ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালদ্বীপে প্রধান বিচারপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি গ্রেফতার

 অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মালদ্বীপের সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যকার চরম দ্বন্দ্বের মধ্যে দেশটিতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন। এদিকে সোমবার রাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরই মঙ্গলবার ভোরে মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাঈদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাতেই সুপ্রিম কোর্ট ঘিরে রাখে পুলিশ। আদালতে যেসব বিচারপতিরা ছিলেন তারা সবাই সেখানে আটকে আছেন। সেই সঙ্গে মালদ্বীপে প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি মামুন আব্দুল গাইয়ুম এবং তার মেয়ের জামাই মোহাম্মদ নাদিমকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে তদন্ত কিংবা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রেফতার হওয়ায় বিশেষ কোনো আইনি সুবিধাও তারা পাবেন না।

সম্প্রতি রাজনৈতিক বন্দীদেরকে মুক্তি দেয়ার জন্য  মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশ দেন তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে অভিশংসনে ও গ্রেফতারে সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপ রুখতেই এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

এছাড়া আরেকজন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে চলমান আরো একটি মামলাকেও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিলো সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের ওই রায়ের পর নাশিদের দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট মালদ্বীপের ৮৫ সদস্যের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতে অস্বীকার করে পার্লামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিলে মালদ্বীপে শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা।

মালদ্বীপে মানুষ ভীত-শঙ্কিত অবস্থায় আছে। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র বিষয়ক সেক্রেটারি বরিস জনসন।

অবশ্য প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও জনগণের চলাফেরা, চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর জরুরি অবস্থার কোনো প্রভাব পড়বে না। সূত্র : বিবিসি,রয়টার্স

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মালদ্বীপে প্রধান বিচারপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০১:১৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
 অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মালদ্বীপের সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যকার চরম দ্বন্দ্বের মধ্যে দেশটিতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন। এদিকে সোমবার রাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরই মঙ্গলবার ভোরে মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাঈদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাতেই সুপ্রিম কোর্ট ঘিরে রাখে পুলিশ। আদালতে যেসব বিচারপতিরা ছিলেন তারা সবাই সেখানে আটকে আছেন। সেই সঙ্গে মালদ্বীপে প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি মামুন আব্দুল গাইয়ুম এবং তার মেয়ের জামাই মোহাম্মদ নাদিমকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে তদন্ত কিংবা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রেফতার হওয়ায় বিশেষ কোনো আইনি সুবিধাও তারা পাবেন না।

সম্প্রতি রাজনৈতিক বন্দীদেরকে মুক্তি দেয়ার জন্য  মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশ দেন তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে অভিশংসনে ও গ্রেফতারে সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপ রুখতেই এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

এছাড়া আরেকজন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে চলমান আরো একটি মামলাকেও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিলো সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের ওই রায়ের পর নাশিদের দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট মালদ্বীপের ৮৫ সদস্যের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতে অস্বীকার করে পার্লামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিলে মালদ্বীপে শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা।

মালদ্বীপে মানুষ ভীত-শঙ্কিত অবস্থায় আছে। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র বিষয়ক সেক্রেটারি বরিস জনসন।

অবশ্য প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও জনগণের চলাফেরা, চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর জরুরি অবস্থার কোনো প্রভাব পড়বে না। সূত্র : বিবিসি,রয়টার্স