ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে পায়ে হাটার ভালো রাস্তাটুকুনও অবশিষ্ট নেই!

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

রমজান মাস থেকে শুরু।রোজদারগন খুব জরুরী কোন কাজ না থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৪লাখ মানুষ পারতপক্ষে কোন যানবাহনে চড়েননি বলে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
ঈদের ৩দিন পর বিভিন্ন বেড়াতে যাওয়া বা আত্বীয় স্বজনদের বাড়ীতে শিশু-বড়-বৃদ্ধ কাউকেই নিকটজনদের সাথে দেখা করতে যান বলে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে।খোজ নিয়ে জানা গেছে,কেবল ভাঙ্গাচুড়া ও বিভিন্ন মোটরযান এবার খাদ,রাস্তায় পানি ও ব্রীজ কালভার্ট ভাঙ্গা থাকায় ঘর হতে বের হন নি,আবার যারা বের হয়েছিলেন তারা মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে এসেছেন গাড়ি বিকল হয়ে যাবার কারনে।

শুষ্ক মৌসুম। ঝড় বাদল নেই।এমনি দিনে সরেজমিনে সাংবাদিকরা রাস্তা অভিযোগ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে অর্ধেক উপজেলা পরিদর্শন করেন।দেখা গেছে,আজ বুধবার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগরে হোমনা-বাঞ্ছারামপুরের পুরো ১২ কি:মি: রাস্তা আর আস্তা নেই।একে তো রাস্তার প্লাষ্টার-পিচ উঠে এবরো-থেবড়ো হয়ে আছে,তার উপর এই শুকনো মৌসুমে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল নয় বলে ঢাকা যাবার আন্তঃ উপজেলার এই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটিতে জমেছে পানি। এলাকার মুরুব্বী হাজী সফিকুল ইসলাম স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি কামনা করে বলেন,-“এমপি তাজ সাহেব আগে ঢাকা হতে এই রাস্তা দিয়ে যখন আসা যাওয়া করতেন,তখন আমাদের বলতে হতো না।রাস্তা সবসময় ঠিক থাকতো।শুনেছি,এখন তিনি হেলিকপ্টারে আসা যাওয়া করেন।তাই সড়ক এখন বেহাল’’।

ভিন্ন দিকে,ঢাকা-নরসিংদী যাবার বিকল্প পথ বাঞ্ছারামপুর- টু-মরিচাকান্দির ১১কি:মি: সড়ক দেখতে যেয়ে মনে হয়েছে,‘গাড়ি চলবে দুরে থাক,পায়ে হাটাই দুষ্কর।দেখা গেছে,এই সড়ক দিয়ে স্কুলের মেয়েরা গাড়ি/রিক্সার পরিবর্তে পায়ে হেটে দশদোনা হতে বাঞ্ছারামপুর সদরে যাচ্ছে।এক পথিমধ্যে এক বৃদ্ধ আঞ্চলিক ভাষায় বললেন,- ‘বাবা ভাঙ্গা এই রাস্তা দিয়া হাটতেও কষ্ট হয়।এমপি সাবেরে কন না,রাস্তাগুলান ঠিক কইরা দিতে’।

বেসামাল অবস্থা উপজেলার দরিয়াদৌলত,দূর্গারামপুর,ছলিমাবাদ,বাঞ্ছারামপুর টু জাতীয় ব্রীজ নামেখ্যাত ওয়াইব্রীজ পর্যন্ত,পৌর এলাকা হতে ধারিয়ারচর, ফরদাবাদ, পাহাড়িয়াকান্দি,তেজখালি ইউনিয়ন-যেদিকে তাকাই কেবল ভাঙ্গা পীচ বিহীন সড়ক।

এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে।উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,-‘উপজেলায় বদলী হয়ে আমি সদ্য যোগদান করেছি।সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুঠোফোনে বলেন,-‘উপজেলা পর্যায়ে সড়ক মেরামত ইনশাল্লাহ বর্ষার আগেই শুরু হবে’।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬ বাঞ্ছারামপুর আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অবঃ)এমপি বলেন-‘গত মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারনে সারাদেশেই সড়কগুলোর ক্ষতি হয়েছে।কেবল বাঞ্ছারামপুরে নয়।তবে,একনেকে গ্রামীন সড়ক ও অবকাঠামো মেরামত,সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন।খুব শীঘ্রই আমার এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

বাঞ্ছারামপুরে পায়ে হাটার ভালো রাস্তাটুকুনও অবশিষ্ট নেই!

