ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশ বেচে দেয়ার কথা যারা বলে তারা অর্বাচীন: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক;
দেশ বেচে দেয়ার কথা যারা বলে তারা অর্বাচীন মন্তব্য করেছেন ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চারদিনের সফরের শেষ দিন সোমবার ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী, ‘দেশ কতটুকু বেচলাম, না অর্জন করলাম সেটা আপনারা দেখলেন। আমরা ভারতের সঙ্গে অনেক চুক্তি করেছি। বর্ডারহাট করেছি, গঙ্গার পানিচুক্তি করেছি, সিটমহল খুলে দিয়েছি।’
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন বিনিয়োগের সুযোগ নিন। সরকার সবধরনের সহায়তা দেবে। ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের অবিচলিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি উচ্চ জনতাত্ত্বিক লভ্যাংশ, সস্তা ব্যবসা খরচ ও বিশাল ভোক্তা জনগোষ্ঠীর পূর্ণ সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন। তবে আপনাদের বিনিয়োগকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘমেয়াদী ইন্দো-বাংলা বিনিয়োগ চুক্তি হওয়া দরকার। এছাড়া আমরা আপনাদের বিনিয়োগকৃত মূলধনের লভ্যাংশ একশত শতাংশ পর্যন্ত ফিরিয়ে দেয়ার আকর্ষণীয় প্যাকেজ ঘোষণা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও এই সময়ে আমরা এশিয়ার দেশগুলোর সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করে আসছি। এরমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে আমরা অর্থনীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এর অগ্রগতি সাধনে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি। এই ট্র্যাকে পদার্পণ করে ইতোমধ্যেই আমরা মধ্যম আয়ের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এ পরিণত হয়েছি এবং আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়া। এছাড়া, প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারস (পিডব্লিউসি) এর গবেষণাপত্র ‘২০৫০ সালে বিশ্ব’ তে পূর্বাভাস দিচ্ছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশও এ তালিকার ২৯তম স্থানের অধিকারী হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত আট বছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ থেকে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং ২০২০ সালের মধ্যেই তা ৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়া সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) হতে আমরা ২ বিলিয়নেরও বেশি আয় করেছি এবং ২০২০ সালের মধ্যে এর মাধ্যমে ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমাদের রফতানি আয় ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং ২০২০ সালেই আমরা তা ৫৪ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি রফতানি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। তাছাড়া মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬৬৬ ডলারে নিয়ে যাওয়ারও চিন্তা করছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিশ্বের ৩৮ টি দেশ থেকে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও চিলি’র মতো আপনারাও আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা বিস্তার করতে পারেন। আমাদের এখানে ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৩০ শতাংশ মধ্যবিত্ত ক্রয়ক্ষমতা জনগোষ্ঠীর বাজার রয়েছে। এছাড়া আমরা আপনাদের কোম্পানিগুলোকে ‘ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড’ সমন্বয় সাধন সুবিধা প্রদানে সক্ষম রয়েছি। শিল্পায়ন অনুমোদন ও বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে মংলা, ভেড়ামারা এবং মিরেরসরাই এই তিনটি অঞ্চল শুধু ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবসায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমাদের বিদ্যুত্ উত্পাদন ১৫ হাজার ৭২৬ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই তা ৫৭ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতের মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমাদের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বেড়ে ৬৩২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং উচ্চ জনতাত্ত্বিক লভ্যাংশ ও কম শ্রমিক খরচের পূর্ণ সুবিধা নিতে আমাদের এখানে ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
তাছাড়া আমরা পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের মতো বৃহত্ অবকাঠামোর উন্নয়নে হাত দিয়েছি, যা আমাদের দেশের ভবিষ্যত্ ভাগ্য পাল্টে দেবে। আমি বাংলাদেশের অবকাঠামো, বিদ্যুত্ ও জ্বালানি, উত্পাদন এবং পরিবহনখাতে ভারতীয়দের বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন শেখ হাসিনা।
আইএমএফের রিপোর্টেই প্রকাশ পেয়েছে যে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একটি স্থিতিশীল দেশ। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশ খুব ভালো অংশীদার। আমরা আমাদের এই গভীর পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি। এতে আমি বাংলাদেশের ব্যবসায়ে আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
ইত্তেফাক
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

দেশ বেচে দেয়ার কথা যারা বলে তারা অর্বাচীন: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:০৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
জাতীয় ডেস্ক;
দেশ বেচে দেয়ার কথা যারা বলে তারা অর্বাচীন মন্তব্য করেছেন ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চারদিনের সফরের শেষ দিন সোমবার ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী, ‘দেশ কতটুকু বেচলাম, না অর্জন করলাম সেটা আপনারা দেখলেন। আমরা ভারতের সঙ্গে অনেক চুক্তি করেছি। বর্ডারহাট করেছি, গঙ্গার পানিচুক্তি করেছি, সিটমহল খুলে দিয়েছি।’
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন বিনিয়োগের সুযোগ নিন। সরকার সবধরনের সহায়তা দেবে। ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের অবিচলিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি উচ্চ জনতাত্ত্বিক লভ্যাংশ, সস্তা ব্যবসা খরচ ও বিশাল ভোক্তা জনগোষ্ঠীর পূর্ণ সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন। তবে আপনাদের বিনিয়োগকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘমেয়াদী ইন্দো-বাংলা বিনিয়োগ চুক্তি হওয়া দরকার। এছাড়া আমরা আপনাদের বিনিয়োগকৃত মূলধনের লভ্যাংশ একশত শতাংশ পর্যন্ত ফিরিয়ে দেয়ার আকর্ষণীয় প্যাকেজ ঘোষণা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও এই সময়ে আমরা এশিয়ার দেশগুলোর সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করে আসছি। এরমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে আমরা অর্থনীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এর অগ্রগতি সাধনে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি। এই ট্র্যাকে পদার্পণ করে ইতোমধ্যেই আমরা মধ্যম আয়ের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এ পরিণত হয়েছি এবং আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়া। এছাড়া, প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারস (পিডব্লিউসি) এর গবেষণাপত্র ‘২০৫০ সালে বিশ্ব’ তে পূর্বাভাস দিচ্ছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশও এ তালিকার ২৯তম স্থানের অধিকারী হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত আট বছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ থেকে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং ২০২০ সালের মধ্যেই তা ৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়া সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) হতে আমরা ২ বিলিয়নেরও বেশি আয় করেছি এবং ২০২০ সালের মধ্যে এর মাধ্যমে ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমাদের রফতানি আয় ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং ২০২০ সালেই আমরা তা ৫৪ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি রফতানি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। তাছাড়া মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬৬৬ ডলারে নিয়ে যাওয়ারও চিন্তা করছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিশ্বের ৩৮ টি দেশ থেকে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও চিলি’র মতো আপনারাও আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা বিস্তার করতে পারেন। আমাদের এখানে ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৩০ শতাংশ মধ্যবিত্ত ক্রয়ক্ষমতা জনগোষ্ঠীর বাজার রয়েছে। এছাড়া আমরা আপনাদের কোম্পানিগুলোকে ‘ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড’ সমন্বয় সাধন সুবিধা প্রদানে সক্ষম রয়েছি। শিল্পায়ন অনুমোদন ও বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে মংলা, ভেড়ামারা এবং মিরেরসরাই এই তিনটি অঞ্চল শুধু ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবসায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমাদের বিদ্যুত্ উত্পাদন ১৫ হাজার ৭২৬ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই তা ৫৭ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতের মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমাদের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বেড়ে ৬৩২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং উচ্চ জনতাত্ত্বিক লভ্যাংশ ও কম শ্রমিক খরচের পূর্ণ সুবিধা নিতে আমাদের এখানে ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
তাছাড়া আমরা পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের মতো বৃহত্ অবকাঠামোর উন্নয়নে হাত দিয়েছি, যা আমাদের দেশের ভবিষ্যত্ ভাগ্য পাল্টে দেবে। আমি বাংলাদেশের অবকাঠামো, বিদ্যুত্ ও জ্বালানি, উত্পাদন এবং পরিবহনখাতে ভারতীয়দের বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন শেখ হাসিনা।
আইএমএফের রিপোর্টেই প্রকাশ পেয়েছে যে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একটি স্থিতিশীল দেশ। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশ খুব ভালো অংশীদার। আমরা আমাদের এই গভীর পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি। এতে আমি বাংলাদেশের ব্যবসায়ে আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
ইত্তেফাক