাবি ফেরত না দেওয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকালে বিদ্যালয় প্রঙ্গনে পরিচালনা পরষদের সদস্য, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে সভাপতি আলতাফুন্নেসা মায়া বেগম প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন বলেন,
ভালো শিক্ষক মনে করে ইসমাইল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেই। স্কুলে যোগদানের পর তার আসল রহস্য বের হয়ে আসে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে তা দেখাতে পারেননি। ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে উপস্থিত থাকতে বললে বিভিন্ন ওজুহাত দেখিয়ে কয়েকটি সভায় উপস্থিত থাকেননি। এ ছাড়া শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ছাত্রী হোস্টেলে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণের কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ থাকায় কমিটির সভায় উপস্থিত থাকতে পারিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সঠিক নয়।”
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, “বারপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কর্তৃক সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার একটি কপি আমি পেয়েছি। কপি পাওয়ার পর আমি প্রধান শিক্ষককে ডেকে আনি। সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিকট সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছি। তার কথা শুনে মনে হলো তিনি একজন মানসিক রোগী। এ রকম শিক্ষক দিয়ে স্কুল চলতে পারে না।”
উল্লোখ্য, বিদ্যালয় পরিচালনা পরষদ কমিটির কয়েকটি সভায় উপস্থিত না থাকায় গত ১৬ আগস্ট বিদ্যালয়ের কমিটির সভায় শোকজ করা হলে এর জবাব না পাওয়ায় ১৭ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু বরখাস্ত করার পরও প্রধান শিক্ষক জোরপূর্বক অফিস কক্ষ এবং ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ল্যাবের চাবি ফেরত দিচ্ছেনা।