আপডেট সময় ০৩:১৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুন ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

রমজান মাস থেকে শুরু।রোজদারগন খুব জরুরী কোন কাজ না থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৪লাখ মানুষ পারতপক্ষে কোন যানবাহনে চড়েননি বলে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
ঈদের ৩দিন পর বিভিন্ন বেড়াতে যাওয়া বা আত্বীয় স্বজনদের বাড়ীতে শিশু-বড়-বৃদ্ধ কাউকেই নিকটজনদের সাথে দেখা করতে যান বলে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে।খোজ নিয়ে জানা গেছে,কেবল ভাঙ্গাচুড়া ও বিভিন্ন মোটরযান এবার খাদ,রাস্তায় পানি ও ব্রীজ কালভার্ট ভাঙ্গা থাকায় ঘর হতে বের হন নি,আবার যারা বের হয়েছিলেন তারা মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে এসেছেন গাড়ি বিকল হয়ে যাবার কারনে।

শুষ্ক মৌসুম। ঝড় বাদল নেই।এমনি দিনে সরেজমিনে সাংবাদিকরা রাস্তা অভিযোগ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে অর্ধেক উপজেলা পরিদর্শন করেন।দেখা গেছে,আজ বুধবার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগরে হোমনা-বাঞ্ছারামপুরের পুরো ১২ কি:মি: রাস্তা আর আস্তা নেই।একে তো রাস্তার প্লাষ্টার-পিচ উঠে এবরো-থেবড়ো হয়ে আছে,তার উপর এই শুকনো মৌসুমে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল নয় বলে ঢাকা যাবার আন্তঃ উপজেলার এই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটিতে জমেছে পানি। এলাকার মুরুব্বী হাজী সফিকুল ইসলাম স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি কামনা করে বলেন,-“এমপি তাজ সাহেব আগে ঢাকা হতে এই রাস্তা দিয়ে যখন আসা যাওয়া করতেন,তখন আমাদের বলতে হতো না।রাস্তা সবসময় ঠিক থাকতো।শুনেছি,এখন তিনি হেলিকপ্টারে আসা যাওয়া করেন।তাই সড়ক এখন বেহাল’’।

ভিন্ন দিকে,ঢাকা-নরসিংদী যাবার বিকল্প পথ বাঞ্ছারামপুর- টু-মরিচাকান্দির ১১কি:মি: সড়ক দেখতে যেয়ে মনে হয়েছে,‘গাড়ি চলবে দুরে থাক,পায়ে হাটাই দুষ্কর।দেখা গেছে,এই সড়ক দিয়ে স্কুলের মেয়েরা গাড়ি/রিক্সার পরিবর্তে পায়ে হেটে দশদোনা হতে বাঞ্ছারামপুর সদরে যাচ্ছে।এক পথিমধ্যে এক বৃদ্ধ আঞ্চলিক ভাষায় বললেন,- ‘বাবা ভাঙ্গা এই রাস্তা দিয়া হাটতেও কষ্ট হয়।এমপি সাবেরে কন না,রাস্তাগুলান ঠিক কইরা দিতে’।

বেসামাল অবস্থা উপজেলার দরিয়াদৌলত,দূর্গারামপুর,ছলিমাবাদ,বাঞ্ছারামপুর টু জাতীয় ব্রীজ নামেখ্যাত ওয়াইব্রীজ পর্যন্ত,পৌর এলাকা হতে ধারিয়ারচর, ফরদাবাদ, পাহাড়িয়াকান্দি,তেজখালি ইউনিয়ন-যেদিকে তাকাই কেবল ভাঙ্গা পীচ বিহীন সড়ক।

এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে।উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,-‘উপজেলায় বদলী হয়ে আমি সদ্য যোগদান করেছি।সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুঠোফোনে বলেন,-‘উপজেলা পর্যায়ে সড়ক মেরামত ইনশাল্লাহ বর্ষার আগেই শুরু হবে’।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬ বাঞ্ছারামপুর আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অবঃ)এমপি বলেন-‘গত মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারনে সারাদেশেই সড়কগুলোর ক্ষতি হয়েছে।কেবল বাঞ্ছারামপুরে নয়।তবে,একনেকে গ্রামীন সড়ক ও অবকাঠামো মেরামত,সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন।খুব শীঘ্রই আমার এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।