ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো ঝুঁকিপূর্ন ভবন, পাকা ভবন নির্মিত না হওয়া, শিক্ষক, টয়লেট ও পানির সংকট, নোংড়া পরিবেশসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত ও জরার্জীন হয়ে বেহাল অবস্থা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। যা দেখার যেন কেহ নেই। শ্রেনী কক্ষ ও শিক্ষক সংকটই হচ্ছে স্কুল গুলোর প্রধান সমস্যা। অন্য দিকে দুই যুগেও অনেক বিদ্যালয় জাতীয়করন  না হওয়া ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে রয়েছে জনবল সংকট। যা শিক্ষার কার্যক্রম ঠিকভাবে চালানোর মূল অন্তরায়। শিক্ষক ও শ্রেনি কক্ষ অভাবে শিক্ষার্থীদের লোখাপড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে এ উপজেলায় শিক্ষার হার দিন দিন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যা মোট জনসংখ্যার শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনার পথে অন্তরায়।

প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা জীবনের শুরু হয়। শিক্ষা ও মনুষ্যত্বের বীজ রোপিত হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৈশবে কাটানো দিন থেকেই। সরকারি-বেসরকারি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য দেশে শিক্ষার সম্প্রসারণ করা। শিক্ষার সম্প্রসারণ করলেই শিক্ষিত জাতি গঠন সম্ভব হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে গড়ে উঠেছে। নিজ ব্যক্তি উদ্যোগ আর স্থানীয় সুহৃদ জনগনের চাহিদায় স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ স্থাপিত হয়েছে।

pc-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসে ৩ জন সহকারি শিক্ষা অফিসার, ১জন অফিস সহকারির পদ শূর্ন, উপজেলার ২০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় শাধিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ন এর মধ্যে ২০টি বিদ্যালয় অবস্থা খুবই নাজুক। যে কোন সময় ঘঠতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলোর মধ্যে ৭০টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও ১০৫টি বিদ্যালয়ে ১৩৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ১০০টি স্কুলে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। এর মধ্যে আবার প্রায় শতাধিক স্কুল ভবন ঝূকিপূর্ন। শিক্ষা অফিস মতে ২০টি বিধ্যালয় অধিক ঝুকিঁপূর্ণ। বিদ্যালয় গুলো হলো, নবসিংহপুর, গাজীপুর দক্ষিন, রামপুর, কৃষ্ণপুর, ঘোড়াশাল উত্তর,  রামপুর উত্তর, কুরুন্ডি, নোয়াগাও, রোয়াচালা, মাধবপুর, সোনাপুর, কুড়ারপাড়, সোনারামপুর, কাজিয়াতল, লক্ষীপুর ও খাপুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।

অভিভাবকরা জানান, বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য থাকা ও স্কুল গুলো বিভিন্ন সমস্যার জন্য দেশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা সকল পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, কারন এই পর্যায়ে শিক্ষার প্রাথমিক বুনিয়াদ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ার মূল কারন হওয়ায় এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির ভিত্তিতে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম সমস্যার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃত্যু, অবসরজনিত কারন ও অনেক দিন থেকে পদোন্নতি কাজ বন্ধ থাকায় শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে ও  নতুন ভবনের জন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সমস্য আর থাকবে না। আশা করি দ্রুত এই সমস্যা গুলো সমাধান হবে।

ট্যাগস

মুরাদনগরে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো ঝুঁকিপূর্ন ভবন, পাকা ভবন নির্মিত না হওয়া, শিক্ষক, টয়লেট ও পানির সংকট, নোংড়া পরিবেশসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত ও জরার্জীন হয়ে বেহাল অবস্থা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। যা দেখার যেন কেহ নেই। শ্রেনী কক্ষ ও শিক্ষক সংকটই হচ্ছে স্কুল গুলোর প্রধান সমস্যা। অন্য দিকে দুই যুগেও অনেক বিদ্যালয় জাতীয়করন  না হওয়া ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে রয়েছে জনবল সংকট। যা শিক্ষার কার্যক্রম ঠিকভাবে চালানোর মূল অন্তরায়। শিক্ষক ও শ্রেনি কক্ষ অভাবে শিক্ষার্থীদের লোখাপড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে এ উপজেলায় শিক্ষার হার দিন দিন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যা মোট জনসংখ্যার শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনার পথে অন্তরায়।

প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা জীবনের শুরু হয়। শিক্ষা ও মনুষ্যত্বের বীজ রোপিত হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৈশবে কাটানো দিন থেকেই। সরকারি-বেসরকারি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য দেশে শিক্ষার সম্প্রসারণ করা। শিক্ষার সম্প্রসারণ করলেই শিক্ষিত জাতি গঠন সম্ভব হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে গড়ে উঠেছে। নিজ ব্যক্তি উদ্যোগ আর স্থানীয় সুহৃদ জনগনের চাহিদায় স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ স্থাপিত হয়েছে।

pc-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসে ৩ জন সহকারি শিক্ষা অফিসার, ১জন অফিস সহকারির পদ শূর্ন, উপজেলার ২০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় শাধিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ন এর মধ্যে ২০টি বিদ্যালয় অবস্থা খুবই নাজুক। যে কোন সময় ঘঠতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলোর মধ্যে ৭০টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও ১০৫টি বিদ্যালয়ে ১৩৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ১০০টি স্কুলে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। এর মধ্যে আবার প্রায় শতাধিক স্কুল ভবন ঝূকিপূর্ন। শিক্ষা অফিস মতে ২০টি বিধ্যালয় অধিক ঝুকিঁপূর্ণ। বিদ্যালয় গুলো হলো, নবসিংহপুর, গাজীপুর দক্ষিন, রামপুর, কৃষ্ণপুর, ঘোড়াশাল উত্তর,  রামপুর উত্তর, কুরুন্ডি, নোয়াগাও, রোয়াচালা, মাধবপুর, সোনাপুর, কুড়ারপাড়, সোনারামপুর, কাজিয়াতল, লক্ষীপুর ও খাপুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।

অভিভাবকরা জানান, বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য থাকা ও স্কুল গুলো বিভিন্ন সমস্যার জন্য দেশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা সকল পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, কারন এই পর্যায়ে শিক্ষার প্রাথমিক বুনিয়াদ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ার মূল কারন হওয়ায় এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির ভিত্তিতে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম সমস্যার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃত্যু, অবসরজনিত কারন ও অনেক দিন থেকে পদোন্নতি কাজ বন্ধ থাকায় শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে ও  নতুন ভবনের জন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সমস্য আর থাকবে না। আশা করি দ্রুত এই সমস্যা গুলো সমাধান হবে।