ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে বিলের মাঝে ক্লিনিক,ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘিড় পাড় গ্রামে ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কমিউনিটি ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও রোগীদের যাতায়েতের কোন প্রকার সড়ক নির্মিত হয়নি। পানি, টয়লেট, দরজা-জানালা ভেঙ্গে যাওয়া, নোংড়া পরিবেশ, ফ্লোর ডেবে যাওয়া, প্রয়োজনিয় ওষুধ না পাওয়া, জনবল সঙ্কটসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। আর সড়ক না থাকাটিই হলো প্রধান সমস্যা। এত করে ব্যাহত হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির হাজার হাজার লোকের স্বাস্থ্য সেবা।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের আওতায় তিন তলা বিশিষ্ঠ এ ক্লিনিকটি নির্মিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরো থেকে শুধু মাত্র সেকমু ও একজন পরিদর্শক দিয়ে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিচালিত হয়ে আসচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে কিছু জনবল নিয়োগ করা হলেও বেহাল অবস্থার কারনে তারা অন্য স্থানে চলে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দিঘিড় পাড় নামক স্থানে বাঙ্গরা বাজার-বিষ্ণুপুর বাজার সড়কটির পাশে প্রায় ২০ গজ দূরত্বে বিলের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ক্লিনিকে যাতায়াতের জন্য কোনো রাস্তা নেই। নেই জানালার গ্লাস, ভবন গুলোর ভিতরে সেঁতসেঁতে, বিদ্যুৎ সংযোগে, শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযুগী ও নলকুপ অকেজো। এসব সমস্যার কারনে রোগীদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। আবার চাহিদার তুলনায় নেই পর্যাপ্ত ওষুধ।

স্থানীয় একজন রোগী জানান, বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে ক্লিনিকে যাতায়াতে তেমন কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু বর্ষাকালে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়। রোগীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণ জরুরি।
বাঙ্গরা পশ্চিম ইউপির স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক (সেকমু) ডা. নিতাই মজুমদার জানান, কেন্দ্রটির প্রধান সমস্যা সড়ক না থাকা। আমরা এখানে মানবত ভাবে জীবন কাটাচ্ছি। বর্ষাকালে বিজা কাপড়ে আমাদের ক্লিনিকে আসতে হয। সড়কটি নির্মান হলে স্থানীয়দের সারা বছর সেবা দিতে পারব।

এ বিষযে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের গত ১৯ বছরে সড়ক নির্মান না হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জনান, ক্লিনিকে রোগীদের যাতায়াতের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সড়কের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে বিলের মাঝে ক্লিনিক,ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা

আপডেট সময় ০৩:২৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘিড় পাড় গ্রামে ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কমিউনিটি ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও রোগীদের যাতায়েতের কোন প্রকার সড়ক নির্মিত হয়নি। পানি, টয়লেট, দরজা-জানালা ভেঙ্গে যাওয়া, নোংড়া পরিবেশ, ফ্লোর ডেবে যাওয়া, প্রয়োজনিয় ওষুধ না পাওয়া, জনবল সঙ্কটসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। আর সড়ক না থাকাটিই হলো প্রধান সমস্যা। এত করে ব্যাহত হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির হাজার হাজার লোকের স্বাস্থ্য সেবা।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের আওতায় তিন তলা বিশিষ্ঠ এ ক্লিনিকটি নির্মিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরো থেকে শুধু মাত্র সেকমু ও একজন পরিদর্শক দিয়ে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিচালিত হয়ে আসচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে কিছু জনবল নিয়োগ করা হলেও বেহাল অবস্থার কারনে তারা অন্য স্থানে চলে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দিঘিড় পাড় নামক স্থানে বাঙ্গরা বাজার-বিষ্ণুপুর বাজার সড়কটির পাশে প্রায় ২০ গজ দূরত্বে বিলের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ক্লিনিকে যাতায়াতের জন্য কোনো রাস্তা নেই। নেই জানালার গ্লাস, ভবন গুলোর ভিতরে সেঁতসেঁতে, বিদ্যুৎ সংযোগে, শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযুগী ও নলকুপ অকেজো। এসব সমস্যার কারনে রোগীদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। আবার চাহিদার তুলনায় নেই পর্যাপ্ত ওষুধ।

স্থানীয় একজন রোগী জানান, বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে ক্লিনিকে যাতায়াতে তেমন কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু বর্ষাকালে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়। রোগীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণ জরুরি।
বাঙ্গরা পশ্চিম ইউপির স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক (সেকমু) ডা. নিতাই মজুমদার জানান, কেন্দ্রটির প্রধান সমস্যা সড়ক না থাকা। আমরা এখানে মানবত ভাবে জীবন কাটাচ্ছি। বর্ষাকালে বিজা কাপড়ে আমাদের ক্লিনিকে আসতে হয। সড়কটি নির্মান হলে স্থানীয়দের সারা বছর সেবা দিতে পারব।

এ বিষযে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের গত ১৯ বছরে সড়ক নির্মান না হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জনান, ক্লিনিকে রোগীদের যাতায়াতের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সড়কের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।