ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নখের সমস্যায় করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
বেকায়দাভাবে যখন নখ বৃদ্ধি পায় এবং নখ নীচের মাংসের ভেতর ঢুকে যায় তখন নখের কোনায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এই সমস্যাকে ‘নখের কোনা ওঠা’ বলা হয়। হাতের নখের থেকে পায়ের নখে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ পায়ের নখে তুলনামূলকভাবে ধুলো-বালি, ময়লা, ঘাম, পানি বেশি লাগে। ফলে নখের কোনে ইনফেকশন দেখা দেয়। কখনো কখনো ব্যথার সাথে হলুদ পুজও দেখা যায়।
নখের কোনা ওঠার প্রথম চিকিৎসা হলো নখের যে বাড়তি অংশের জন্য ব্যথা হচ্ছে সেই অংশটুকু কেটে ফেলতে হবে। তাহলে ব্যথা সাথে সাথে কমে যাবে। যদি নখের কোনায় পুঁজ জমে থাকে তাহলে টপিকাল এন্টিবায়োটিক লাগাতে হবে অথবা ওরাল এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। তবে ইনফেকশন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এছাড়াও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান, জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম উপায়। তাই নখ সব সময় সোজাভাবে কাটতে হবে, পায়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বাহির থেকে আসার পর পা ও হাত ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে, পরিষ্কার জুতা ও মুজা পরতে হবে, আরামদায়ক ও পায়ের মাপ মত জুতা পরতে হবে, প্রতিদিন গোসলের সময় পায়ের নীচের শক্ত চামড়া পরিষ্কার করতে হবে। তবে দীর্ঘদিন নখের কোনা ওঠা সমস্যায় ভুগে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৫৩ জন

নখের সমস্যায় করণীয়

আপডেট সময় ০৬:৪৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
বেকায়দাভাবে যখন নখ বৃদ্ধি পায় এবং নখ নীচের মাংসের ভেতর ঢুকে যায় তখন নখের কোনায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এই সমস্যাকে ‘নখের কোনা ওঠা’ বলা হয়। হাতের নখের থেকে পায়ের নখে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ পায়ের নখে তুলনামূলকভাবে ধুলো-বালি, ময়লা, ঘাম, পানি বেশি লাগে। ফলে নখের কোনে ইনফেকশন দেখা দেয়। কখনো কখনো ব্যথার সাথে হলুদ পুজও দেখা যায়।
নখের কোনা ওঠার প্রথম চিকিৎসা হলো নখের যে বাড়তি অংশের জন্য ব্যথা হচ্ছে সেই অংশটুকু কেটে ফেলতে হবে। তাহলে ব্যথা সাথে সাথে কমে যাবে। যদি নখের কোনায় পুঁজ জমে থাকে তাহলে টপিকাল এন্টিবায়োটিক লাগাতে হবে অথবা ওরাল এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। তবে ইনফেকশন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এছাড়াও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান, জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম উপায়। তাই নখ সব সময় সোজাভাবে কাটতে হবে, পায়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বাহির থেকে আসার পর পা ও হাত ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে, পরিষ্কার জুতা ও মুজা পরতে হবে, আরামদায়ক ও পায়ের মাপ মত জুতা পরতে হবে, প্রতিদিন গোসলের সময় পায়ের নীচের শক্ত চামড়া পরিষ্কার করতে হবে। তবে দীর্ঘদিন নখের কোনা ওঠা সমস্যায় ভুগে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