জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানাবার ভাষা নেই। এ হামলা গণতন্ত্র, রাজনীতি, নাগরিক অধিকার ও পরমতসহিষ্ণুতার ওপর হামলা। এর পরিণাম শুভ হবে না। রবিবার দুপুরে তার টুইটারে এই প্রতিক্রিয়া জানান।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। সকাল ১০টার দিকে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহর রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী বাজারে পৌঁছার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন জানিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাহাড় ধসে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্দেশে আমরা ঢাকা থেকে চারজনের একটি দল চট্টগ্রামে এসেছি। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে আমরা রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। রাস্তায় জানতে পারলাম রাঙামাটির যে রাস্তায় ভাঙন শুরু হয়েছিল সেটি ভেঙে গেছে। ওই রাস্তা হয়ে রাঙামাটি যাওয়া সম্ভব নয়। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম কাপ্তাই লেক হয়ে নদী পথে রাঙামাটি পৌঁছাবো। যে কারণে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কাপ্তাই যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। ইছাখালী বাজারে যেতে না যেতেই মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি ঠেলে কিছুদূর যেতেই হঠাৎ ৩০-৪০ যুবক লাঠিসোটা, হকস্টিক, রামদা ও বড় বড় পাথর নিয়ে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করলো। প্রথমেই তারা গাড়ি সামনের গ্লাসে পাথর ছুঁড়ে মারে। এরপর অনবরত তারা হকস্টিক, লাঠিসোটা দিয়ে ভাঙচুর চালায়। এতে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী রক্তাক্ত হয়েছেন, মেজর জেনারেল (অব) রহুল আলম চৌধুরী আহত হয়েছেন, আমি নিজেও আহত হয়েছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এ সুনির্দিষ্ট আক্রমণ কোথা থেকে আসতে পারে আপনারা তদন্ত করে দেখবেন। আওয়ামী লীগের লোকেরা এটা করেছে। এটা কোথা থেকে আসতে পারে আপনারা সেটা ভালো করে বলতে পারবেন।’
ইত্তেফাক