ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্তা

আজিজুর রহমান রনিঃ

রোজ বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার টনকী ইউনিয়নের চৈনপুর গ্রামের ও টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা করে সফিক মিয়া (২৫) নামের এক বখাটে।

ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষকের পিতা কনু মিয়াকে (৫৫) বুধবার বিকেলে মুরাদনগর থানা পুলিশ আটক করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করে।

মেয়েটির মা মাফিয়া খাতুন বাধী হয়ে গত বুধবার নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন।

প্রতারক সফিক উপজেলার চৈনপুর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে।

ধর্ষিতার মা মাফিয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ে পড়া লেখায় ভাল। আমি গরিব হওয়ায় লেখা পড়ার ব্যায় বহন করতে কষ্ট হতো। এই কারণে আমার মা অসুস্থ্য থাকায়, নানির বাড়িতে থেকে নানিকে দেখার শুনার পাশা-পাশি পড়ালেখা করতো। গত দু’মাস আগে মেয়ে আমার অসুস্থ্য এমন খবরে বাপের বাড়ি ছুটে যাই। মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে সে অন্তসত্তা। পরে মেডিকেল চেকাপ করে জানলাম সে ৫ মাসের গর্ভবতি। মেয়ের মুখ থেকে সব শুনে ছেলের বাবাকে বিষয়টি জানাই। পরে গ্রামের সাহেব সদ্দারকে বিষয়টি জানাই। তারা একটা সমাদান করে দিবে বলে জানান। কিন্তু দু’মাস গত হয়ে গেলেও কেই এই বিষয় নিয়ে কোন কথা বলে না। গত কয়েক দিন আগে জানতে পারি ছেলে বিদেশে চলে গেছে। নীরউপায় হয়ে বুধবার মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ করি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, স্কুল ছাত্রীর মায়ের কাছে এই ঘটনা শুনে সরেজমিনে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পাই। পরে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেয়ের মা বাদি হয়ে মামলা করলে। ছেলের বাবাকে গ্রেফতার করি। মেয়ের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রথম আসামী প্রতারক সফিক পলাকত রয়েছে।

ট্যাগস

মুরাদনগরে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্তা

আপডেট সময় ১১:৫৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৬

আজিজুর রহমান রনিঃ

রোজ বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার টনকী ইউনিয়নের চৈনপুর গ্রামের ও টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা করে সফিক মিয়া (২৫) নামের এক বখাটে।

ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষকের পিতা কনু মিয়াকে (৫৫) বুধবার বিকেলে মুরাদনগর থানা পুলিশ আটক করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করে।

মেয়েটির মা মাফিয়া খাতুন বাধী হয়ে গত বুধবার নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন।

প্রতারক সফিক উপজেলার চৈনপুর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে।

ধর্ষিতার মা মাফিয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ে পড়া লেখায় ভাল। আমি গরিব হওয়ায় লেখা পড়ার ব্যায় বহন করতে কষ্ট হতো। এই কারণে আমার মা অসুস্থ্য থাকায়, নানির বাড়িতে থেকে নানিকে দেখার শুনার পাশা-পাশি পড়ালেখা করতো। গত দু’মাস আগে মেয়ে আমার অসুস্থ্য এমন খবরে বাপের বাড়ি ছুটে যাই। মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে সে অন্তসত্তা। পরে মেডিকেল চেকাপ করে জানলাম সে ৫ মাসের গর্ভবতি। মেয়ের মুখ থেকে সব শুনে ছেলের বাবাকে বিষয়টি জানাই। পরে গ্রামের সাহেব সদ্দারকে বিষয়টি জানাই। তারা একটা সমাদান করে দিবে বলে জানান। কিন্তু দু’মাস গত হয়ে গেলেও কেই এই বিষয় নিয়ে কোন কথা বলে না। গত কয়েক দিন আগে জানতে পারি ছেলে বিদেশে চলে গেছে। নীরউপায় হয়ে বুধবার মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ করি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, স্কুল ছাত্রীর মায়ের কাছে এই ঘটনা শুনে সরেজমিনে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পাই। পরে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেয়ের মা বাদি হয়ে মামলা করলে। ছেলের বাবাকে গ্রেফতার করি। মেয়ের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রথম আসামী প্রতারক সফিক পলাকত রয়েছে।