ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ত্রান ও অর্থ বিতরণে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে বেসরকারিভাবে ও ব্যাক্তি উদ্যোগে ত্রান ও অর্থ বিতরণে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরম্ভ হওয়ার পর অসচ্ছল ও হতদরিদ্র মানুষের সহযোগীতার জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যাক্তি উদ্যোগেও বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে। এ খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ দরিদ্র মানুষের জন্য স্বস্থিও হলেও তা বিতরনে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে না মানায়য় এলাকার সচেতন মহলে চলে নানা প্রশ্ন।

নতুন করে দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হওয়ার পর সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর নির্দেশনা দিলেও মুরাদনগরে তা মানছে না কেহ। সামাজিক সংগঠন ও ব্যাক্তি উদ্যোগে এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কিছুদিন পরপরই ত্রান বিতরণ হচ্ছে।

তার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা, কুড়াখাল, কালিপুড়া, নয়াগাও ও কোদালকাটা গ্রামের ৯৭০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ ১হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের উপস্থিতে এ টাকা বিতরণ করেন কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরুজ খানের পুত্র বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী রোটারিয়ান আবুল আয়েছ খান (সিআইপি)।

এসময় অর্থ বিতরণকারী ও অর্থ নিতে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। ছিল না কোন সামাজিক দুরত্ব। টাকা নেওয়ার জন্য অনেকেই গদাগদি করে একসাথে হাত বাড়াচ্ছেন। আবার অর্থ বিতরণের সময় ফটোশেসনের জন্য কারো কারো মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আবুল আয়েছ খান। যা নিয়ে এখন এলাকার সচেতন মহলে চলছে সমালোচনা।

এ বিষয়ে আবুল আয়েছ খান বলেন, গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানে না। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তো কাউকে জোর করে মানানো যাবে না। আপনারা এ ব্যাপারে যা লিখার লিখেন।

বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, হাটবাজারে সব জায়গায় মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাই তারা মাস্ক পরতে চায় না। পরবর্তীতে ত্রান বিতরণের কোন পোগ্রাম করলে সবাইকে মাস্ক পরে আসতে বলব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। করোনার শুরু থেকে চেয়ারম্যানদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে আসছি। প্রয়োজনে এ সকল বিষয়ে তাদেরকে আবার সতর্ক করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে ত্রান ও অর্থ বিতরণে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

আপডেট সময় ১২:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে বেসরকারিভাবে ও ব্যাক্তি উদ্যোগে ত্রান ও অর্থ বিতরণে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরম্ভ হওয়ার পর অসচ্ছল ও হতদরিদ্র মানুষের সহযোগীতার জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যাক্তি উদ্যোগেও বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে। এ খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ দরিদ্র মানুষের জন্য স্বস্থিও হলেও তা বিতরনে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে না মানায়য় এলাকার সচেতন মহলে চলে নানা প্রশ্ন।

নতুন করে দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হওয়ার পর সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর নির্দেশনা দিলেও মুরাদনগরে তা মানছে না কেহ। সামাজিক সংগঠন ও ব্যাক্তি উদ্যোগে এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কিছুদিন পরপরই ত্রান বিতরণ হচ্ছে।

তার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা, কুড়াখাল, কালিপুড়া, নয়াগাও ও কোদালকাটা গ্রামের ৯৭০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ ১হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের উপস্থিতে এ টাকা বিতরণ করেন কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরুজ খানের পুত্র বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী রোটারিয়ান আবুল আয়েছ খান (সিআইপি)।

এসময় অর্থ বিতরণকারী ও অর্থ নিতে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। ছিল না কোন সামাজিক দুরত্ব। টাকা নেওয়ার জন্য অনেকেই গদাগদি করে একসাথে হাত বাড়াচ্ছেন। আবার অর্থ বিতরণের সময় ফটোশেসনের জন্য কারো কারো মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আবুল আয়েছ খান। যা নিয়ে এখন এলাকার সচেতন মহলে চলছে সমালোচনা।

এ বিষয়ে আবুল আয়েছ খান বলেন, গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানে না। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তো কাউকে জোর করে মানানো যাবে না। আপনারা এ ব্যাপারে যা লিখার লিখেন।

বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, হাটবাজারে সব জায়গায় মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাই তারা মাস্ক পরতে চায় না। পরবর্তীতে ত্রান বিতরণের কোন পোগ্রাম করলে সবাইকে মাস্ক পরে আসতে বলব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। করোনার শুরু থেকে চেয়ারম্যানদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে আসছি। প্রয়োজনে এ সকল বিষয়ে তাদেরকে আবার সতর্ক করা হবে।