খেলাধুলা ডেস্কঃ
চলতি বিশ্বকাপের অন্য ম্যাচ বিবেচনায় স্বাভাবিকভাবেই এটি ছিল খুব ছোট স্কোর। জনি বেয়ারস্ট ও জেমস ভিন্সের উইকেট দুটি ২৬ রানের মধ্যেই তুলে নিয়েছিলেন মালিঙ্গা। তখনো মনে হয়েছে এটি হয়তো ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের জন্য বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা। তবে ইংল্যান্ড রানের গতি বাড়াতে না পারায় বাড়ছিল শঙ্কা। সেই সুযোগে ইয়ান মরগানের উইকেট তুলে নেন ইসুরু উদানা।
এরপর হাফসেঞ্চুরিয়ান জো রুটকে তুলে নিয়ে ফের আঘাত মালিঙ্গার। ৮৯ বল থেকে ৫৭ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন তিনি। দলীয় ১৪৪ রানে জোস বাটলারকে ফিরিয়ে দেন সেই মালিঙ্গা। এতে হেডিংলিতে খেলার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে লঙ্কানদের হাতে। পরবর্তী বোলারদের মধ্যে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা চড়াও হন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের উপর। মইন আলী, ক্রিস ওয়েকস ও আদিল রশিদের উইকেট তুলে নেন তিনি।
১৭৮ রানে আট উইকেট হারানো ইংলিশদের আশার আলো তবুও মিট মিট করে জ্বলছিল। তবে উদানা ১৮৬ রানে যখন জোফ্রা আর্চারকে ফিরিয়ে দিলে হারটা তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে পড়ে। ৪৭ ওভারে নুয়ান প্রদীপের বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মার্ক উড যখন আউট হন তখন ইংল্যান্ডের স্কোর ২১২ রান। লক্ষ্য থেকে মাত্র ২১ রান দূরে ছিল স্বাগতিকরা। তখনও বেন স্টোকস ৮৯ বল থেকে ৮২ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন। তবে তার এই লড়াই দলের জন্য কোনো উপকারে আসেনি।
এই জয়ে ছয় ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে জায়গা করে নিল শ্রীলঙ্কা। বাঁচিয়ে রাখল শেষ চারে যাওয়ার আশাও।
আজ শুক্রবার ইংল্যান্ডের হেডিংলিতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। তবে ব্যাট হাতে সহজভাবে খেলতে করতে পারেনি তারা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের লড়াকু ইনিংসে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ২৩২ রান করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।
ব্যাট হাতে মাঠে নেমে মাত্র তিন রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। মাঝে একটু জ্বলে উঠার চেষ্টা করেও ৩৯ বল থেকে ৪৯ রান করে ফিরেন অভিস্কা ফার্নান্দো। এরপর দলীয় ১৩৩ রানে পরপর আউট হয়ে ফিরে যান কুশাল মেন্ডিস ও জীবন মেন্ডিস। কুশাল ৪৬ রান করেন।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। অপরপ্রান্ত থেকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, ইসুরু উদানা ও লাসিথ মালিঙ্গা বিদায় নেন। তবে ম্যাথুস ১১৫ বল থেকে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২৯) ছাড়া কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।