ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ জয়দল হোসেনের আত্মকাহিনী

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার রাজাচাপিতলা গ্রামের মৃত চানবক্সের ছেলে মো. জয়দল হোসেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চাপিতলা গ্রামে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক শতাধিক বাড়ি-ঘর লুটপাট ও আগুনে ভস্মিভূত করে। জয়দল হোসেনের বয়স তখন ছিল মাত্র ৮ বছর। তাদের বাড়ি সংলগ্ন ছিল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ঝাপিয়ে পড়ে রুটি-ভাজি-পানি ইত্যাদির কাজ করতো জয়দল হোসেন। ওই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীরা গুলি চালিয়ে ৩৪ জনকে হত্যা ও ১০ জনকে আহত করে।

এ সময় জয়দল হোসেনকেও বর্বর পাক হানাদার বাহিনী গুলি করলে তার বাম পায়ের হাটুর নীচে বৃদ্ধ হয়। দীর্ঘদিন কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ্য হওয়ায় এ মর্মে সাবেক গণ পরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত হাজী আবুল হাসেম একটি প্রত্যয়ন পত্র দেন। কিন্তুু আজো তার বাম পায়ের হাটুর নীচে গুলিবৃদ্ধের দাগ রয়েছে। গুলিবৃদ্ধের ক্ষত স্থানে মাঝে মধ্যে এখনো তিনি ব্যাথা অনুভব করেন। যুদ্ধ শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার চিকিৎসার জন্য ১৯৭২ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রীর এাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করেন। কিন্তুু দীর্ঘ ৪৬ বছর অতিবাহিত হলেও জয়দল হোসেনের কেউ খোঁজ রাখাতো দুরের কথা সহায়তায়ও কেউ এগিয়ে আসেনি।

কতিথ আছে, যুদ্ধ না করে এবং কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। কিন্তুু যুদ্ধে গুলিবৃদ্ধ হওয়ার পরও মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও জয়দল হোসেনের নাম মুক্তিযোদ্ধাতো দুরের কথা আহত হিসেবেও কেউ তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করেনি। বয়সের কারণেও যদি জয়দল হোসেনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা না যায়, তাহলে একজন সহায়ক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

ট্যাগস

স্বাধীনতার যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ জয়দল হোসেনের আত্মকাহিনী

আপডেট সময় ০২:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার রাজাচাপিতলা গ্রামের মৃত চানবক্সের ছেলে মো. জয়দল হোসেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চাপিতলা গ্রামে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক শতাধিক বাড়ি-ঘর লুটপাট ও আগুনে ভস্মিভূত করে। জয়দল হোসেনের বয়স তখন ছিল মাত্র ৮ বছর। তাদের বাড়ি সংলগ্ন ছিল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ঝাপিয়ে পড়ে রুটি-ভাজি-পানি ইত্যাদির কাজ করতো জয়দল হোসেন। ওই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীরা গুলি চালিয়ে ৩৪ জনকে হত্যা ও ১০ জনকে আহত করে।

এ সময় জয়দল হোসেনকেও বর্বর পাক হানাদার বাহিনী গুলি করলে তার বাম পায়ের হাটুর নীচে বৃদ্ধ হয়। দীর্ঘদিন কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ্য হওয়ায় এ মর্মে সাবেক গণ পরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত হাজী আবুল হাসেম একটি প্রত্যয়ন পত্র দেন। কিন্তুু আজো তার বাম পায়ের হাটুর নীচে গুলিবৃদ্ধের দাগ রয়েছে। গুলিবৃদ্ধের ক্ষত স্থানে মাঝে মধ্যে এখনো তিনি ব্যাথা অনুভব করেন। যুদ্ধ শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার চিকিৎসার জন্য ১৯৭২ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রীর এাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করেন। কিন্তুু দীর্ঘ ৪৬ বছর অতিবাহিত হলেও জয়দল হোসেনের কেউ খোঁজ রাখাতো দুরের কথা সহায়তায়ও কেউ এগিয়ে আসেনি।

কতিথ আছে, যুদ্ধ না করে এবং কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। কিন্তুু যুদ্ধে গুলিবৃদ্ধ হওয়ার পরও মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও জয়দল হোসেনের নাম মুক্তিযোদ্ধাতো দুরের কথা আহত হিসেবেও কেউ তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করেনি। বয়সের কারণেও যদি জয়দল হোসেনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা না যায়, তাহলে একজন সহায়ক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।