ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদি রাজাকে ফোন করে ‘আরব ঐক্যের’ আহ্বান ট্রাম্পের

প্রবাস ডেস্কঃ
কাতারকে প্রতিবেশী দেশের একঘরে করে রাখার মধ্যেই উপসাগরীয় দেশগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি বাদশাহ সালমানকে ফোন করে এই আহ্বান জানান ট্রাম্প।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ‘ফোনে ট্রাম্প ওই অঞ্চলে চরমপন্থি মতাদর্শ ও সন্ত্রাসীদের অর্থ সাহায্যের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াইয়ের বার্তা প্রদান করেন।’
তবে এর আগে, কাতারের সঙ্গে যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, সেটা নিজের কারণেই হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব তার। সম্প্রতি সৌদি আরব সফরে তাকে জানানো হয়েছিল যে কাতার ‘জঙ্গিদের সমর্থন করছে ও অর্থের যোগান দিচ্ছে’।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরটি ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবের রিয়াদ সফরের সময় ট্রাম্প তার এক ভাষণে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন ইসলামি চরমপন্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু করে বাহরাইন। পরে সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিন্ন ভিন্নভাবে সম্পর্কচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তকে দেখা হচ্ছে গাল্ফ অঞ্চলের দেশগুলো, যারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তাদের সঙ্গে কাতারের সম্পর্কচ্ছেদ হিসেবে। এরমধ্যে গাল্ফভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার একটি প্রভাব রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটারে লেখেন ‘মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আমি বলেছিলাম জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে হবে, এটাকে কোনভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। দেখেন-নেতারা কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।’
এরপর আরেকটি টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘সৌদি আরবসহ পঞ্চাশটি দেশ যে বলছে তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা।’ বিবিসি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

সৌদি রাজাকে ফোন করে ‘আরব ঐক্যের’ আহ্বান ট্রাম্পের

আপডেট সময় ০৭:১৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭
প্রবাস ডেস্কঃ
কাতারকে প্রতিবেশী দেশের একঘরে করে রাখার মধ্যেই উপসাগরীয় দেশগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি বাদশাহ সালমানকে ফোন করে এই আহ্বান জানান ট্রাম্প।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ‘ফোনে ট্রাম্প ওই অঞ্চলে চরমপন্থি মতাদর্শ ও সন্ত্রাসীদের অর্থ সাহায্যের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াইয়ের বার্তা প্রদান করেন।’
তবে এর আগে, কাতারের সঙ্গে যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, সেটা নিজের কারণেই হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব তার। সম্প্রতি সৌদি আরব সফরে তাকে জানানো হয়েছিল যে কাতার ‘জঙ্গিদের সমর্থন করছে ও অর্থের যোগান দিচ্ছে’।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরটি ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবের রিয়াদ সফরের সময় ট্রাম্প তার এক ভাষণে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন ইসলামি চরমপন্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু করে বাহরাইন। পরে সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিন্ন ভিন্নভাবে সম্পর্কচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তকে দেখা হচ্ছে গাল্ফ অঞ্চলের দেশগুলো, যারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তাদের সঙ্গে কাতারের সম্পর্কচ্ছেদ হিসেবে। এরমধ্যে গাল্ফভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার একটি প্রভাব রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটারে লেখেন ‘মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আমি বলেছিলাম জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে হবে, এটাকে কোনভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। দেখেন-নেতারা কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।’
এরপর আরেকটি টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘সৌদি আরবসহ পঞ্চাশটি দেশ যে বলছে তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা।’ বিবিসি।