ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে একই কেন্দ্রে ৭১ পরীক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক বহিষ্কার

জাতীয় ডেস্কঃ
চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ফরিদপুর শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৭১ পরীক্ষার্থী, ১০ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় আটক ৩ শিক্ষককে ১ মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে থাকা মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রে ফরিদপুর সদর উপজেলার ১৪টি মাদ্রাসার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন শিক্ষক হলেন- মো. ফায়জুর রহমান, আব্দুর রশিদ খান, জসিম উদদীন। বহিষ্কার হওয়া সকলেই ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, আজ শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। লিখিত পরীক্ষা শেষে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শুরু হলে এক শিক্ষক রুমে এসে তাদের বলেন- সকলেই ‘ক’ সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করো। শিক্ষকের কথা মত প্রায় সকল পরীক্ষার্থীই ‘ক’ সেট উত্তরপত্র ভরাট করে।
বিষয়টি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নজরে এলে তিনি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান।
জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় ৪ সেট প্রশ্ন। যে যেই সেট প্রশ্ন পাবে তাকে সেই সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করতে হবে। সেখানে কক্ষের সকলেই একটি সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করে। পরীক্ষার্থীদের এই অসদুপায় অবলম্বনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, যে ৭১ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এদের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত বোর্ড গ্রহণ করবে। আজকেই (বৃহস্পতিবার) ওই কেন্দ্রে নতুন সচিব নিয়োগ দেয়া হবে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ফরিদপুরে একই কেন্দ্রে ৭১ পরীক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক বহিষ্কার

আপডেট সময় ০১:২০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ফরিদপুর শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৭১ পরীক্ষার্থী, ১০ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় আটক ৩ শিক্ষককে ১ মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে থাকা মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রে ফরিদপুর সদর উপজেলার ১৪টি মাদ্রাসার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন শিক্ষক হলেন- মো. ফায়জুর রহমান, আব্দুর রশিদ খান, জসিম উদদীন। বহিষ্কার হওয়া সকলেই ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, আজ শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। লিখিত পরীক্ষা শেষে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শুরু হলে এক শিক্ষক রুমে এসে তাদের বলেন- সকলেই ‘ক’ সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করো। শিক্ষকের কথা মত প্রায় সকল পরীক্ষার্থীই ‘ক’ সেট উত্তরপত্র ভরাট করে।
বিষয়টি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নজরে এলে তিনি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান।
জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় ৪ সেট প্রশ্ন। যে যেই সেট প্রশ্ন পাবে তাকে সেই সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করতে হবে। সেখানে কক্ষের সকলেই একটি সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করে। পরীক্ষার্থীদের এই অসদুপায় অবলম্বনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, যে ৭১ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এদের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত বোর্ড গ্রহণ করবে। আজকেই (বৃহস্পতিবার) ওই কেন্দ্রে নতুন সচিব নিয়োগ দেয়া হবে।