ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

আগামি ১২ জানুয়ারি থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে তিনদিন ব্যাপি বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ইজতেমা ময়দান পরিদর্শণ করেছেন।এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং ইজতেমার মুরব্বীরা উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি কাজ ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং বিশ্ব ইজতেমা মাঠের শীর্ষ মুরব্বী মো: গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ইজতেমা মাঠে পৌছে বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বীদের সাথে বৈঠক করেন। পরে ইজতেমা ময়দান, সেনাবাহিনী কর্তৃক ময়দান সংলগ্ন তুরাগ নদীতে ভাসমান সেতু নির্মাণ এবং বিদেশী মুসল্লীদের জন্য তৈরি নিবাস ঘুরে দেখেন।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের অভ্যন্তরীন সড়কগুলোর মেরামত কাজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। পয়নিষ্কাষণ ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়েছে। মায়দানের বাইরের রাস্তাগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ সংস্কার কাজ করছে। টিএন্ডটি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যন্য সকল সুবিধার ব্যাপারে নজর দিতে আমরা এসেছি। যেখানে ঘাটতি পাচ্ছি, সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ করেছি।

তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠের আশেপাশে একটিও অবৈধ দোকন এবং গাড়ির অবৈধ পার্কিং থাকবে না। জেলা প্রশাসনের ১০টি ভ্রাম্যমান পরিচালনা করা হবে। প্রয়োজনে বড় বড় গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ইত্যাদি সুনিদিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে। যাতে নির্বিঘেœ মুসল্লিরা যাতায়ত করতে পারে এবং অন্যান্য যারা এ পথ দিয়ে যাতায়ত করে তাদেরও যেন অসুবিধা না হয়।

জেলা প্রশানক জানান, ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। তুরাগ নদীতে ৭টি পল্টুন ব্রীজ (ভাসমান সেতু) তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। ব্রীজ তৈরির কাজও ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আশাকরি নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সব কাজ সম্পন্ন হবে। আগামী দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা আমরা সুন্দরভাবে, সফলভাবে অনুষ্ঠিত করতে পারব।

তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর এ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের তিনদিন অবস্থানের জন্য তৈরি করা হয় বিশাল মাঠে চটের সামিয়ানা। তৈরি করা হয় বয়নমঞ্চ, দোয়া মঞ্চ, বিদেশী মুসল্লিদের জন্য মাঠের উত্তর-দক্ষিণ দিকে নিবাস, তুরাগ নদীতে ভাসমান সেতু, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ইত্যাদি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এসব কাজ তাবলীগ জামাতের সাথী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও কলকারখানার শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা করছেন।

উল্লেখ, এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমপর্ব শুরু হবে আগামি ১২ জানুয়ারি। ১৪ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথমপর্ব শেষ হবে।  ৪ দিন পর ১৯ জানুয়ি শুরু হবে দ্বিতীয়পর্ব। একইভাবে ২১ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয়পর্ব তথা এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

আপডেট সময় ০৩:০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

আগামি ১২ জানুয়ারি থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে তিনদিন ব্যাপি বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ইজতেমা ময়দান পরিদর্শণ করেছেন।এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং ইজতেমার মুরব্বীরা উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি কাজ ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং বিশ্ব ইজতেমা মাঠের শীর্ষ মুরব্বী মো: গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ইজতেমা মাঠে পৌছে বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বীদের সাথে বৈঠক করেন। পরে ইজতেমা ময়দান, সেনাবাহিনী কর্তৃক ময়দান সংলগ্ন তুরাগ নদীতে ভাসমান সেতু নির্মাণ এবং বিদেশী মুসল্লীদের জন্য তৈরি নিবাস ঘুরে দেখেন।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের অভ্যন্তরীন সড়কগুলোর মেরামত কাজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। পয়নিষ্কাষণ ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়েছে। মায়দানের বাইরের রাস্তাগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ সংস্কার কাজ করছে। টিএন্ডটি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যন্য সকল সুবিধার ব্যাপারে নজর দিতে আমরা এসেছি। যেখানে ঘাটতি পাচ্ছি, সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ করেছি।

তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠের আশেপাশে একটিও অবৈধ দোকন এবং গাড়ির অবৈধ পার্কিং থাকবে না। জেলা প্রশাসনের ১০টি ভ্রাম্যমান পরিচালনা করা হবে। প্রয়োজনে বড় বড় গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ইত্যাদি সুনিদিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে। যাতে নির্বিঘেœ মুসল্লিরা যাতায়ত করতে পারে এবং অন্যান্য যারা এ পথ দিয়ে যাতায়ত করে তাদেরও যেন অসুবিধা না হয়।

জেলা প্রশানক জানান, ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। তুরাগ নদীতে ৭টি পল্টুন ব্রীজ (ভাসমান সেতু) তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। ব্রীজ তৈরির কাজও ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আশাকরি নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সব কাজ সম্পন্ন হবে। আগামী দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা আমরা সুন্দরভাবে, সফলভাবে অনুষ্ঠিত করতে পারব।

তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর এ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের তিনদিন অবস্থানের জন্য তৈরি করা হয় বিশাল মাঠে চটের সামিয়ানা। তৈরি করা হয় বয়নমঞ্চ, দোয়া মঞ্চ, বিদেশী মুসল্লিদের জন্য মাঠের উত্তর-দক্ষিণ দিকে নিবাস, তুরাগ নদীতে ভাসমান সেতু, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ইত্যাদি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এসব কাজ তাবলীগ জামাতের সাথী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও কলকারখানার শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা করছেন।

উল্লেখ, এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমপর্ব শুরু হবে আগামি ১২ জানুয়ারি। ১৪ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথমপর্ব শেষ হবে।  ৪ দিন পর ১৯ জানুয়ি শুরু হবে দ্বিতীয়পর্ব। একইভাবে ২১ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয়পর্ব তথা এবারের বিশ্ব ইজতেমা।