ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ

জাতীয় ডেস্কঃ
ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিন যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৬২ দফার বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সমঝোতার বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর চারদিনের সফরের শনিবার দিনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম এবং পরবর্তী বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে সাহসী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন। মোদী বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার প্রতি নিন্দাজ্ঞাপন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানান দুইজন।
মুক্তিযুদ্ধে নিহত ১৬৬১ ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন মোদী। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা স্কিম ঘোষণা করে মোদী বলেন, প্রতি বছর ১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে ভারতীয় হাসপাতালে বিশেষ চিকিৎসা দেয়া হবে। ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উত্তরাধিকারদের বৃত্তির মেয়াদ আরো ৫ বছর বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তিসহ ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আরো ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার ঘোষণাও এসেছে বৈঠক থেকে।
এছাড়া উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের অংশীদারিত্ব টেকসই, জ্বালানি খাতে অংশীদারিত্ব, দুই দেশের উন্নয়নে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, স্থল,জল ও আকাশে আরো সংযোগ বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা খাতে জোরালো সহযোগিতা সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় বিবৃতিতে তুলে আনা হয়।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ভারত-বাংলাদেশের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিন যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৬২ দফার বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সমঝোতার বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর চারদিনের সফরের শনিবার দিনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম এবং পরবর্তী বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে সাহসী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন। মোদী বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার প্রতি নিন্দাজ্ঞাপন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানান দুইজন।
মুক্তিযুদ্ধে নিহত ১৬৬১ ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন মোদী। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা স্কিম ঘোষণা করে মোদী বলেন, প্রতি বছর ১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে ভারতীয় হাসপাতালে বিশেষ চিকিৎসা দেয়া হবে। ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উত্তরাধিকারদের বৃত্তির মেয়াদ আরো ৫ বছর বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তিসহ ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আরো ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার ঘোষণাও এসেছে বৈঠক থেকে।
এছাড়া উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের অংশীদারিত্ব টেকসই, জ্বালানি খাতে অংশীদারিত্ব, দুই দেশের উন্নয়নে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, স্থল,জল ও আকাশে আরো সংযোগ বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা খাতে জোরালো সহযোগিতা সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় বিবৃতিতে তুলে আনা হয়।