ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

সাধারণত যেসব নবজাতক ৩৭-৪২ সপ্তাহের মধ্যে জন্মায়, ওজন ২.৫ কেজির বেশি থাকে এবং মায়ের দুধ স্বাভাবিকভাবে চুষে খেতে পারে- তারাই সুস্থ স্বাভাবিক শিশু। আর যেসব নবজাতক ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্ম নেয়, তাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

নবজাতককে জন্মের পরপরই শুষ্ক ও নরম কাপড় দিয়ে প্রথমে মাথা ও পরে গলা, কাঁধ ,বুক, পেট ও শরীরের বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে মুছে ফেলতে হবে। তারপর উষ্ণ কাপড় দিয়ে জড়িয়ে (মুখমণ্ডলবাদে) ফেলতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব শাল দুধ খাওয়ার জন্য দিতে হবে। জন্মের পর থেকে প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া একফোঁটা পানি দেয়ারও প্রয়োজন নেই। কারণ শালদুধেই প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান থাকে।

 

শিশু জন্মের পর মায়ের শরীরে প্রথম যে আঠালো ঘন হলুদ দুধ পাওয়া যায় সেটাই শালদুধ। শালদুধ খেলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়। শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের বুকের সাথে লাগিয়ে রাখতে হবে, যাতে শিশুর ত্বক মায়ের ত্বকের সংস্পর্শ পায়, এতে হাইপোথার্মিয়া (তাপমাত্রা কমে যাওয়া) হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

সব সময় খেয়াল রাখতে হবে কিছুতেই যেন শিশুর ঠাণ্ডা না লাগতে পারে। নাভি না শুকানো পর্যন্ত শিশুকে গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। গা মুছে দিন উষ্ণ গরম পানি দিয়ে। নবজাতকের নাভি, দু’পায়ের ফাঁক, চোখ, নাক, কান, নখ ও জিহ্বা এসব অঙ্গের যত্ন নিতে হবে। নবজাতককে ধরার আগে অবশ্যই হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

লেখক: পুষ্টিবিদ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

আপডেট সময় ০১:২৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৯
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

সাধারণত যেসব নবজাতক ৩৭-৪২ সপ্তাহের মধ্যে জন্মায়, ওজন ২.৫ কেজির বেশি থাকে এবং মায়ের দুধ স্বাভাবিকভাবে চুষে খেতে পারে- তারাই সুস্থ স্বাভাবিক শিশু। আর যেসব নবজাতক ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্ম নেয়, তাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

নবজাতককে জন্মের পরপরই শুষ্ক ও নরম কাপড় দিয়ে প্রথমে মাথা ও পরে গলা, কাঁধ ,বুক, পেট ও শরীরের বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে মুছে ফেলতে হবে। তারপর উষ্ণ কাপড় দিয়ে জড়িয়ে (মুখমণ্ডলবাদে) ফেলতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব শাল দুধ খাওয়ার জন্য দিতে হবে। জন্মের পর থেকে প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া একফোঁটা পানি দেয়ারও প্রয়োজন নেই। কারণ শালদুধেই প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান থাকে।

 

শিশু জন্মের পর মায়ের শরীরে প্রথম যে আঠালো ঘন হলুদ দুধ পাওয়া যায় সেটাই শালদুধ। শালদুধ খেলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়। শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের বুকের সাথে লাগিয়ে রাখতে হবে, যাতে শিশুর ত্বক মায়ের ত্বকের সংস্পর্শ পায়, এতে হাইপোথার্মিয়া (তাপমাত্রা কমে যাওয়া) হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

সব সময় খেয়াল রাখতে হবে কিছুতেই যেন শিশুর ঠাণ্ডা না লাগতে পারে। নাভি না শুকানো পর্যন্ত শিশুকে গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। গা মুছে দিন উষ্ণ গরম পানি দিয়ে। নবজাতকের নাভি, দু’পায়ের ফাঁক, চোখ, নাক, কান, নখ ও জিহ্বা এসব অঙ্গের যত্ন নিতে হবে। নবজাতককে ধরার আগে অবশ্যই হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

লেখক: পুষ্টিবিদ।