ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার নতুন থানা বাঙ্গরার চন্দনাইল গ্রামের একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে গত রোববার সকালে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদ্য নির্বাচিত শ্রীকাইল ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে মারধোর করে খালি চেক বই, স্ট্যাম্প, সাদা কাগজ, দু’টি পদত্যাগ পত্রে  প্রাননাশের হুমকী দিয়ে স্বাক্ষর রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জেলার সদ্য প্রতিষ্ঠিত নতুন থানা বাঙ্গরার শ্রীকাইল ইউনিয়নের চন্দনাইল গ্রামে অবস্থিত চন্দনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরের সাথে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে শ্রীকাইল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী নজরুল ইসলামের সাথে স্কুলের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রোববার সকালে চন্দনাইল বাজারের দলিল উদ্দিন দুলু’র মোবাইল ফোনের দোকানে বসা থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান নজরুল আচমকা প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরের উপর আক্রমন করে। এসময় তিনি প্রধান শিক্ষককে  বেদড়ক প্রহার করে আটকে রাখেন। কিছু সময় পর সেখানে তার পরিচিত লোকজন এনে জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬ টি ১’শত টাকার খালি স্ট্যাম্প,৭টি সাদা কাগজ’এ স্বাক্ষর ও টিপ সই নেয়। এছাড়াও একই সময় পূর্বে লেখা ১ টি ও প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরের নিজ হাতে লেখা অপর একটি সহ মোট দু’টি পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়। এছাড়াও পরবর্তীতে তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে সেখানে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ জনতা ব্যাংক শাখা থেকে স্কুলের চেক বই এনে প্রধান শিক্ষককে দিয়ে চেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার অংক বসিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়।  সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো জানান,দুপুরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও আবুল খায়েরকে উদ্ধার করে আনতে পারেনি। বিকেল ৩ টা পর্যন্ত চন্দনাইল বাজারের দলিল উদ্দিন দুলুর দোকানে আটকে রাখার পর তাকে নিয়ে যায় চন্দনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর বিকেল ৪ টায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

এবিষয়ে বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান,বিষয়টি শুনে আমি পুলিশ ও একজন সংবাদকর্মীকে পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করেছি। এদিকে মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কেদেঁ কেদেঁ মারধোর, নির্যাতন, খালি স্ট্যাম্প, সাদা কাগজ, চেক বই এবং পদত্যাগ পত্রে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

তবে মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষককে চেয়ারম্যানের কবল থেকে উদ্ধার করা সংবাদ কর্মী ইকবাল হোসেন জানান, থানা থেকে কোন পুলিশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেনি। আমি নিজে একা গিয়ে চন্দনাইল থেকে প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরকে উদ্ধার করেছি। এছাড়াও ওই সংবাদকর্মী আরো জানান, বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।

ট্যাগস

মুরাদনগর বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর মুরাদনগরে আর্সি নদীতে নির্মাণ করা বাঁধ অপসারন

মুরাদনগরে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৫:২৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০১৬
মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার নতুন থানা বাঙ্গরার চন্দনাইল গ্রামের একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে গত রোববার সকালে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদ্য নির্বাচিত শ্রীকাইল ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে মারধোর করে খালি চেক বই, স্ট্যাম্প, সাদা কাগজ, দু’টি পদত্যাগ পত্রে  প্রাননাশের হুমকী দিয়ে স্বাক্ষর রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জেলার সদ্য প্রতিষ্ঠিত নতুন থানা বাঙ্গরার শ্রীকাইল ইউনিয়নের চন্দনাইল গ্রামে অবস্থিত চন্দনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরের সাথে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে শ্রীকাইল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী নজরুল ইসলামের সাথে স্কুলের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রোববার সকালে চন্দনাইল বাজারের দলিল উদ্দিন দুলু’র মোবাইল ফোনের দোকানে বসা থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান নজরুল আচমকা প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরের উপর আক্রমন করে। এসময় তিনি প্রধান শিক্ষককে  বেদড়ক প্রহার করে আটকে রাখেন। কিছু সময় পর সেখানে তার পরিচিত লোকজন এনে জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬ টি ১’শত টাকার খালি স্ট্যাম্প,৭টি সাদা কাগজ’এ স্বাক্ষর ও টিপ সই নেয়। এছাড়াও একই সময় পূর্বে লেখা ১ টি ও প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরের নিজ হাতে লেখা অপর একটি সহ মোট দু’টি পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়। এছাড়াও পরবর্তীতে তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে সেখানে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ জনতা ব্যাংক শাখা থেকে স্কুলের চেক বই এনে প্রধান শিক্ষককে দিয়ে চেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার অংক বসিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়।  সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো জানান,দুপুরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও আবুল খায়েরকে উদ্ধার করে আনতে পারেনি। বিকেল ৩ টা পর্যন্ত চন্দনাইল বাজারের দলিল উদ্দিন দুলুর দোকানে আটকে রাখার পর তাকে নিয়ে যায় চন্দনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর বিকেল ৪ টায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

এবিষয়ে বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান,বিষয়টি শুনে আমি পুলিশ ও একজন সংবাদকর্মীকে পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করেছি। এদিকে মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কেদেঁ কেদেঁ মারধোর, নির্যাতন, খালি স্ট্যাম্প, সাদা কাগজ, চেক বই এবং পদত্যাগ পত্রে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

তবে মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষককে চেয়ারম্যানের কবল থেকে উদ্ধার করা সংবাদ কর্মী ইকবাল হোসেন জানান, থানা থেকে কোন পুলিশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেনি। আমি নিজে একা গিয়ে চন্দনাইল থেকে প্রধান শিক্ষক আবুল খায়েরকে উদ্ধার করেছি। এছাড়াও ওই সংবাদকর্মী আরো জানান, বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।