তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আবারো শুরু হলো জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর আগামীর পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিতে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় প্রান্তিক পর্যায় থেকে শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে গত বছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করা হচ্ছে ‘জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৯’। এ বছরের আয়োজনে দুইদিনব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ আজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশের সবচাইতে বড় তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা ও সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। শিশুদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি একজন প্রোগ্রামার হওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা থেকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।
আয়োজন প্রসঙ্গে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) এসোসিয়েট কো-অর্ডিনেটর বলেন, গতবারের ন্যায় জাতীয় শিশুকিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় এবারও শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রাখা হয়েছে এই প্রতিযোগিতায়। প্রোগ্রামিংয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা এবং তাদের আগ্রহের জায়গাটি সহজ ও উপভোগ্য করতে আমরা শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আজ ২২মে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় শিক্ষকদের। আগামীকাল ২৩মে পাইথন ভাষার উপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) কনফারেন্স হলে দুইদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে ৬৪ জেলা থেকে ৪০০ জন শিক্ষক, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ২০০ জন ল্যাব কো-অরর্ডিনেটর সহ মোট ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশব্যাপী ২০০টি শেখ রাসেল ল্যাবে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
এই প্রতিযোগিতার অন্যতম একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, তৃতীয় শ্রেণীর শিশু থেকে শুরু করে দশম শ্রেণীর কিশোর পর্যন্ত সকলের অংশগ্রহণ। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের জন্য তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন একটি প্রজন্ম তৈরিতে সহায়তা করবে জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। সেই সঙ্গে নিজ শিশুকে প্রোগ্রামার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অনুপ্রেরণা দিতে অভিভাবকদের মাঝেও ইতিবাচক এক মনোভাব সৃষ্টি করেছে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা।