ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে মাদকাসক্তের কামড়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন

মো: শরিফুল আলম চৌধুরীঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ইউনুস মুন্সীর মাদকাসক্ত ভাতিজা বাওয়াইন্না ফারুকের কামড়ে দারোরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেনের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েগেছে। আহত অবস্থায় বিল্লাল হোসেনকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার কাজিয়াতল দক্ষিনপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পেছনের সড়কে এঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী মুরাদনগর উপজেলা আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরী জানান, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার কাজিয়াতল দক্ষিনপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পেছনের সড়কে একই গ্রামের মাদকাসক্ত বাওয়াইন্না ফারুক দারোরা ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফ চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গালমন্দ ও তার হাত পা কেটে ফেলবে বলে উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি করায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের সাথে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। ফারুক একপর্যায়ে বিল্লালের বুকে ঘুষি মারলে বিল্লাল সড়কের মাছখানে পড়ে যায়। এরপর আবারো তাকে মারতে গেলে ফারুক বিল্লালের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে কামড় দেয়। এতে বিল্লালের হাত থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলের সামনের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা বিল্লালকে উদ্ধার করে মুরাদনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক ডা. শুভ তার আঙ্গুলের বিচ্ছিন্ন অংশ সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে জোড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদকাসক্ত ফারুক, রাজীব ও আরেক ফারুকের নাম উল্লেখ করে আহত বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ব্যাক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ফারুকের চাচা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা এবং তার প্রভাবেই অস্তিত্ব জাহির করতে ফারুক প্রায় সময় এলাকায় এসে এরকম ঘটনা ঘটায়।

আঙ্গুল হারানো স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন মুরাদনগর সরকারি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে জানান, ফারুক এলাকায় থাকেন না, সে মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে তার চাচা আওয়ামীলীগ নেতা ইউনুস মুন্সীর প্রভাবে যাকে তাকে হেনস্তা করে এলাকায় হুমকি ধমকি দেয়াসহ হরহামেশাই এরকম ঘটনা ঘটায়।

মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

ট্যাগস

মুরাদনগরে মাদকাসক্তের কামড়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন

আপডেট সময় ০৩:৫৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০১৬

মো: শরিফুল আলম চৌধুরীঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ইউনুস মুন্সীর মাদকাসক্ত ভাতিজা বাওয়াইন্না ফারুকের কামড়ে দারোরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেনের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েগেছে। আহত অবস্থায় বিল্লাল হোসেনকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার কাজিয়াতল দক্ষিনপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পেছনের সড়কে এঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী মুরাদনগর উপজেলা আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরী জানান, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার কাজিয়াতল দক্ষিনপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পেছনের সড়কে একই গ্রামের মাদকাসক্ত বাওয়াইন্না ফারুক দারোরা ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফ চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গালমন্দ ও তার হাত পা কেটে ফেলবে বলে উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি করায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের সাথে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। ফারুক একপর্যায়ে বিল্লালের বুকে ঘুষি মারলে বিল্লাল সড়কের মাছখানে পড়ে যায়। এরপর আবারো তাকে মারতে গেলে ফারুক বিল্লালের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে কামড় দেয়। এতে বিল্লালের হাত থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলের সামনের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা বিল্লালকে উদ্ধার করে মুরাদনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক ডা. শুভ তার আঙ্গুলের বিচ্ছিন্ন অংশ সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে জোড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদকাসক্ত ফারুক, রাজীব ও আরেক ফারুকের নাম উল্লেখ করে আহত বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ব্যাক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ফারুকের চাচা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা এবং তার প্রভাবেই অস্তিত্ব জাহির করতে ফারুক প্রায় সময় এলাকায় এসে এরকম ঘটনা ঘটায়।

আঙ্গুল হারানো স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন মুরাদনগর সরকারি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে জানান, ফারুক এলাকায় থাকেন না, সে মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে তার চাচা আওয়ামীলীগ নেতা ইউনুস মুন্সীর প্রভাবে যাকে তাকে হেনস্তা করে এলাকায় হুমকি ধমকি দেয়াসহ হরহামেশাই এরকম ঘটনা ঘটায়।

মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।