ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হকাররা সবচেয়ে নির্যাতিত-শোষণ বঞ্চনার শিকার- হকার্স শ্রমিক আন্দোলন

জাতীয় ডেস্কঃ

ইসলামী আন্দোলনের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, হকাররা আজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষণ ও বঞ্চনার শিকার। হকারদের পুনর্বাসন না করে এবং নোটিশ ছাড়াই বার বার হকার্স উচ্ছেদ করে অত্যন্ত নির্মমতার দিকে ঠেলে দেয়া হয়। কেননা একজন হকারের উপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল। হকার নির্যাতন বন্ধ ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে হকার্সদের ব্যবসার করার সুযোগ করে দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। হকারদের শ্রম নিয়ে পুঁজিপতিরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও হকাররা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায়নি। অথচ ইসলাম শ্রমিকদের যথার্থ মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলে শুধু মানুষ নয়, বনের পশুরা পর্যন্ত তাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাবে। তাই তিনি সকলস্তরের শ্রমিকদের ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

(শনিবার) সকাল ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে হকার্স শ্রমিক আন্দোলন-এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। হকার্স শ্রমিক আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মদ শামসুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়ার পরিচালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম বিল্লাল। এছাড়াও হকার্স শ্রমিক আন্দোলন ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

কাউন্সিলে মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়া সভাপতি, মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং মুহাম্মদ জাকির হোসন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়।

মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন বলেন, দেশে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। প্রচলিত আইন দিয়ে সমাজের চলমান এসব অস্থিরতা রুখা যাবে না। সকল অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে ইসলামী শাসনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, যে শ্রমিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফষল ও দ্রব্য উৎপাদন করে সে পণ্য তার ছেলে মেয়েরা উপভোগ করতে পারে না। যে শ্রমিক লক্ষ কোটি মানুষের জন্য ঔষধ তৈরি করছে তার ছেলেমেয়েরা চিকিৎসায় ঔষধ পাচ্ছে না। তেমনিভাবে যে শ্রমিক কাগজ তৈয়ার করছে, খাতা এবং বই বাইন্ডিং করছে টাকার অভাবে তার ছেলেমেয়েরা অর্থভাবে সঠিকভাবে লেখা পড়া করতে পারছে না।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ শামসুল হক ইসলামে মহান আল্লাহ পাক শ্রমজীবি মানুষের যে অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন তা তুলে ধরে বলেন, শ্রমজীবি মানুষ আজও তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

ট্যাগস

হকাররা সবচেয়ে নির্যাতিত-শোষণ বঞ্চনার শিকার- হকার্স শ্রমিক আন্দোলন

আপডেট সময় ০১:৪১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৬
জাতীয় ডেস্কঃ

ইসলামী আন্দোলনের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, হকাররা আজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষণ ও বঞ্চনার শিকার। হকারদের পুনর্বাসন না করে এবং নোটিশ ছাড়াই বার বার হকার্স উচ্ছেদ করে অত্যন্ত নির্মমতার দিকে ঠেলে দেয়া হয়। কেননা একজন হকারের উপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল। হকার নির্যাতন বন্ধ ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে হকার্সদের ব্যবসার করার সুযোগ করে দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। হকারদের শ্রম নিয়ে পুঁজিপতিরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও হকাররা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায়নি। অথচ ইসলাম শ্রমিকদের যথার্থ মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলে শুধু মানুষ নয়, বনের পশুরা পর্যন্ত তাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাবে। তাই তিনি সকলস্তরের শ্রমিকদের ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

(শনিবার) সকাল ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে হকার্স শ্রমিক আন্দোলন-এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। হকার্স শ্রমিক আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মদ শামসুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়ার পরিচালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম বিল্লাল। এছাড়াও হকার্স শ্রমিক আন্দোলন ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

কাউন্সিলে মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়া সভাপতি, মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং মুহাম্মদ জাকির হোসন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়।

মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন বলেন, দেশে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। প্রচলিত আইন দিয়ে সমাজের চলমান এসব অস্থিরতা রুখা যাবে না। সকল অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে ইসলামী শাসনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, যে শ্রমিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফষল ও দ্রব্য উৎপাদন করে সে পণ্য তার ছেলে মেয়েরা উপভোগ করতে পারে না। যে শ্রমিক লক্ষ কোটি মানুষের জন্য ঔষধ তৈরি করছে তার ছেলেমেয়েরা চিকিৎসায় ঔষধ পাচ্ছে না। তেমনিভাবে যে শ্রমিক কাগজ তৈয়ার করছে, খাতা এবং বই বাইন্ডিং করছে টাকার অভাবে তার ছেলেমেয়েরা অর্থভাবে সঠিকভাবে লেখা পড়া করতে পারছে না।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ শামসুল হক ইসলামে মহান আল্লাহ পাক শ্রমজীবি মানুষের যে অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন তা তুলে ধরে বলেন, শ্রমজীবি মানুষ আজও তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।