মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শনিবার ( ২০ আগস্ট) সকালে সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানত না কুমিল্লার মুরাদনগর থানা পুলিশ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট সড়কের মুরাদনগর থানার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েন ডিআইজি। এ সময় সেখানে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম কিংবা পুলিশের কোনো সদস্য উপস্থিত না থাকায় ওইদিন দুপুরেই তাকে মুরাদনগর থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবদুর রহীম। তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে কোম্পানীগঞ্জ এলাকা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনাল এলাকায় তিনি ব্যাপক যানজটের কবলে পড়েন। প্রায় ৩০ মিনিট যানজটে আটকা থাকার পর বিষয়টি তিনি কুমিল্লা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পরে খবর পেয়ে সাদা পোশাকে হন্তদন্ত হয়ে রাস্তায় ছুটে আসেন ওসি। কিন্তু ততক্ষণে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের একটি আদেশের বরাত দিয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত স্মারক নং এডমিন ৬২৬৬ একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ওসি আবুল হাসিমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হল। নির্দেশিত কর্মস্থল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে প্রত্যাহারের ওই আদেশে ডিআইজির যানজটে আটকে থাকার কোনো বিষয় উল্লেখ করা হয়নি।
মুরাদনগর থানার প্রত্যাহারকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ডিআইজি স্যার ওই সড়ক পথে সকাল বেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন এমন কোনো তথ্য আমার কাছে ছিল না। তাছাড়া এই মহাসড়কের যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত ছিলেন। তারপরও আমি খবর পেয়ে যানজট নিরসনে যাই।
আবুল হাসিম আরও বলেন, আমি চিঠি পেয়েই থানার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হই।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।