ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে ২০ হেক্টর কৃষিজমি, খাল-বিল বালি দিয়ে ভরাটের অভিযোগ

সালমা আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খাল-বিল-ডোবাসহ কৃষিজমি সরকারি ড্রেজারে তোলা বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে,প্রকাশ্যে। দেশের কৃষি জমি ও জলাধার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মানুষের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বালু ভরাট হচ্ছে এসব খাল-বিলসহ ফসলি জমি।অভিযোগ জানা গেছে, সেটি করছেন উপজেলার উজানচর ইউপি’র জনি চেয়ারম্যানের নের্তৃত্বে একটি সিন্ডিকেট।ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাধারন জনগন তো দুরে থাক,খোদ প্রশাসনই কোন ব্যবস্থা নিতে সাহস দেখাচ্ছেন না বলে নানা মহলে প্রচারনা রয়েছে।আর এতে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে সাধারন কৃষকের মাঝে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ফলে গত ৬ মাসে উজানচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ২০ হেক্টর (২০০ বিঘা) আবাদি জমি,বসতবাড়ি ও খাল ভটার করে নদীর গতিপথ থামিয়ে দেয়া হয়েছে।অভিযোগ রয়েছে,ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে জনি চেয়ারম্যান সরকারি ড্রেজারের বালি সাধারন পাবলিকের কাছে বিক্রি ও কৃষি জমি ভরাট করে তিনি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বাঞ্ছারামপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মো.গোলাম মোস্তফা জানান, উজানচর ইউনিয়নে কৃষির খুব ক্ষতি হয়েছে বুধাইরকান্দি গ্রামের খালটি ভরাট করায়।কৃষি জমি ভরাটে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও,আমাদের ক্ষমতা নেই,সেই আইন প্রয়োগ করার।

সরেজমিন দেখা গেছে, উজানচর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি ষ্টীলব্রীজের এর নীচে তিতাস নদী হতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করে সেখানে ড্রেজিং করে বালি ফেলেছেন উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জনি।

বুধাইরকান্দি গ্রামের কৃষক মো. জামাল মিয়া বলেন,-‘ষ্টীলব্রীজের নীচ দিয়ে সারা বছর আমাদের ইরি জমিতে পানি আসতো।এখন সেটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি কিনে দিতে হবে।এতে ধানের উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধি পাবে।

কৃষকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জনি চেয়ারম্যান বলেন,-‘ষ্টীল ব্রীজের নীচ দিয়ে ২০০৪ সাল থেকে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় বালু ভরাট করা হয়েছে।এতে কৃষকের কোন ক্ষতি হবে না’।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম এবিষয়ে বলেন, ‘কৃষি জমি রক্ষায় আইন হয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম আজ বলেন,-‘সরকারি ড্রেজারে উত্তোলিত বালি নামমাত্র মূল্যে যে ব্যক্তি সাধারন মানুষের কাছে অধিকমূল্যে বিক্রি করে নিজে লাভবান হয়ে কৃষকের ক্ষতি করছেন,তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

বাঞ্ছারামপুরে চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে ২০ হেক্টর কৃষিজমি, খাল-বিল বালি দিয়ে ভরাটের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৮
সালমা আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খাল-বিল-ডোবাসহ কৃষিজমি সরকারি ড্রেজারে তোলা বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে,প্রকাশ্যে। দেশের কৃষি জমি ও জলাধার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মানুষের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বালু ভরাট হচ্ছে এসব খাল-বিলসহ ফসলি জমি।অভিযোগ জানা গেছে, সেটি করছেন উপজেলার উজানচর ইউপি’র জনি চেয়ারম্যানের নের্তৃত্বে একটি সিন্ডিকেট।ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাধারন জনগন তো দুরে থাক,খোদ প্রশাসনই কোন ব্যবস্থা নিতে সাহস দেখাচ্ছেন না বলে নানা মহলে প্রচারনা রয়েছে।আর এতে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে সাধারন কৃষকের মাঝে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ফলে গত ৬ মাসে উজানচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ২০ হেক্টর (২০০ বিঘা) আবাদি জমি,বসতবাড়ি ও খাল ভটার করে নদীর গতিপথ থামিয়ে দেয়া হয়েছে।অভিযোগ রয়েছে,ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে জনি চেয়ারম্যান সরকারি ড্রেজারের বালি সাধারন পাবলিকের কাছে বিক্রি ও কৃষি জমি ভরাট করে তিনি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বাঞ্ছারামপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মো.গোলাম মোস্তফা জানান, উজানচর ইউনিয়নে কৃষির খুব ক্ষতি হয়েছে বুধাইরকান্দি গ্রামের খালটি ভরাট করায়।কৃষি জমি ভরাটে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও,আমাদের ক্ষমতা নেই,সেই আইন প্রয়োগ করার।

সরেজমিন দেখা গেছে, উজানচর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি ষ্টীলব্রীজের এর নীচে তিতাস নদী হতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করে সেখানে ড্রেজিং করে বালি ফেলেছেন উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জনি।

বুধাইরকান্দি গ্রামের কৃষক মো. জামাল মিয়া বলেন,-‘ষ্টীলব্রীজের নীচ দিয়ে সারা বছর আমাদের ইরি জমিতে পানি আসতো।এখন সেটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি কিনে দিতে হবে।এতে ধানের উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধি পাবে।

কৃষকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জনি চেয়ারম্যান বলেন,-‘ষ্টীল ব্রীজের নীচ দিয়ে ২০০৪ সাল থেকে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় বালু ভরাট করা হয়েছে।এতে কৃষকের কোন ক্ষতি হবে না’।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম এবিষয়ে বলেন, ‘কৃষি জমি রক্ষায় আইন হয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম আজ বলেন,-‘সরকারি ড্রেজারে উত্তোলিত বালি নামমাত্র মূল্যে যে ব্যক্তি সাধারন মানুষের কাছে অধিকমূল্যে বিক্রি করে নিজে লাভবান হয়ে কৃষকের ক্ষতি করছেন,তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’