ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানি থেকে ক্যান্সারের বিষ দূরকরণের যৌগ উদ্ভাবন

স্বাস্থ্য ডেস্ক রির্পোটঃ

পানির অপর নাম জীবন অথচ এই পানি দূষিত কিংবা বিষাক্ত হলে পানিই হতে পারে নানা রোগের কারণ। এমনকি মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে এই পানি। পানি বিষমুক্ত করতে এবার ভারতের তরুণ বিজ্ঞানী রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন খুব কম খরচে পানি বিষমুক্তকরণের বিশেষ এক যৌগ। ফোম বা ফেনার মতো সেই জৈব যৌগটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পানিকে পুরোপুরি বিষমুক্ত করতে সক্ষম। পানি থেকে খুব দ্রুত ক্যান্সারের জন্য দায়ী কার্সিনোজেনিককে শুষে নিতে সক্ষম এই ফোম। ভারতে এই ধরনের গবেষণায় রাহুলই পথিকৃৎ বিজ্ঞানী। তিনি লন্ডনের ‘ফেলো অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি’।

 

মোহনপুরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (আইসার-কলকাতা)-এর অধ্যাপক রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ৯ ছাত্রছাত্রীর সেই গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি’ (জেএসিএস)-র এপ্রিল সংখ্যায়। যৌগটি তৈরি করতে তাকে বিশেষ তাপ কিংবা চাপের সমস্যায় পড়তে হয়নি। যৌগটি তৈরি করেছেন কক্ষ তাপমাত্রায়। এ কারণেই এই যৌগটির উত্পাদন খরচ খুব কম।

অন্যতম গবেষক কৌশিক দে বলেন, সব ধরনের পানিতে মিশে থাকে একটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক পদার্থ ‘বিস ফেনল’ যা ক্যানসারের জনক। যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে, ‘কার্সিনোজেনিক মেটারিয়াল’। পানি থেকে এই বিষ দূর করার কার্যকর কোনো পদ্ধতি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। কারণ হিসেবে রাহুল বলেন, এগুলো খুবই সামান্য পরিমাণে থাকে পানিতে। আর তাদের চেহারাটাও খুবই ছোট্ট। চোখেই পড়ে না। এখনো পর্যন্ত কোনো ফিল্টার, তা সে ঘরেরই হোক বা কোনো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের, কোথাও পানি থেকে সেই মারাত্মক বিষ শুষে নিতে পারে না। কিন্তু আমাদের বানানো পদার্থটিতে এই বিষকে দূর করা সম্ভব। রাহুল বলেন, এখন আমরা যে পদার্থটি বানিয়েছি, তা দিয়ে বানানো হলে ফিল্টারের দাম পড়বে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু নারকেলের ছোবড়া, কাগজের মণ্ড তাতে যোগ করলে সেই দামই নেমে আসবে ১৫০/২০০ টাকায়।’-আনন্দবাজার

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

পানি থেকে ক্যান্সারের বিষ দূরকরণের যৌগ উদ্ভাবন

আপডেট সময় ০৪:৩৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০১৯
স্বাস্থ্য ডেস্ক রির্পোটঃ

পানির অপর নাম জীবন অথচ এই পানি দূষিত কিংবা বিষাক্ত হলে পানিই হতে পারে নানা রোগের কারণ। এমনকি মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে এই পানি। পানি বিষমুক্ত করতে এবার ভারতের তরুণ বিজ্ঞানী রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন খুব কম খরচে পানি বিষমুক্তকরণের বিশেষ এক যৌগ। ফোম বা ফেনার মতো সেই জৈব যৌগটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পানিকে পুরোপুরি বিষমুক্ত করতে সক্ষম। পানি থেকে খুব দ্রুত ক্যান্সারের জন্য দায়ী কার্সিনোজেনিককে শুষে নিতে সক্ষম এই ফোম। ভারতে এই ধরনের গবেষণায় রাহুলই পথিকৃৎ বিজ্ঞানী। তিনি লন্ডনের ‘ফেলো অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি’।

 

মোহনপুরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (আইসার-কলকাতা)-এর অধ্যাপক রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ৯ ছাত্রছাত্রীর সেই গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি’ (জেএসিএস)-র এপ্রিল সংখ্যায়। যৌগটি তৈরি করতে তাকে বিশেষ তাপ কিংবা চাপের সমস্যায় পড়তে হয়নি। যৌগটি তৈরি করেছেন কক্ষ তাপমাত্রায়। এ কারণেই এই যৌগটির উত্পাদন খরচ খুব কম।

অন্যতম গবেষক কৌশিক দে বলেন, সব ধরনের পানিতে মিশে থাকে একটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক পদার্থ ‘বিস ফেনল’ যা ক্যানসারের জনক। যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে, ‘কার্সিনোজেনিক মেটারিয়াল’। পানি থেকে এই বিষ দূর করার কার্যকর কোনো পদ্ধতি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। কারণ হিসেবে রাহুল বলেন, এগুলো খুবই সামান্য পরিমাণে থাকে পানিতে। আর তাদের চেহারাটাও খুবই ছোট্ট। চোখেই পড়ে না। এখনো পর্যন্ত কোনো ফিল্টার, তা সে ঘরেরই হোক বা কোনো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের, কোথাও পানি থেকে সেই মারাত্মক বিষ শুষে নিতে পারে না। কিন্তু আমাদের বানানো পদার্থটিতে এই বিষকে দূর করা সম্ভব। রাহুল বলেন, এখন আমরা যে পদার্থটি বানিয়েছি, তা দিয়ে বানানো হলে ফিল্টারের দাম পড়বে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু নারকেলের ছোবড়া, কাগজের মণ্ড তাতে যোগ করলে সেই দামই নেমে আসবে ১৫০/২০০ টাকায়।’-আনন্দবাজার