ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

খেলাধূলা ডেস্কঃ

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর হয়েছিল উরুগুয়েতে। এরপর ২০টি বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চায়ন হয়েছে। ৮৮ বছরের ইতিহাসে এবার একুশতম বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের চাদর সরে গেল ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠান দিয়ে। গতানুগতিকভাবে অন্য বিশ্বকাপগুলোর যেভাবে উদ্বোধন হয়েছিল, রাশিয়ায় সেটা হয়নি। তারা নিজেদের আলাদা করে চিনিয়ে দিয়েছে। গান আর সুর দিয়ে যন্ত্রসঙ্গগীত দিয়ে দর্শকদের মোহিত করেছে।

স্বাগতিক রাশিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছিল অন্য বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা যেভাবে হয় রাশিয়া তাদের ঘরের মাঠে সেভাবে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করবে না। তারা আলাদা পথে হাঁটবে। একটু ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। জমকালো উদ্বোধন করলেও মাত্রাটা ভিন্নই ছিল। রাশানদের আলাদা করে চেনা গেল। কাউকে বুঝতে দেওয়া হয়নি কি হবে! সবাই ভেবেছিল পেছনের বিশ্বকাপে যা হয়েছে সেটাই হবে। ইতিহাস কিংবা ঐতিহ্য দেখানোর পথে হাঁটেনি রাশানরা। ঘাসের মাঠে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফুটবলের চাদর। তার ওপরে বসিয়ে দেওয়া হয় ফুটবলের ঢংয়ে তৈরি ফুটবল মঞ্চ।

রাশিয়া এবং সৌদী আরবের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে ১৫ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুর আর সঙ্গীতের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রের কাজ তুলে ধরেছে বিশ্ববাসীর কাছে। সঙ্গীতে ঝড় তুলেছেন ব্রিটেনের বিশ্ব বিখ্যাত পপস্টার রব্বি উইলিয়ামস। এই শিল্পীর কণ্ঠের জাদু ৮১ হাজার দর্শক ক্ষমতার লুঝনিকি স্টেডিয়াম মাতোয়ারা করে দেয়। সঙ্গীতে মোহাবিষ্ট দর্শক চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায়। এরপরই আসেন রাশিয়ার বিখ্যাত উচ্চাঙ্গ শিল্পী আইডা গারফলিনা।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ী স্পেনের গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াস এবং রাশিয়ান সুপার মডেল নাতালিয়া রুপালী রংয়ের একটি বক্স হাতে মাঠে প্রবেশ করেন। বক্স খুলে সোনার বিশ্বকাপটি যখন লুঝনিকির মাঠে তুলে ধরা হল দর্শক  তখন গগনবিদারী আওয়াজ করে। সরাসরি বিশ্বকাপ দেখার স্মরণীয় মুহূর্তটি দেখে উল্লাস করে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরাগুলো জ্বলে উঠে হাতে হাতে। রাশিয়ান পিয়ানিস্ট দানিল ট্রিফনভ এবং ভায়োলিন বাদক ইউরি বাসমেট যন্ত্র সঙ্গীতে ডুবিয়ে দেন দর্শকদের।

তার গানের সঙ্গে সহ-শিল্পীরাও নৃত্য পরিবেশন করে। প্রায় হাজার খানেক শিল্পী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী দেশের ৩২ দেশের পতাকা প্রদর্শন করা হয়। যে বল দিয়ে এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা হবে সেই টেলস্টার বলটিও মাঠে দেখানো হয়। এরপর বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধন করেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রেসিডেন্টের উদ্বোধনী ভাষণের সময়ে স্টেডিয়ামের সব দর্শক চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে বিএনপি-এনসিপি পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ১০

বিশ্বকাপের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

আপডেট সময় ০৮:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮
খেলাধূলা ডেস্কঃ

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর হয়েছিল উরুগুয়েতে। এরপর ২০টি বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চায়ন হয়েছে। ৮৮ বছরের ইতিহাসে এবার একুশতম বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের চাদর সরে গেল ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠান দিয়ে। গতানুগতিকভাবে অন্য বিশ্বকাপগুলোর যেভাবে উদ্বোধন হয়েছিল, রাশিয়ায় সেটা হয়নি। তারা নিজেদের আলাদা করে চিনিয়ে দিয়েছে। গান আর সুর দিয়ে যন্ত্রসঙ্গগীত দিয়ে দর্শকদের মোহিত করেছে।

স্বাগতিক রাশিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছিল অন্য বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা যেভাবে হয় রাশিয়া তাদের ঘরের মাঠে সেভাবে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করবে না। তারা আলাদা পথে হাঁটবে। একটু ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। জমকালো উদ্বোধন করলেও মাত্রাটা ভিন্নই ছিল। রাশানদের আলাদা করে চেনা গেল। কাউকে বুঝতে দেওয়া হয়নি কি হবে! সবাই ভেবেছিল পেছনের বিশ্বকাপে যা হয়েছে সেটাই হবে। ইতিহাস কিংবা ঐতিহ্য দেখানোর পথে হাঁটেনি রাশানরা। ঘাসের মাঠে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফুটবলের চাদর। তার ওপরে বসিয়ে দেওয়া হয় ফুটবলের ঢংয়ে তৈরি ফুটবল মঞ্চ।

রাশিয়া এবং সৌদী আরবের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে ১৫ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুর আর সঙ্গীতের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রের কাজ তুলে ধরেছে বিশ্ববাসীর কাছে। সঙ্গীতে ঝড় তুলেছেন ব্রিটেনের বিশ্ব বিখ্যাত পপস্টার রব্বি উইলিয়ামস। এই শিল্পীর কণ্ঠের জাদু ৮১ হাজার দর্শক ক্ষমতার লুঝনিকি স্টেডিয়াম মাতোয়ারা করে দেয়। সঙ্গীতে মোহাবিষ্ট দর্শক চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায়। এরপরই আসেন রাশিয়ার বিখ্যাত উচ্চাঙ্গ শিল্পী আইডা গারফলিনা।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ী স্পেনের গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াস এবং রাশিয়ান সুপার মডেল নাতালিয়া রুপালী রংয়ের একটি বক্স হাতে মাঠে প্রবেশ করেন। বক্স খুলে সোনার বিশ্বকাপটি যখন লুঝনিকির মাঠে তুলে ধরা হল দর্শক  তখন গগনবিদারী আওয়াজ করে। সরাসরি বিশ্বকাপ দেখার স্মরণীয় মুহূর্তটি দেখে উল্লাস করে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরাগুলো জ্বলে উঠে হাতে হাতে। রাশিয়ান পিয়ানিস্ট দানিল ট্রিফনভ এবং ভায়োলিন বাদক ইউরি বাসমেট যন্ত্র সঙ্গীতে ডুবিয়ে দেন দর্শকদের।

তার গানের সঙ্গে সহ-শিল্পীরাও নৃত্য পরিবেশন করে। প্রায় হাজার খানেক শিল্পী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী দেশের ৩২ দেশের পতাকা প্রদর্শন করা হয়। যে বল দিয়ে এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা হবে সেই টেলস্টার বলটিও মাঠে দেখানো হয়। এরপর বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধন করেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রেসিডেন্টের উদ্বোধনী ভাষণের সময়ে স্টেডিয়ামের সব দর্শক চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায়।