ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামীকে থানা পুলিশ না ধরার অভিযোগ

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল মীর (৪৫) গত ২৮জুলাই রাত ৮টায়  তাসলিমা (৯) নামের এক শিশুকে সাটার বন্ধ করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর থানায় মামলা করলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধীন-০৩ এর ৯ (১) ধারায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে আগষ্টের ৫ তারিখ মামল নেয় মামলা নং-০৫/১৪৬ । কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার প্রায় ১মাস পার হয়ে গেলেও এখনো ধর্ষক বাবুলমীর পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে। পুলিশ তাকে ধরছে না বা ধরতে পারছে না বলে অভিযোগ মামলার বাদীর।

তাসলিমার বাবা মো: আব্দুল আজিজ জানায়, মামলা নেওয়ার পর ১মাস পার হয়ে গেলে ও মুরাদনগর থানা পুলিশ আসামীকে ধরতে পারছেনা বা ধরছেনা। । যেখানে যে দোকানে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে সেই দোকান খুলে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এই মামলার ১নং স্বাক্ষীসহ অন্যান্য স্বাক্ষীদের জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।  আসামী পক্ষের সাথে থানা পুলিশের যোগসাজস রয়েছে। ফলে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।  তিনি দাবী করে বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার সঠিকভাবে মামলা তদন্ত না করে আসামী পক্ষের সাথে যোগসাজসে আমাকে মামলা না চালানোর জন্য এবং আসামীর সাথে আপোষ নিষ্পত্তি করার জন্য হুমকি ধমকি দেয়। তদন্তকারী অফিসার আসামীর সাথে উঠাবসা করে কিন্তু আসামীকে গ্রেফতার করেনি ।  বরং কোম্পানীগঞ্জ বাজারের কিছু ব্যবসায়ী দুষ্ট প্রকৃতির লোক বাবুল মীরের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বাবুল মীরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। তার সাথের কিছু ব্যবসায়ী আমাকে জীবনে মেরে ফেলবে, লাশ গুম করে ফেলবে আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে এমনকি আমার কর্মস্থলে যেতে ও বাধা দেয়।  আমি কর্মস্থলে গেলে তারা আমাকে লাঠি নিয়া খুজাখোজি করে। এমতাবস্থায় আমি কাজ কর্ম করতে পারছিনা।

এই ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানানোর পর ও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ আগষ্ট পুলিশ সুপার কুমিল্লা বরাবর মামলাটি সিআইডি বা জেলা গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তরের জন্য আবেদন করিলে পুলিশ সুপার মহোদয় অভিযোগটি আমলে  নিয়ে পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে মামলাটির দায়িত্বভার দেন।  তাই এলাকাবাসী ও প্রশাসনের নিকট আমার আকুল আবেদন বাবুল মীর, আ: আউয়াল, বাচ্চু মিয়া, মিন্টু মিয়া সহ তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারীদের সঠিক বিচার করিলে আমার মেয়ের মত আর কোন মেয়েকে ধর্ষন করার সাহস আর কেউ করবেনা বলে আমার বিশ্বাস।

উক্ত ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর জানান, অভিযোগ দায়েরের পর থেকে আমি মামলাটি নিয়ে প্রচন্ড কাজ করে আসছি। মামলার অভিযুক্ত আসামী বাবুলমীর বিভিন্ন সময় লোকেশন পরিবর্তন করছে ফলে আমরা তাকে আটক করতে পারছিনা। তার যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেটি বর্তমানে তার স্ত্রী পরিচালনা করছে তাই আমি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ও কিছু করতে পারছিনা। কিছু করতে হলে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। আমরা সাধ্যমত আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার কথা জানিয়ে ফোন রেখে দেন। এব্যাপারে তিনি পরে কথা বলবেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামীকে থানা পুলিশ না ধরার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:৩১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬
মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল মীর (৪৫) গত ২৮জুলাই রাত ৮টায়  তাসলিমা (৯) নামের এক শিশুকে সাটার বন্ধ করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর থানায় মামলা করলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধীন-০৩ এর ৯ (১) ধারায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে আগষ্টের ৫ তারিখ মামল নেয় মামলা নং-০৫/১৪৬ । কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার প্রায় ১মাস পার হয়ে গেলেও এখনো ধর্ষক বাবুলমীর পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে। পুলিশ তাকে ধরছে না বা ধরতে পারছে না বলে অভিযোগ মামলার বাদীর।

তাসলিমার বাবা মো: আব্দুল আজিজ জানায়, মামলা নেওয়ার পর ১মাস পার হয়ে গেলে ও মুরাদনগর থানা পুলিশ আসামীকে ধরতে পারছেনা বা ধরছেনা। । যেখানে যে দোকানে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে সেই দোকান খুলে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এই মামলার ১নং স্বাক্ষীসহ অন্যান্য স্বাক্ষীদের জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।  আসামী পক্ষের সাথে থানা পুলিশের যোগসাজস রয়েছে। ফলে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।  তিনি দাবী করে বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার সঠিকভাবে মামলা তদন্ত না করে আসামী পক্ষের সাথে যোগসাজসে আমাকে মামলা না চালানোর জন্য এবং আসামীর সাথে আপোষ নিষ্পত্তি করার জন্য হুমকি ধমকি দেয়। তদন্তকারী অফিসার আসামীর সাথে উঠাবসা করে কিন্তু আসামীকে গ্রেফতার করেনি ।  বরং কোম্পানীগঞ্জ বাজারের কিছু ব্যবসায়ী দুষ্ট প্রকৃতির লোক বাবুল মীরের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বাবুল মীরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। তার সাথের কিছু ব্যবসায়ী আমাকে জীবনে মেরে ফেলবে, লাশ গুম করে ফেলবে আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে এমনকি আমার কর্মস্থলে যেতে ও বাধা দেয়।  আমি কর্মস্থলে গেলে তারা আমাকে লাঠি নিয়া খুজাখোজি করে। এমতাবস্থায় আমি কাজ কর্ম করতে পারছিনা।

এই ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানানোর পর ও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ আগষ্ট পুলিশ সুপার কুমিল্লা বরাবর মামলাটি সিআইডি বা জেলা গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তরের জন্য আবেদন করিলে পুলিশ সুপার মহোদয় অভিযোগটি আমলে  নিয়ে পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে মামলাটির দায়িত্বভার দেন।  তাই এলাকাবাসী ও প্রশাসনের নিকট আমার আকুল আবেদন বাবুল মীর, আ: আউয়াল, বাচ্চু মিয়া, মিন্টু মিয়া সহ তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারীদের সঠিক বিচার করিলে আমার মেয়ের মত আর কোন মেয়েকে ধর্ষন করার সাহস আর কেউ করবেনা বলে আমার বিশ্বাস।

উক্ত ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর জানান, অভিযোগ দায়েরের পর থেকে আমি মামলাটি নিয়ে প্রচন্ড কাজ করে আসছি। মামলার অভিযুক্ত আসামী বাবুলমীর বিভিন্ন সময় লোকেশন পরিবর্তন করছে ফলে আমরা তাকে আটক করতে পারছিনা। তার যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেটি বর্তমানে তার স্ত্রী পরিচালনা করছে তাই আমি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ও কিছু করতে পারছিনা। কিছু করতে হলে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। আমরা সাধ্যমত আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার কথা জানিয়ে ফোন রেখে দেন। এব্যাপারে তিনি পরে কথা বলবেন।