মো.আবু রায়হান চৌধুরী

কুমিল্লার হোমনায় সড়ক মেরামত কাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোমনা উপজেলাধীন হোমনা-দুলালপুর-বাঞ্ছারামপুর সড়ক মেরামত কাজে এ অভিযোগ উঠেছে।

এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাগেছে, বৃহত্তর কুমিল্লা প্রকল্প (জিসিপি তৃতীয় পর্যায়) এর ৯৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৩২ টাকা ব্যয়ে রাস্তা মেরামত কাজের কার্যাদেশ পায় মেসার্স সামিহা এন্টারপ্রাইজ ২১/৮/১৯ ইং। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৭/১২/১৯ইং তারিখে তা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার রাস্তার কাজে ব্যবহারের লক্ষে সাইডে নি¤œমানের ইট জমা করছে। এতে সাধারণ জনগনের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসি জানান, ঠিকাদার নিম্নমানের ইট সাইডে এনেছেন। এবং রাস্তা প্রশস্থ করণের জন্য রাস্তার পার্শ্বে ভিটি বালু ও খোয়া ফেলে সাববেইজ করা হচ্ছে। আর খোয়া হিসেবে যা ব্যবহার করা হচ্ছে তা পুরাতন টেম্পারবিহীন খোয়া। আসলে তা পোড়া মাটির আধলা। এ ছাড়া রাস্তার দু’পাশে এজিং করা হয়েছে নিম্নমানের পুরাতন ইট দিয়ে। রাস্তার পার্শ্বে মাটি দেয়া হচ্ছে না এবং কমপ্যাকশন করার জন্য প্রয়োজনীয় পানি ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এসব অনিয়মের কারণে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইতিমধ্যে এ সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এবং ভালমানের ইট দিয়ে কাজ করার জন্য চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মেসার্স সামিহা এন্টার প্রাইজের মালিক মো.আমির হোসেন বলেন, ভুল করে সড়কে সামান্য কিছু খারাপ ইট চলে আসছে। পরে তা বাতিল করে নতুন করে ইট আনা হয়েছে। দরপত্রের শর্তমেনেই রাস্তা মেরামতের কাজ করা হবে।

হোমনা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো.জহিরুল হক জানান, মেরামত কাজে ঠিকাদার সাইডে নি¤œমানের ইট আনার পর জানতে পেরে সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

নি¤œমানের ইট সরিয়ে ভালমানের ইট এনে কাজ শুরু করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন,কাজের গুনগতমানের বেলায় কোন ছাড় নেই। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী যথেষ্ট  আন্তরিক। ইতোমধ্যে তিনি ২৬টি রাস্তা পাকাকরণ ও ৩টি ব্রীজ নির্মানের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন। দ্রুত এর কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি ।