ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে বখাটেদের হাতে অটো চালক খুন

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বখাটেদের হাতে আব্দুল জলিল (৩৫) নামে এক অটো চালক খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের কুলুবাড়ি গ্রামের মৃত সাজত আলীর ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় কোম্পানীগঞ্জ বাজার থেকে ৩জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে যায় অটো চালক আব্দুল জলিল। পরে ওই গ্রাম থেকে এক কিশোরীকে তুলে আনার প্রস্তাব করলে অটো চালক এতে রাজি হয় নাই। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে গাড়ী ভাড়া নেওয়া বখাটেরা কোমর থেকে ছুরি বের করে আব্দুল জলিলের পেটে এলোপাথাড়ি কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে। আঘাত পেয়ে পেট চেপে ধরে চালক জলিল দৌড়ে গিয়ে পাশের এক বাড়িতে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দেয়। বাড়ি থেকে লোকজন বেরিয়ে এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। জলিলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল জলিল ওই মেডিকেলে মারা যায়।

শনিবার বিকেলে নিহত আব্দুল জলিলের লাশ বাড়িতে আসলেই স্বজনদের বুকফাটা আহাজারিতে গ্রামের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পরিবার একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে আচমকা এ ভাবে হারিয়ে পাগল প্রায় স্ত্রী শাহনাজ বেগম ও মেয়ে জান্নাত আক্তার। জলিলের লাশ দেখতে আসা প্রতিবেশীরাও বার বার চোখ মুচ্ছিলেন। সে সহজ-সরল ও প্রতিবেশীদের সাথে অনেক মিশুক ছিলেন বলেই তারা আবেগ তারিত।

মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে অন্তঃসত্বা গৃহবধূকে জবাই করা পাষন্ড স্বামী আটক

মুরাদনগরে বখাটেদের হাতে অটো চালক খুন

আপডেট সময় ১১:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বখাটেদের হাতে আব্দুল জলিল (৩৫) নামে এক অটো চালক খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের কুলুবাড়ি গ্রামের মৃত সাজত আলীর ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় কোম্পানীগঞ্জ বাজার থেকে ৩জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে যায় অটো চালক আব্দুল জলিল। পরে ওই গ্রাম থেকে এক কিশোরীকে তুলে আনার প্রস্তাব করলে অটো চালক এতে রাজি হয় নাই। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে গাড়ী ভাড়া নেওয়া বখাটেরা কোমর থেকে ছুরি বের করে আব্দুল জলিলের পেটে এলোপাথাড়ি কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে। আঘাত পেয়ে পেট চেপে ধরে চালক জলিল দৌড়ে গিয়ে পাশের এক বাড়িতে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দেয়। বাড়ি থেকে লোকজন বেরিয়ে এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। জলিলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল জলিল ওই মেডিকেলে মারা যায়।

শনিবার বিকেলে নিহত আব্দুল জলিলের লাশ বাড়িতে আসলেই স্বজনদের বুকফাটা আহাজারিতে গ্রামের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পরিবার একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে আচমকা এ ভাবে হারিয়ে পাগল প্রায় স্ত্রী শাহনাজ বেগম ও মেয়ে জান্নাত আক্তার। জলিলের লাশ দেখতে আসা প্রতিবেশীরাও বার বার চোখ মুচ্ছিলেন। সে সহজ-সরল ও প্রতিবেশীদের সাথে অনেক মিশুক ছিলেন বলেই তারা আবেগ তারিত।

মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।