দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা দাউদকান্দি পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ভরাট করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বাড়ছে অপরদিকে নৌ চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।
দাউদকান্দি পৌর এলাকার বলদাখালটি ভরাট করে অবৈধ দখলদাররা দালানকোঠা ও ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে ফেলেছে। থানা সদরের পাশের খালটির ভিতর দিয়ে এককালে নৌচলাচল করলেও এখন এমনভাবে ভরাট করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে খালের চিহ্নটুকু খুঁজে পাওয়ার সুযোগ নেই। পৌর সদরের ময়লা-আবর্জনা এবং বৃষ্টির পানি এ খাল দিয়ে নদীতে সরে যেত। খালটি ভরাট করে বাড়ি-ঘর করে ফেলায় পানি নিষ্কাশনের এখন আর ব্যবস্থা নেই। একই অবস্থা হয়েছে পৌর এলাকার তুজারভাঙ্গা, সতানন্দি এবং বারাগাঁও খালের।
গৌরীপুর বাজারের পূর্ব পাশের খালটিও অবৈধ দখলে চলে গেছে। খালের দুই পাড়ের লোকেরা এমনভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেছে যে ঐ খালটি যেন এখন ছোট্ট একটি নালায় পরিণত হয়েছে। ময়লা আবর্জনা দিয়ে খালটি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে এবং প্রভাবশালীরা দখল করে নিচ্ছে।
খালের পাড়েই অবস্থিত গৌরীপুর সুবল-আফতাব উচ্চ বিদ্যালয় ও গৌরীপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রী দুর্গন্ধময় পরিবেশের কারণে টিকে থাকতে পারছে না। এ অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকগণকে নাকে মুখে রুমাল বেঁধে ক্লাস করতে হচ্ছে বলে উভয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান।
এদিকে ময়লা আবর্জনায় খালটির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গোমতী কালাডুমুর নদীতে পানি নামতে পারছে না। ফলে গৌরীপুর বাজারের দক্ষিণ পূর্বাংশ, মাইথারকান্দি, পেন্নাই, হরিপুর থেকে দক্ষিণ দিক এককালে নৌ চলাচলের মাধ্যমে গৌরীপুর বাজার থেকে মলয় বাজার পর্যন্ত নৌপথে যে ব্যবসা বাণিজ্য চলত তা এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।
মাইথারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ বলেন, খালের ব্রিজের রেলিং পর্যন্ত ময়লা আবর্জনার নীচে ডুবে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এলাকাবাসী আন্দোলনে নামবে।
দাউদকান্দি পৌরসভার মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন বলেন, পৌর এলাকার খাল উদ্ধারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমীন বলেন, পরিবেশ রক্ষার্থে অবশ্যই ময়লা আবর্জনা সরিয়ে খালের প্রবাহ সৃষ্টি করা হবে এবং খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হবে।