ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে আকষ্মিক প্রশাসনিক অভিযানে জনমনে স্বস্থি

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলায় আজ সকালে আকষ্মিক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পৌর শহরটি যানজট মুক্ত,সরকারি রাস্তা দখলমুক্ত ও ফুটপাথে ভাসমান ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সরেজমিন ও খোজ নিয়ে জানা গেছে,দীর্ঘদিন যাবত বাঞ্ছারামপুর সদর পৌর এলাকার রাস্তাগুলো ভাসমান ব্যবসায়ীরা দখল করে ব্যবসা করে আসছিলো।এতে যানজট দিন কি দিন বৃদ্ধি পেয়ে জনদূর্ভোগ বেড়েই চলছিলো।এলাকাবাসীর কথা মাথায় রেখে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত বসান।নির্বাহী ক্ষমতা বলে এ সময় তিনি কয়েকটি ভোগ্যপন্য দোকানের অনিয়মের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা করেন।নিজে হেটে হেটে উপজেলার প্রধান ব্রীজ হতে বেআইনীভাবে রাখা বিভিন্ন মোটরযান সরিয়ে দেন।ফল ব্যবসায়ীদের একটি নির্দিষ্ট স্থান করে দেন ইউএনও নিজে উদ্যোগী হয়ে।

আদালতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এসআই জয়নাল আবেদীনের নের্তৃত্বে একটি বিশেষ পুলিশ টীম সহায়তা দেয়।

দেখা গেছে,প্রশাসনের সকালের উদ্যোগের ফলে বিকেলের দিকে পৌর এলাকায় সম্পূর্ণ যানজট মুক্ত ছিলো।কিন্তু,প্রধান ব্রীজে ফের বিভিন্ন প্রকার মোটর যান জায়গা দখলের ফলে ব্রীজের উপর যানজট লেগে যায়।

বাজারের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন,বাঞ্ছারামপুর সদর পৌর এলাকায় বাজার হতে যতোদিন বাইপাস বা বিকল্প সড়ক জগন্নাথপুর পর্যন্ত না হবে ততোদিন পৌর বাসীর দূর্ভোগ থেকেই যাবে।পৌর এলাকার প্রধান রাস্তা সরকারি ঘোষনানুযায়ী ২৪ ফিট প্রশ্বস্ত করে, রাস্তার একটি স্থায়ী সমাধান আশা করছেন এলাকাবাসী।

ইউএনও মো.শরিফুর ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন,-‘খুব শীঘ্রই বাঞ্ছারামপুরের ফল ব্যবসায়ীদের অন্যত্র স্থায়ীভাবে পূর্ণবাসন করা হচ্ছে।উপজেলার প্রায় সব সড়কের সংস্কার/মেরামতের কাজ নতুন অর্থ বছরের শুরুতে মানে আগষ্টের মধ্যে শুরু করা হবে’।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

বাঞ্ছারামপুরে আকষ্মিক প্রশাসনিক অভিযানে জনমনে স্বস্থি

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুন ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলায় আজ সকালে আকষ্মিক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পৌর শহরটি যানজট মুক্ত,সরকারি রাস্তা দখলমুক্ত ও ফুটপাথে ভাসমান ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সরেজমিন ও খোজ নিয়ে জানা গেছে,দীর্ঘদিন যাবত বাঞ্ছারামপুর সদর পৌর এলাকার রাস্তাগুলো ভাসমান ব্যবসায়ীরা দখল করে ব্যবসা করে আসছিলো।এতে যানজট দিন কি দিন বৃদ্ধি পেয়ে জনদূর্ভোগ বেড়েই চলছিলো।এলাকাবাসীর কথা মাথায় রেখে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত বসান।নির্বাহী ক্ষমতা বলে এ সময় তিনি কয়েকটি ভোগ্যপন্য দোকানের অনিয়মের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা করেন।নিজে হেটে হেটে উপজেলার প্রধান ব্রীজ হতে বেআইনীভাবে রাখা বিভিন্ন মোটরযান সরিয়ে দেন।ফল ব্যবসায়ীদের একটি নির্দিষ্ট স্থান করে দেন ইউএনও নিজে উদ্যোগী হয়ে।

আদালতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এসআই জয়নাল আবেদীনের নের্তৃত্বে একটি বিশেষ পুলিশ টীম সহায়তা দেয়।

দেখা গেছে,প্রশাসনের সকালের উদ্যোগের ফলে বিকেলের দিকে পৌর এলাকায় সম্পূর্ণ যানজট মুক্ত ছিলো।কিন্তু,প্রধান ব্রীজে ফের বিভিন্ন প্রকার মোটর যান জায়গা দখলের ফলে ব্রীজের উপর যানজট লেগে যায়।

বাজারের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন,বাঞ্ছারামপুর সদর পৌর এলাকায় বাজার হতে যতোদিন বাইপাস বা বিকল্প সড়ক জগন্নাথপুর পর্যন্ত না হবে ততোদিন পৌর বাসীর দূর্ভোগ থেকেই যাবে।পৌর এলাকার প্রধান রাস্তা সরকারি ঘোষনানুযায়ী ২৪ ফিট প্রশ্বস্ত করে, রাস্তার একটি স্থায়ী সমাধান আশা করছেন এলাকাবাসী।

ইউএনও মো.শরিফুর ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন,-‘খুব শীঘ্রই বাঞ্ছারামপুরের ফল ব্যবসায়ীদের অন্যত্র স্থায়ীভাবে পূর্ণবাসন করা হচ্ছে।উপজেলার প্রায় সব সড়কের সংস্কার/মেরামতের কাজ নতুন অর্থ বছরের শুরুতে মানে আগষ্টের মধ্যে শুরু করা হবে’।