ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুল শেষে কবরস্থানে কাজ করে ইয়েমেনি শিশুরা

খেলাধূলা ডেস্কঃ

নীল রঙের ডোরাকাটা শার্ট পরে খালি পায়ে আহমেদ আল-হামাদি স্কুল থেকে গোরস্থানে কাজ করতে যাচ্ছে। ১৩ বছর বয়সী শিশুটি গোরস্থানের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। সেখানে কবরগুলো পরস্পরের কাছ ঘেঁষে আছে এবং প্রায় প্রতিদিনই সেখানে থাকে শোকার্ত মানুষের ভিড়।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে হামাদির মতো অনেক শিশুই স্কুল শেষে গোরস্থানে কাজ করে। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত পরিবারগুলোর শিশুরা বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজ করছে।

ছোট কাঁধে পানির গ্যালন বহন করে আহমেদ চারাগাছে পানি দেয়। কবরের নামফলক থেকে ধুলো মুছে ফেলার বিনিময়ে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে যা অর্থ পায় তা দিয়ে পরিবারকে সে সহায়তা করে।

আহমেদ বলে, ‘আমরা সাধারণত দাফনের জন্য অপেক্ষা করি। দাফন হলে আমাদের আয় হয়। আর যদি কেউ মারা না যায় তবে আমরা গোরস্থানে ঘুরাঘুরি ও খেলাধূলা করি।’

ইয়েমেনের লাখ লাখ শিশুর মতো আহমেদ স্কুলে টিকে থাকার জন্য লড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ, দারিদ্র ও মহামারি আরব বিশ্বের দরিদ্রতম দেশটিতে চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

স্কুল শেষে কবরস্থানে কাজ করে ইয়েমেনি শিশুরা

প্রেসিডেন্ট আব্দেরাব্বো মানসুর হাদির পক্ষে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দিলে পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করে। ইরান সমর্থিত উত্তরাঞ্চলীয় হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ও হাদির অনুগত সৈন্যদের সঙ্গে প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে। এর ফলে যুদ্ধে তীব্রতা ও রক্তপাত বহুগুণে বেড়ে দেশটিতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

কাল ২৬ মার্চ হুতি বিদ্রোহীদের উচ্ছেদ করতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ইয়েমেনে হামলার শুরুর চার বছর পূর্ণ হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, এই যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর যোগদানের পর থেকে ইয়েমেনে প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত ও ৬০ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঞ্ছারামপুরের ‘ডন’ খ্যাত এমপির ভাগিনা জনির জামিন।বিএনপির নেতাকর্মী সহ এলাকায় তোলপাড়! 

স্কুল শেষে কবরস্থানে কাজ করে ইয়েমেনি শিশুরা

আপডেট সময় ১২:৪১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০১৯
খেলাধূলা ডেস্কঃ

নীল রঙের ডোরাকাটা শার্ট পরে খালি পায়ে আহমেদ আল-হামাদি স্কুল থেকে গোরস্থানে কাজ করতে যাচ্ছে। ১৩ বছর বয়সী শিশুটি গোরস্থানের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। সেখানে কবরগুলো পরস্পরের কাছ ঘেঁষে আছে এবং প্রায় প্রতিদিনই সেখানে থাকে শোকার্ত মানুষের ভিড়।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে হামাদির মতো অনেক শিশুই স্কুল শেষে গোরস্থানে কাজ করে। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত পরিবারগুলোর শিশুরা বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজ করছে।

ছোট কাঁধে পানির গ্যালন বহন করে আহমেদ চারাগাছে পানি দেয়। কবরের নামফলক থেকে ধুলো মুছে ফেলার বিনিময়ে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে যা অর্থ পায় তা দিয়ে পরিবারকে সে সহায়তা করে।

আহমেদ বলে, ‘আমরা সাধারণত দাফনের জন্য অপেক্ষা করি। দাফন হলে আমাদের আয় হয়। আর যদি কেউ মারা না যায় তবে আমরা গোরস্থানে ঘুরাঘুরি ও খেলাধূলা করি।’

ইয়েমেনের লাখ লাখ শিশুর মতো আহমেদ স্কুলে টিকে থাকার জন্য লড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ, দারিদ্র ও মহামারি আরব বিশ্বের দরিদ্রতম দেশটিতে চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

স্কুল শেষে কবরস্থানে কাজ করে ইয়েমেনি শিশুরা

প্রেসিডেন্ট আব্দেরাব্বো মানসুর হাদির পক্ষে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দিলে পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করে। ইরান সমর্থিত উত্তরাঞ্চলীয় হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ও হাদির অনুগত সৈন্যদের সঙ্গে প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে। এর ফলে যুদ্ধে তীব্রতা ও রক্তপাত বহুগুণে বেড়ে দেশটিতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

কাল ২৬ মার্চ হুতি বিদ্রোহীদের উচ্ছেদ করতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ইয়েমেনে হামলার শুরুর চার বছর পূর্ণ হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, এই যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর যোগদানের পর থেকে ইয়েমেনে প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত ও ৬০ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক।