মো.আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ৪ ব্যবসায়ীর কাছে সরকারি খাস জায়গা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সংলগ্ন সীমান্তবর্তি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের চরলৌহনীয়া গ্রামের শেখ হাসিনা তিতাস সেতুর অধিগ্রহণের ও নদীর জায়গা সম্প্রতি ভাড়া দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চরলৌহনীয়া,ভুরভুরিয়া ও হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এই তিন গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে ২০১৬ সালে তিতাস নদীর উপর ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা তিতাস সেতুটির নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণকালে তিন অংশে প্রায় ৯ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন করেন ২০১৮ সালের ২৪ শে অক্টোবর।

সেতুটির নিচের অধিগ্রহণের জায়গা ও তিতাস নদীর পূর্বপাড়ের খাস জমিতে ৪ ব্যবসায়ী বাঁশের ব্যবসা করছেন। সেতুর তলদেশে নদীতে এলোপাতাড়ি বাঁশ রেখে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নদীর অর্ধেকের বেশি জায়গা রয়েছে এ ব্যবসায়ীদের দখলে।
ফরদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ চরলৌহনীয়া গ্রামের কনু মিয়া,শাহ আলম ও আনিস মিয়া, ঝুনারচর গ্রামের সাদেক মিয়া নামের এ ৪ ব্যবসায়ীর কাছে সেতুটির নিচের অধিগ্রহণের জায়গা ও সরকারি খাস জমি ৪৫ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা সেতুর নিচে ও নদীতে এলোপাতাড়ি ভাবে বাঁশ রাখার কারণে নৌ ও লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

ফরদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, অনেক বছর ধরে তারা এখানে বাঁশের ব্যবসা করে আসছেন। এ বছর তাদের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছি মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য। ব্রীজের নিচের জাগয়া তো খালি পড়ে আছে। আর তারা তো সরকারি জায়গায় ব্যবসা করছে,তাই মসজিদের উন্নয়নের জন্য তাদের কাছ থেকে এ বছর টাকা নিয়েছি।

এব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাছির উদ্দিন সরওয়ার জানান, শেখ হাসিনা তিতাস সেতুর অধিগ্রহণের জায়গা কিংবা সরকারি খাস জমি কেউ ভাড়া দিতে পারে না। নদীতে কোনো কিছু রাখার সুযোগ নেই। বিশেষ করে নৌ চলাচল ব্যাহত হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেব।