ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুশফিকের ইতিহাসের পর বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা

খেলাধূলা ডেস্ক:

বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। শুধু তাই নয়, সাকিব আল হাসানের ২১৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসটাকেও টপকে গেছেন তিনি। ক্রিজে থাকলে কতদূর যেতেন তা বলা মুশকিল।

শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ২১৯ অপরাজিত অবস্থায়ই থামতে হয়েছে তাকে। কারণ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫২২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছেন। পরে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেটে ২৫ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। এখনো বাংলাদেশের লিড রয়েছে ৪৯৭ রানের।

মুশফিকসহ বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন ব্যাটসম্যান। সবমিলিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করা ইনিংসের সংখ্যা দাঁড়াল চারটি। যার দুটি করেছেন মুশফিক। আর একটি করে করেছেন সাকিব ও তামিম।

এছাড়া একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছেন দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার ১১টি দুইশোর্ধ্ব ইনিংস থাকলেও উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি একটি সেঞ্চুরিই করেছেন।

এর আগে ওয়েলিংটনে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের ২১৭ রানের ইনিংস ছিল বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এরপরই ছিল ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিমের করা ২০৬ রানের ইনিংস। আর গলে ২০১৩ সালে মুশফিকের ২০০ রানের ইনিংস ছিল তিন নম্বরে। আজ সাকিব-তামিমকে ছাড়িয়ে মুশফিক চলে গেলেন সবার উপরে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রবিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা ভালোই কাটায় স্বাগতিকরা। এ দিন ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে নিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান মুশফিক-মুমিনুল। চতুর্থ উইকেটে এ দুজন করেন ২৬৬ রান।

এরপর মুমিনুল আউট হয়ে যান। ২৪৭ বল থেকে ১৯টি চারের মারে মুমিনুল খেলেছেন ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। অপরদিকে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। আজ তিনি ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শুধু তাই নয়, তার ২১৯ রানের ইনিংস টেস্টে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

রবিবার প্রথম দিনশেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৩০৩ রান। ক্রিজে ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। সেখান থেকেই আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন তারা। দলীয় ৩৭২ রানে মাহমুদউল্লাহ (৪০) আউট হন। দলীয় স্কোরে ৬ রান যোগ হতেই তাকে অনুসরণ করেন আরিফুল হক।

এরপর মিরাজ জুটি বাঁধেন মুশফিকের সঙ্গে। এই জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করে ১৪৪ রান। এরপর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তখন মুশফিক ২১৯ ও মিরাজ ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে কাইল জার্ভিস ৭১ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট।

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে ১৫১ রানে। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে সিরিজে হার এড়াতে হলে অবশ্যই ম্যাচ জিততে হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাবেক মন্ত্রীর কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

মুশফিকের ইতিহাসের পর বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা

আপডেট সময় ১১:৩২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮
খেলাধূলা ডেস্ক:

বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। শুধু তাই নয়, সাকিব আল হাসানের ২১৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসটাকেও টপকে গেছেন তিনি। ক্রিজে থাকলে কতদূর যেতেন তা বলা মুশকিল।

শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ২১৯ অপরাজিত অবস্থায়ই থামতে হয়েছে তাকে। কারণ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫২২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছেন। পরে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেটে ২৫ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। এখনো বাংলাদেশের লিড রয়েছে ৪৯৭ রানের।

মুশফিকসহ বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন ব্যাটসম্যান। সবমিলিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করা ইনিংসের সংখ্যা দাঁড়াল চারটি। যার দুটি করেছেন মুশফিক। আর একটি করে করেছেন সাকিব ও তামিম।

এছাড়া একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছেন দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার ১১টি দুইশোর্ধ্ব ইনিংস থাকলেও উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি একটি সেঞ্চুরিই করেছেন।

এর আগে ওয়েলিংটনে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের ২১৭ রানের ইনিংস ছিল বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এরপরই ছিল ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিমের করা ২০৬ রানের ইনিংস। আর গলে ২০১৩ সালে মুশফিকের ২০০ রানের ইনিংস ছিল তিন নম্বরে। আজ সাকিব-তামিমকে ছাড়িয়ে মুশফিক চলে গেলেন সবার উপরে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রবিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা ভালোই কাটায় স্বাগতিকরা। এ দিন ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে নিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান মুশফিক-মুমিনুল। চতুর্থ উইকেটে এ দুজন করেন ২৬৬ রান।

এরপর মুমিনুল আউট হয়ে যান। ২৪৭ বল থেকে ১৯টি চারের মারে মুমিনুল খেলেছেন ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। অপরদিকে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। আজ তিনি ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শুধু তাই নয়, তার ২১৯ রানের ইনিংস টেস্টে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

রবিবার প্রথম দিনশেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৩০৩ রান। ক্রিজে ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। সেখান থেকেই আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন তারা। দলীয় ৩৭২ রানে মাহমুদউল্লাহ (৪০) আউট হন। দলীয় স্কোরে ৬ রান যোগ হতেই তাকে অনুসরণ করেন আরিফুল হক।

এরপর মিরাজ জুটি বাঁধেন মুশফিকের সঙ্গে। এই জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করে ১৪৪ রান। এরপর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তখন মুশফিক ২১৯ ও মিরাজ ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে কাইল জার্ভিস ৭১ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট।

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে ১৫১ রানে। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে সিরিজে হার এড়াতে হলে অবশ্যই ম্যাচ জিততে হবে।