ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সমস্যা, কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারিদের অনিয়মের চিত্র ধারাবাহিক ভাবে জাতীয় দৈনিকসহ আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশের জের ধরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মুরাদনগর উপজেলার সংবাদদাতা ও মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা সম্পাদক মো: মোশাররফ হোসেন মনিরসহ দু’জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার প্রতিবাদ, অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করে মুরাদনগর প্রেসক্লাব।

মঙ্গলবার বেলা ১২টা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সমাবেশে সাংবাদিকরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর আলম আকষ্মিক পরির্দশন করেন। পরির্দশন কালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার মান, কর্তব্যরত ডাক্তারের ভূমিকা ও হাসপাতালের বর্তমান চিত্র নিজে ফেইসবুকে হতাশা জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘আজ রাতে আকষ্মিক মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও হাসপাতাল পরিদর্শন করি। হাসপাতালের কিছু ছবি সকলের সদয় অবগতির জন্য উপস্থাপন করলাম। টঐঋচঙ সাহেব ঢাকায় আছেন বলে জানা গেল। টয়লেটে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা নেই। দায়িত্বরত দু’জন চিকিৎসকের গায়ে নির্ধারিত পোষাক নেই। জরুরী বিভাগে আহত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন হারবাল সহকারী এবং রোগীদের সঙ্গীয় লোকজনের হাট বসেছে বলে মনে হয়। দয়া করে দেশের মেধাবী চিকিৎসকবৃন্দ নজর দিবেন কি? “ডিসি’র এমন স্ট্যাটাসে অধিকাংশ শ্রেণী পেশার মানুষ ইতিবাচক মন্তব্য করলেও চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত এবং অধ্যয়নরতদের কেউ কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে দৈনিক ইত্তেফাক, মানবজমিন ও অঞ্চলিক সহ বিভিন্ন পত্রিকা বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা সেবার হালচাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আর ঐ প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবাদ না দিয়ে ও সংশোধন না হয়ে গত ৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ইনচার্জ) ডা. মো: সিরাজুল ইসলাম মানিক বাদী হয়ে একটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়ের করে।

এতে করে দালাল সিন্ডিকেট ও অসাধু কর্মকর্তারা আরও বেপরোয়া  হয়ে উঠেছে। নেতৃবৃন্দ উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে উক্ত ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে।

মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কুমিল্লা ব্যুরো চিফ আবুল খায়ের, সহসভাপতি ও মোহনা টিভির প্রিতিনিধি তৌহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার মুরাদনগর প্রতিনিধি আজিজুর রহমান রনি, সহসাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য ও সমকালের প্রতিনিধি বেলাল আহমেদ, উপদেষ্টা নয়াদিগন্তের প্রতিনিধি আব্দুল আউয়াল সরকার,সন্ধ্যাবাণীর উত্তর জেলা প্রতিনিধি দুলাল দেবনাথ, আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম, হাসনাত জামান, নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ, আবুল বাশার, রায়হান চৌধুরী, রাসেল, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে স্থানীয় সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবীদ, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

আপডেট সময় ০৬:১০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭
মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সমস্যা, কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারিদের অনিয়মের চিত্র ধারাবাহিক ভাবে জাতীয় দৈনিকসহ আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশের জের ধরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মুরাদনগর উপজেলার সংবাদদাতা ও মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা সম্পাদক মো: মোশাররফ হোসেন মনিরসহ দু’জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার প্রতিবাদ, অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করে মুরাদনগর প্রেসক্লাব।

মঙ্গলবার বেলা ১২টা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সমাবেশে সাংবাদিকরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর আলম আকষ্মিক পরির্দশন করেন। পরির্দশন কালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার মান, কর্তব্যরত ডাক্তারের ভূমিকা ও হাসপাতালের বর্তমান চিত্র নিজে ফেইসবুকে হতাশা জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘আজ রাতে আকষ্মিক মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও হাসপাতাল পরিদর্শন করি। হাসপাতালের কিছু ছবি সকলের সদয় অবগতির জন্য উপস্থাপন করলাম। টঐঋচঙ সাহেব ঢাকায় আছেন বলে জানা গেল। টয়লেটে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা নেই। দায়িত্বরত দু’জন চিকিৎসকের গায়ে নির্ধারিত পোষাক নেই। জরুরী বিভাগে আহত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন হারবাল সহকারী এবং রোগীদের সঙ্গীয় লোকজনের হাট বসেছে বলে মনে হয়। দয়া করে দেশের মেধাবী চিকিৎসকবৃন্দ নজর দিবেন কি? “ডিসি’র এমন স্ট্যাটাসে অধিকাংশ শ্রেণী পেশার মানুষ ইতিবাচক মন্তব্য করলেও চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত এবং অধ্যয়নরতদের কেউ কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে দৈনিক ইত্তেফাক, মানবজমিন ও অঞ্চলিক সহ বিভিন্ন পত্রিকা বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা সেবার হালচাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আর ঐ প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবাদ না দিয়ে ও সংশোধন না হয়ে গত ৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ইনচার্জ) ডা. মো: সিরাজুল ইসলাম মানিক বাদী হয়ে একটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়ের করে।

এতে করে দালাল সিন্ডিকেট ও অসাধু কর্মকর্তারা আরও বেপরোয়া  হয়ে উঠেছে। নেতৃবৃন্দ উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে উক্ত ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে।

মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কুমিল্লা ব্যুরো চিফ আবুল খায়ের, সহসভাপতি ও মোহনা টিভির প্রিতিনিধি তৌহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার মুরাদনগর প্রতিনিধি আজিজুর রহমান রনি, সহসাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য ও সমকালের প্রতিনিধি বেলাল আহমেদ, উপদেষ্টা নয়াদিগন্তের প্রতিনিধি আব্দুল আউয়াল সরকার,সন্ধ্যাবাণীর উত্তর জেলা প্রতিনিধি দুলাল দেবনাথ, আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম, হাসনাত জামান, নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ, আবুল বাশার, রায়হান চৌধুরী, রাসেল, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে স্থানীয় সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবীদ, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়।