মাহবুব আলম আরিফঃ
“টিফিনে বাড়ী যাওয়ার সময় স্যার আমাকে বলেন তোমার নামে বিচার আছে। এ কথা শুনে স্যারের কাছে গেলে আমার চুলে ধরে টানতে টানতে ক্লাস রুমে নিয়ে যায়। রুমে নিয়ে আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে এতে মাথার চুল পরনের শার্ট ছিরে যায়। এর পরেও নাকি স্যারের বিচার শেষ হয়নি তিনি বলেন আজ তোকে এমন শিক্ষা দিবো যে তুই আর কোনদিন স্কুলে আসার নামই নিবি না। আমার মাথা টেবিলের নিচে ঢুকিয়ে বেত দিয়ে পিটাতে থাকেন। আমি কল্পনাও করতে পারি নাই স্যার আমাকে এভাবে মারধর করবে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে ঘটনার বিবরন দেন কুমিল্লার মুরাদনগর ডি আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রিমন।
জানা যায়, ঘটনার এক সাপ্তাহ আগে একই ক্লাসের সাঈদকে রিমন পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়। পরে সাঈদ তার শিক্ষক আরেফিনের কাছে বিচার দিলে। শিক্ষক আরেফিন গত বুধবার টিফিনের সময় রিমনকে ডেকে নিয়ে বেধরক মারধর করে। এতে রিমন গুরুতর আহত হলে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
রিমনের বাবা আব্দুল মালেক জানান, ঘটনার পরে আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনিও আমাকে নানা ধরনের কথা বলেন। তিনি বলেন আরেফিন যা করেছে সঠিক করেছে। আপনার সাহসতো কমনা এর জন্য আবার আপনি বিচার নিয়ে এসেছেন। উনার ব্যবহারে আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি খবর নিয়ে যানতে পারি আরেফিন প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান সাহেবের ভাতিজা। চলে আসার সময় আরেফিন স্যার আমাকে বলেন বিচার নিয়া আইছেন আমার বিরুদ্ধে। তো ঠিক আছে আপনার ছেলে এই স্কুলে কিভাবে লেখাপড়া করে আমিও দেখে নেবো। এই কথা শুনে ভয়ে পরদিন দুপুরে মুরাদনগর থানায় গিয়ে আমি লিখিত অভিযোগ করেছি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান বলেন, আরেফিনের সাথে আমার কোন পারিবারিক সম্পর্ক নেই। আর সে যদি কোন অপরাধ করে থাকে তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন আমি তাই করবো।
অভিযোক্ত শিক্ষক আরেফিনের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সাথে কথা বলবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম বলেন, ঘটনাটি আমার কানে এসেছে, খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি দেখছি কি করা যায়।