ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

মুরাদনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় আধিপ্য বিস্তার নিয়ে শ্রীকাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আবুধাবি প্রবাসী শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন, চন্দনাই গ্রামের মোহাম্মদ আলী  (হোসেন মিয়া) ছেলে ও প্রবাসী শাহ আলম(৪০),  মা শিরিন বেগম (৬০) ও শাশুরী রেজিয়া বেগম (৬০) আহত হয়েছে। এর মধ্যে শাহআলমকে মূহুর্ষ অবস্থায় মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের চন্দনাই গ্রামে এ ঘঁনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলায় ইউনিয়ন নিবার্চন নিয়ে শ্রীকাইল ইউপি চেয়ারমৗান মো: নজরুল ইসলাম ও চন্দনাইল গ্রামের হোসেন মিয়া পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত রবিবার বিকেলে  হোসেন ভাই মানিক মিয়ার প্রতিবন্ধি ছেলে রহিম মিয়া (১৪) কেচিং পড়তে যায়। ওখান থেকে ফেরার সময় একসাথে পড়–য়া ও একই গ্রামের  নজরুল গ্রুপের নাছিরের ছেলে মোছলেম মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এরই জেরে। ঔ দিন বিকেলে নাছির তার লোকজন নিয়ে রহিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুড়সহ শিরিনা বেগম ও রেজিয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। নজরুল ইসলাম গ্রুপের লোকজন এ হামলার চালায়। এরই জেরে পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত একদল সন্ত্রাসী প্রতিবন্ধি ছেলে রহিম মিয়াকে তুলে নিয়ে আসতে গেলে প্রবাসী চাচা শাহ আলম ভাতিজাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানিয়রা আহত শাহ আলমকে উদ্ধার করে মুরাদনগর স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী লাভলি আক্তার বলেন, নজরুল চেয়ারম্যান ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করে। এতে আমাদের পরিবার এ অপকর্মের প্রতিবাদ শুরু করলে তার সাথে আমাদের বিরোধ শুরু হয়। এর পর থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন বিভিন্ন সময়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের মারদর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া হুমকিসহ অত্ত্যাচার শুরু করে। আমাদের পরিবারদের বিরোদ্ধে প্রায় ৩/৪টি মিথ্যা মামলাও করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলচ্ছে।

অভিযোক্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন জানান, শ্রীকাইল এলাকায় পুলিশের একটি টিম নিয়মিত ডিউটি করা অবস্থয়া সংর্ঘষের খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে পুলিশ উপস্থিত হয় এবং আহত শাহ আলমকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের কমিটি গঠন

মুরাদনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম

আপডেট সময় ০৯:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০১৭
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

মুরাদনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় আধিপ্য বিস্তার নিয়ে শ্রীকাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আবুধাবি প্রবাসী শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন, চন্দনাই গ্রামের মোহাম্মদ আলী  (হোসেন মিয়া) ছেলে ও প্রবাসী শাহ আলম(৪০),  মা শিরিন বেগম (৬০) ও শাশুরী রেজিয়া বেগম (৬০) আহত হয়েছে। এর মধ্যে শাহআলমকে মূহুর্ষ অবস্থায় মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের চন্দনাই গ্রামে এ ঘঁনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলায় ইউনিয়ন নিবার্চন নিয়ে শ্রীকাইল ইউপি চেয়ারমৗান মো: নজরুল ইসলাম ও চন্দনাইল গ্রামের হোসেন মিয়া পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত রবিবার বিকেলে  হোসেন ভাই মানিক মিয়ার প্রতিবন্ধি ছেলে রহিম মিয়া (১৪) কেচিং পড়তে যায়। ওখান থেকে ফেরার সময় একসাথে পড়–য়া ও একই গ্রামের  নজরুল গ্রুপের নাছিরের ছেলে মোছলেম মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এরই জেরে। ঔ দিন বিকেলে নাছির তার লোকজন নিয়ে রহিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুড়সহ শিরিনা বেগম ও রেজিয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। নজরুল ইসলাম গ্রুপের লোকজন এ হামলার চালায়। এরই জেরে পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত একদল সন্ত্রাসী প্রতিবন্ধি ছেলে রহিম মিয়াকে তুলে নিয়ে আসতে গেলে প্রবাসী চাচা শাহ আলম ভাতিজাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানিয়রা আহত শাহ আলমকে উদ্ধার করে মুরাদনগর স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী লাভলি আক্তার বলেন, নজরুল চেয়ারম্যান ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করে। এতে আমাদের পরিবার এ অপকর্মের প্রতিবাদ শুরু করলে তার সাথে আমাদের বিরোধ শুরু হয়। এর পর থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন বিভিন্ন সময়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের মারদর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া হুমকিসহ অত্ত্যাচার শুরু করে। আমাদের পরিবারদের বিরোদ্ধে প্রায় ৩/৪টি মিথ্যা মামলাও করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলচ্ছে।

অভিযোক্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন জানান, শ্রীকাইল এলাকায় পুলিশের একটি টিম নিয়মিত ডিউটি করা অবস্থয়া সংর্ঘষের খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে পুলিশ উপস্থিত হয় এবং আহত শাহ আলমকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।