ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিরক্ষা চুক্তি থেকে দৃষ্টি ফেরাতে পরিকল্পিত জঙ্গি তৎপরতা : রিজভী

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রাক্কালে প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতিবাদে সারাদেশ যখন ফুঁসে উঠেছে, তখনই দেশব্যাপী পরিকল্পিতভাবে রক্তাক্ত জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল হিসেবে দেখছে জনগণ। জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সরকার পরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদের সামগ্রিক তৎপরতা আড়াল করছে। জনগণের কাছে আজ পরিষ্কার, জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করে সরকার ফায়দা নিচ্ছে। জঙ্গিবাদ নিয়ে দেশের মানুষকে গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আসন্ন ভারত সফর নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা কেবিনেটে বসি। আমরা তো জানি না কি চুক্তি হবে। বিএনপি জানলো কিভাবে কি চুক্তি হবে। কোনো চুক্তি যদি প্রধানমন্ত্রী করে তাহলে জনগণ জানতে পারবে।’ অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি হবে না। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে সরকারের একেক মন্ত্রী একেক কথা বলছেন। জনগণ কার কথা বিশ্বাস করবে। জনগণকে অন্ধকারে রেখে স্বার্থবিরোধী চুক্তি করছেন। চুক্তি গোপন করতে আবার মন্ত্রীরা অসত্য কথা বলছেন। ভারতের কাছে নতজানু হয়ে থাকাই যেন এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি। বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি সৈন্য বরদাস্ত করা হবে না।
রিজভী বলেন, র‌্যাবের ব্যারাকে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত হানিফ মৃধা-সোহেলদের মা ও স্ত্রীদের মর্মস্পর্শী কান্নায় জনগণের কাছে জঙ্গিবাদ নিয়ে সরকারের রহস্যজনক ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে।  জঙ্গির নামে যাদেরকে সন্দেহমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে হত্যা করা হচ্ছে, সেটিও রহস্যের জন্ম দিচ্ছে। বর্তমানে গুম-অপহরণের অধিকাংশ ঘটনা পুলিশ থানায় নথিভুক্ত করতে চায় না। গুম-অপহরণের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকায় ওইসব ঘটনায় থানায় মামলা করা রীতিমতো দুঃসাধ্য। এমনকি তা সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করতেও চায় না, আর করলেও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
‘জঙ্গিবাদ জাতীয় নির্বাচনের অন্তরায়’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন একটি বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘তাঁর বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে জঙ্গি হামলার সুবিধাভোগী কারা। কারা জঙ্গিবাদ জিইয়ে রেখে রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। এখন জনগণের কাছে পরিষ্কার, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি বানচাল করার জন্যই জঙ্গি তৎপরতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিরক্ষা চুক্তি থেকে দৃষ্টি ফেরাতে পরিকল্পিত জঙ্গি তৎপরতা : রিজভী

আপডেট সময় ০৩:১০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রাক্কালে প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতিবাদে সারাদেশ যখন ফুঁসে উঠেছে, তখনই দেশব্যাপী পরিকল্পিতভাবে রক্তাক্ত জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল হিসেবে দেখছে জনগণ। জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সরকার পরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদের সামগ্রিক তৎপরতা আড়াল করছে। জনগণের কাছে আজ পরিষ্কার, জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করে সরকার ফায়দা নিচ্ছে। জঙ্গিবাদ নিয়ে দেশের মানুষকে গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আসন্ন ভারত সফর নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা কেবিনেটে বসি। আমরা তো জানি না কি চুক্তি হবে। বিএনপি জানলো কিভাবে কি চুক্তি হবে। কোনো চুক্তি যদি প্রধানমন্ত্রী করে তাহলে জনগণ জানতে পারবে।’ অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি হবে না। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে সরকারের একেক মন্ত্রী একেক কথা বলছেন। জনগণ কার কথা বিশ্বাস করবে। জনগণকে অন্ধকারে রেখে স্বার্থবিরোধী চুক্তি করছেন। চুক্তি গোপন করতে আবার মন্ত্রীরা অসত্য কথা বলছেন। ভারতের কাছে নতজানু হয়ে থাকাই যেন এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি। বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি সৈন্য বরদাস্ত করা হবে না।
রিজভী বলেন, র‌্যাবের ব্যারাকে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত হানিফ মৃধা-সোহেলদের মা ও স্ত্রীদের মর্মস্পর্শী কান্নায় জনগণের কাছে জঙ্গিবাদ নিয়ে সরকারের রহস্যজনক ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে।  জঙ্গির নামে যাদেরকে সন্দেহমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে হত্যা করা হচ্ছে, সেটিও রহস্যের জন্ম দিচ্ছে। বর্তমানে গুম-অপহরণের অধিকাংশ ঘটনা পুলিশ থানায় নথিভুক্ত করতে চায় না। গুম-অপহরণের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকায় ওইসব ঘটনায় থানায় মামলা করা রীতিমতো দুঃসাধ্য। এমনকি তা সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করতেও চায় না, আর করলেও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
‘জঙ্গিবাদ জাতীয় নির্বাচনের অন্তরায়’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন একটি বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘তাঁর বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে জঙ্গি হামলার সুবিধাভোগী কারা। কারা জঙ্গিবাদ জিইয়ে রেখে রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। এখন জনগণের কাছে পরিষ্কার, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি বানচাল করার জন্যই জঙ্গি তৎপরতা সৃষ্টি করা হয়েছে।