আন্তর্জাতিক :
ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানির হত্যাকারীদের ‘অপরাধী’ উল্লেখ করে তার জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। শুক্রবারের এই হামলার পর কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এ সময় খামেনি বলেন, ‘সব শত্রুদেরই জেনে রাখা উচিত, প্রতিরোধ বাহিনীর জিহাদ দ্বিগুণ উদ্যমে অগ্রসর হবে। পবিত্র এই যুদ্ধে অবশ্যই যোদ্ধাদের জন্য নিশ্চিত বিজয় অপেক্ষা করছে।’
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার ঘটনাকে ভয়াবহ উত্তেজনা উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভে জারিফ বলেছেন, সব ধরনের পরিণতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী থাকবে।
শুক্রবার ইরাকের বাগদাদের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরান সমর্থিত পপুলরার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ আটজন নিহত হয়েছেন। ইরাকি সামরিক বাহিনী জানায়, বাগদাদের ওই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাসেম সোলাইমানির গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে মোট তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। তবে এই হামলায় মোট কতজন নিহত হয়েছেন তা জানায়নি তারা।
হামলায় মোট কতজন নিহত হয়েছেন তা না জানালেও ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরান সমর্থিত পিএমএফ বাহিনীর উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিএমএফ। একই সঙ্গে তাদের দুইজনকে ‘শহীদ’ বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এর আগে পিএমএফ জানিয়েছিল, ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে বহনকারী দুইটি গাড়ি মার্কিন রকেট হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল পিএমএফ কর্মকর্তারা।
এদিকে হামলার পর থেকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ইরান দূতাবাসের আকাশে একটি মার্কিন ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার টহল দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে আমেরিকা ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে যা চলমান উত্তেজনাকে আরো তীব্র করতে পারে।