ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচিবদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ১৭ দফা নির্দেশনা

জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সচিবালয়ে সচিবদের বৈঠকে ১৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে—
১.    পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পাহাড় ও টিলা অধ্যুষিত এলাকায় পরিবেশ রক্ষাসহ ভূমিধস প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালনে আরো আন্তরিক হতে হবে। এবারের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।
২.    ঢাকা মহানগরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ দূষণ রোধে রাজধানীর হাজারিবাগের টেনারি কারখানাগুলো সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও যাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
৩.    বঙ্গোসাগরের ১ হাজার ৭৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া’ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন, অংশীদারিত্বমূলক ব্লক বাগান ও স্ট্রিপ বাগান সৃজন করতে হবে।
৪.    গ্রাম উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে, কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রামের মানুষ কাজের খোঁজে শহরে না আসে। শহরের উপর জনসংখ্যার চাপ যাতে না বাড়ে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
৫.    ধনী-দরিদ্র্যের বৈষম্য কমাতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।
৬. উন্নয়ন কর্মসূচি এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়।
৭. বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার আরো বাড়াতে হবে। অর্থবছরের শেষ দিকে তাড়াহুড়ো না করে বছরের শুরু থেকেই বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৮. বর্ষা মৌসুমে প্রকল্পের পেপার ওয়ার্ক সম্পন্ন করতে হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপোষ করা যাবে না।
৯. ফাস্ট ট্রাক-ভুক্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে আরো আন্তরিক হতে হবে।
১০. দক্ষ এবং যোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দিতে হবে। ভালো কাজের পুরস্কার আর মন্দ কাজের জন্য তিরস্কার ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
১১. সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে সেবা পেতে জনগণকে যাতে ভোগান্তির শিকার না হতে হয় তার উদ্যোগ নিতে হবে।
১২. বেতনভাতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মচারিদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
১৩. আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করে সকলের ন্যায়-সঙ্গত পদোন্নতি এবং পদায়ন নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৪. অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মকর্তা যারা দীর্ঘদিন চাকরি করবেন, প্রশিক্ষণে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
১৫. জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
১৬. সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজির সফল বাস্তবায়নে মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

১৭. কেবল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নয়, দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে জনকল্যাণে আত্মনিয়োগে সহকর্মীদেরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাসস।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

সচিবদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ১৭ দফা নির্দেশনা

আপডেট সময় ০১:৫৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সচিবালয়ে সচিবদের বৈঠকে ১৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে—
১.    পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পাহাড় ও টিলা অধ্যুষিত এলাকায় পরিবেশ রক্ষাসহ ভূমিধস প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালনে আরো আন্তরিক হতে হবে। এবারের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।
২.    ঢাকা মহানগরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ দূষণ রোধে রাজধানীর হাজারিবাগের টেনারি কারখানাগুলো সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও যাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
৩.    বঙ্গোসাগরের ১ হাজার ৭৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া’ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন, অংশীদারিত্বমূলক ব্লক বাগান ও স্ট্রিপ বাগান সৃজন করতে হবে।
৪.    গ্রাম উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে, কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রামের মানুষ কাজের খোঁজে শহরে না আসে। শহরের উপর জনসংখ্যার চাপ যাতে না বাড়ে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
৫.    ধনী-দরিদ্র্যের বৈষম্য কমাতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।
৬. উন্নয়ন কর্মসূচি এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়।
৭. বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার আরো বাড়াতে হবে। অর্থবছরের শেষ দিকে তাড়াহুড়ো না করে বছরের শুরু থেকেই বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৮. বর্ষা মৌসুমে প্রকল্পের পেপার ওয়ার্ক সম্পন্ন করতে হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপোষ করা যাবে না।
৯. ফাস্ট ট্রাক-ভুক্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে আরো আন্তরিক হতে হবে।
১০. দক্ষ এবং যোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দিতে হবে। ভালো কাজের পুরস্কার আর মন্দ কাজের জন্য তিরস্কার ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
১১. সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে সেবা পেতে জনগণকে যাতে ভোগান্তির শিকার না হতে হয় তার উদ্যোগ নিতে হবে।
১২. বেতনভাতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মচারিদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
১৩. আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করে সকলের ন্যায়-সঙ্গত পদোন্নতি এবং পদায়ন নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৪. অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মকর্তা যারা দীর্ঘদিন চাকরি করবেন, প্রশিক্ষণে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
১৫. জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
১৬. সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজির সফল বাস্তবায়নে মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

১৭. কেবল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নয়, দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে জনকল্যাণে আত্মনিয়োগে সহকর্মীদেরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাসস।