ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাউদকান্দিতে ফুটওভারব্রিজের নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় অনেকগুলো ফুটওভারব্রিজ থাকলেও সেগুলো ব্যবহার না করে নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে দাউদকান্দি, শহীদনগর, গৌরীপুর এবং ইলিয়টগঞ্জ স্টেশনে ফুটওভারব্রিজ থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করছেন না বেশিরভাগ মানুষ।

চার লেনের এ মহাসড়কে দ্রুতগতির ভারী যানচলাচল বেশি হওয়ায় যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও যত্রতত্র পারাপারের ঘটনা তো ঘটছেই। সেই সঙ্গে যেসব স্টেশনে ফুটওভারব্রিজ রয়েছে সেগুলোতেও ওভারব্রিজগুলো ব্যবহার ঠিক মতো হচ্ছে না। শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষজন ফুটওভারব্রিজে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয় বিধায় ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে পারছে না। আবার কেউ কেউ সুস্থ-সবল থাকলেও তারা অলসতার কারণে এবং সময় বাঁচাতে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করছেন না।

দাউদকান্দি উপজেলা প্রশাসন এবং হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হলেও সেরকম সচেতনতা মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়নি এবং ওভারব্রিজ ব্যবহারে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই অনীহা দেখা গেছে। ইলিয়টগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করে রাস্তা পারাপারের পর আব্দুল হক নামের এক ব্যক্তিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই রাস্তা সঠিকভাবেই পার হতে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফুটওভারব্রিজের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয়। বয়স হয়েছে পায়ে খুব ব্যথা করে।

 

মহাসড়কে ট্রাক চালক বিল্লাল হোসেন ও হযরত আলী বলেন, ‘অনেক সময় মহাসড়কে যখন আমরা ট্রাক চালাই তখন আকস্মিক আমাদের সামনে মানুষ দেখতে পাই। ফুটওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করে না। হঠাত্ করে চলন্ত গাড়ির সামনে কেউ আসলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আমাদেরকে বেগ পোহাতে হয়।

দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ওসি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি এ এলাকায় নতুন এসেছি। আমার আগে যারা এখানে দায়িত্বে ছিলেন আমি দেখেছি পত্রিকাতে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে তারা অনেক সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছিলেন। কিন্তু মানুষ যদি তার জীবন নিয়ে সচেতন না হয় এবং ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করে সেক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু থাকে না। এরপরেও আমরা সবসময় মানুষকে বোঝাই এবং সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করি যেন তারা নিয়মিত ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করেন।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

দাউদকান্দিতে ফুটওভারব্রিজের নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

আপডেট সময় ০৬:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০১৯
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় অনেকগুলো ফুটওভারব্রিজ থাকলেও সেগুলো ব্যবহার না করে নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে দাউদকান্দি, শহীদনগর, গৌরীপুর এবং ইলিয়টগঞ্জ স্টেশনে ফুটওভারব্রিজ থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করছেন না বেশিরভাগ মানুষ।

চার লেনের এ মহাসড়কে দ্রুতগতির ভারী যানচলাচল বেশি হওয়ায় যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও যত্রতত্র পারাপারের ঘটনা তো ঘটছেই। সেই সঙ্গে যেসব স্টেশনে ফুটওভারব্রিজ রয়েছে সেগুলোতেও ওভারব্রিজগুলো ব্যবহার ঠিক মতো হচ্ছে না। শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষজন ফুটওভারব্রিজে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয় বিধায় ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে পারছে না। আবার কেউ কেউ সুস্থ-সবল থাকলেও তারা অলসতার কারণে এবং সময় বাঁচাতে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করছেন না।

দাউদকান্দি উপজেলা প্রশাসন এবং হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হলেও সেরকম সচেতনতা মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়নি এবং ওভারব্রিজ ব্যবহারে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই অনীহা দেখা গেছে। ইলিয়টগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করে রাস্তা পারাপারের পর আব্দুল হক নামের এক ব্যক্তিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই রাস্তা সঠিকভাবেই পার হতে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফুটওভারব্রিজের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয়। বয়স হয়েছে পায়ে খুব ব্যথা করে।

 

মহাসড়কে ট্রাক চালক বিল্লাল হোসেন ও হযরত আলী বলেন, ‘অনেক সময় মহাসড়কে যখন আমরা ট্রাক চালাই তখন আকস্মিক আমাদের সামনে মানুষ দেখতে পাই। ফুটওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করে না। হঠাত্ করে চলন্ত গাড়ির সামনে কেউ আসলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আমাদেরকে বেগ পোহাতে হয়।

দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ওসি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি এ এলাকায় নতুন এসেছি। আমার আগে যারা এখানে দায়িত্বে ছিলেন আমি দেখেছি পত্রিকাতে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে তারা অনেক সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছিলেন। কিন্তু মানুষ যদি তার জীবন নিয়ে সচেতন না হয় এবং ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করে সেক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু থাকে না। এরপরেও আমরা সবসময় মানুষকে বোঝাই এবং সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করি যেন তারা নিয়মিত ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করেন।’