আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
জাতীয় প্রধান মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের কুমিল্লা অংশের চৌদ্দগ্রাম এলাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে নিষিদ্ধ যানবাহনের সংখ্যা। সরকার সারাদেশের মহাসড়কগুলো থেকে থ্রিহুইলারসহ পিক-আপ,লেগুণা,ট্রাক্টর,নসিমন,করিমন বা রিক্সা চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করলেও চৌদ্দগ্রামে মানা হচ্ছেনা সেই আইন । ফলে সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দেদাড়ছে চলছে এসকল নিষিদ্ধ যানবাহন সমূহ। মহাসড়কের যানবাহনের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাইওয়ে পুলিশ সেটা দেখলেও প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা অজ্ঞাত কারণে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর এলাকায় রয়েছে প্রায় ৪২ কিলোমিটার অংশ। এ উপজেলার উত্তরে নালবাগ থেকে দক্ষিণে দত্তসার পর্যন্ত রয়েছে এর সীমানা। সরকার মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রায় দু’বছর সময় হলেও এখানে অবাধে প্রতিদিনই চলছে। এছাড়াও সিএনজি আটোরিক্সা নিষিদ্ধের পর লেগুণা,পিক-আপ,মাইক্রোবাস,প্রাইভেটকার যাত্রীবহন শুরু করলেও সম্প্রতি সেগুলোও নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। এর ফলে প্রতিদিনই মহাসড়কে স্বল্প দুরত্বে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিষিদ্ধের সুযোগ নিচ্ছে এক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশ।
সরেজমিন মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশের বিভিন্নস্থান ঘুরে এসকল যানবাহনের চালকদের সাথে কথা বলতে চাইলে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান,যাত্রীদের যেমন প্রয়োজন তেমনি আমাদের আয় রোজগারের চিন্তা করে হাইওয়ে পুলিশদের ম্যানেজ করে চালাতে হচ্ছে লেগুণা,পিক-আপ। কিচ্ছু করার নাই। আমরা অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের খুশি করে গাড়ি চালাই। তবে যখন তখন গাড়ি আটকের ঘটনাও ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে এক্ষেত্রে যানবাহনের মালিক পক্ষ টাকা দিয়ে আটক গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে মহাসড়কে কৃষি জমিতে চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর,নসিমন,করিমন,রিক্সা মহাসড়কে চলাচলে নিষিদ্ধ হলেও চৌদ্দগ্রামের মহাসড়কের অংশে সেটাও মানা হচ্ছেনা। ফলে দেশের প্রধান ব্যস্ততম জাতীয় এই মহাসড়কে চলাচলকারী দ্রুতগতির বিভিন্ন যানবাহন যেমন অত্যাধুনিক বাস,লরি,কভার্ডভ্যান,প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস,জীপসহ অন্যান্য যানবাহনের চালকদের দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছে। এতে চালকদের দুর্ভোগ বাড়ছে প্রতিদিনই।
মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম এলাকায় নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা জানতে চাইলে চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ইব্রাহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,আমার সামর্থ দিয়ে নিষিদ্ধ যানবাহন আটক করছি,মামলাও দিচ্ছি।